ঢাকা ১১:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo ‘ফুল ভলিয়মে ভাইরাল গানে মগ্ন অন্তর্বর্তী জোট’ Logo স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে সাহসী ভূমিকায় সাংবাদিক হাফিজুর রহমান শফিক Logo রাজধানীর বাউনিয়ার ভূমিদস্যু খোরশেদ পরিবারের কব্জায় ভুক্তভোগীদের ভিটামাটি  Logo স্বাধীনতা যুদ্ধে জামায়াতের অবস্থান এবং পরবর্তীতে রাজনৈতিক পথচলা Logo রাত ৮টার পর বন্ধ থাকবে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানঃ  উপদেষ্টা আসিফ Logo গণপূর্তে পীরের কেরামতি: পাহাড়সম দুর্নীতির অভিযোগ থাকলেও প্রধান প্রকৌশলী চেয়ারে বহাল! Logo ডিবির অভিযানে দোহার থানা আওয়ামী লীগের সম্পাদকসহ পাঁচজন গ্রেফতার Logo অবসরে গেলেও ফায়ার সার্ভিসের দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড লেফটেন্যান্ট কর্নেল জুলফিকার – পর্ব ১ Logo ১০০ কেজি গাঁজা ও কাভার্ড পিকআপসহ দুই মাদক কারবারি ডিবির হাতে গ্রেফতার Logo আলোচিত দুর্নীতিবাজ জনস্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী মঈনুল বহাল তবিয়তে! 

ট্রাকপ্রতি একশ থেকে ৫শ টাকা আদায় করে পুলিশ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৫৫:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ মে ২০১৯ ১৭৫ বার পড়া হয়েছে

জেলা প্রতিনিধি;
চট্টগ্রাম-খুলনা মহাসড়কের শরীয়তপুর অংশে চলাচলকারী যানবাহন চালকদের কাছে ট্রাফিক পুলিশের প্রকাশ্য চাঁদাবাজি এখন বড় আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে। আংগারিয়া থেকে নরসিংহপুর পর্যন্ত মাত্র ৩৫ কিলোমিটার সড়কের অন্তত পাঁচটি স্পটে ট্রাফিক পুলিশকে চাঁদা দিতে হয় বলে অভিযোগ করেছেন চালকরা। মালিক ও চালকদের কাছ থেকে মাসিক চুক্তিতে অর্থ আদায়ের অভিযোগও রয়েছে সড়কের নিরাপত্তায় থাকা ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে।

সরেজমিনে একাধিক দিন মহাসড়কের একাধিক স্পটে ঘুরে ও গাড়িচালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মনোহরবাজার, হিন্দুপাড়া স্কুলের মোড়, আংগারিয়া, রুদ্রকর ও বুড়িরহাট এলাকার অন্তত পাঁচটি স্পটে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে পণ্যবাহী যানবাহন থেকে টাকা আদায় করে ট্রাফিক পুলিশ। অধিকাংশ সময় ট্রাফিক পুলিশের টিএসআই গোলাম মোস্তফার নেতৃত্বে এটিএসআই কুদ্দুস ও ট্রাফিক কনস্টেবল সুব্রত এ চাঁদা আদায় করে থাকেন। প্রতিদিন সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত প্রতিটি পণ্যবাহী ট্রাক থেকে ১০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করা হয়। বিশেষ করে দূরপাল্লার পণ্যবাহী ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান ট্রাফিক পুলিশের চাঁদাবাজির প্রধান টার্গেট।

চট্টগ্রাম-খুলনা সড়কের এই অংশ দিয়ে প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ পণ্যবাহী যানবাহন যাতায়াত করে। জেলা ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের আওতায় রয়েছে আরও পাঁচ শতাধিক যানবাহন। যার প্রতিটিকেই দৈনিক বা মাসিক চুক্তির আওতায় ট্রাফিক পুলিশকে টাকা দিতে হয়।

কাভার্ড ভ্যানের চালক মো. দিদার মিয়া বলেন, আমার গাড়ির সব কাগজপত্র ঠিক আছে। এরপরও প্রতিবার যাওয়া-আসার সময় ট্রাফিক পুলিশকে চাঁদা দিতে হয়। না দিলে কোনো না কোনো কারণ দেখিয়ে মামলা করবে। তাই হয়রানি থেকে বাঁচতে বাধ্য হয়ে টাকা দেই।


স্থানীয় ট্রাকচালক আবুল হোসেন, রফিকুল ইসলাম ও সোবহান মাতবর জানান, তারা মালিক সমিতির মাধ্যমে প্রতিমাসে গাড়িপ্রতি ৫০০ টাকা করে দেন। বিনিময়ে তাদের গাড়িতে স্টিকার লাগিয়ে দেয়া হয়। এই স্টিকার দেখলে ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি থামায় না।

শরীয়তপুর ট্রাকচালক শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হাওলাদার বলেন, ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে মাসিক চুক্তি থাকে। মাসিক টাকা দিলে কাগজ বা লাইসেন্স না থাকলেও সমস্যা নাই। আর না দিলে কাগজ থাকলেও ঝামেলা করে।

এ ব্যাপারে শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন বলেন, গাড়ি থেকে অবৈধভাবে ট্রাফিক পুলিশের টাকা আদায়ের একটি ভিডিও আমরা পেয়েছি। ইতোমধ্যে তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এই ধরনের ঘটনায় যারা জড়িত থাকবে তাদের বিরুদ্ধেই আইনগত কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

ট্রাকপ্রতি একশ থেকে ৫শ টাকা আদায় করে পুলিশ

আপডেট সময় : ১১:৫৫:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ মে ২০১৯

জেলা প্রতিনিধি;
চট্টগ্রাম-খুলনা মহাসড়কের শরীয়তপুর অংশে চলাচলকারী যানবাহন চালকদের কাছে ট্রাফিক পুলিশের প্রকাশ্য চাঁদাবাজি এখন বড় আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে। আংগারিয়া থেকে নরসিংহপুর পর্যন্ত মাত্র ৩৫ কিলোমিটার সড়কের অন্তত পাঁচটি স্পটে ট্রাফিক পুলিশকে চাঁদা দিতে হয় বলে অভিযোগ করেছেন চালকরা। মালিক ও চালকদের কাছ থেকে মাসিক চুক্তিতে অর্থ আদায়ের অভিযোগও রয়েছে সড়কের নিরাপত্তায় থাকা ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে।

সরেজমিনে একাধিক দিন মহাসড়কের একাধিক স্পটে ঘুরে ও গাড়িচালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মনোহরবাজার, হিন্দুপাড়া স্কুলের মোড়, আংগারিয়া, রুদ্রকর ও বুড়িরহাট এলাকার অন্তত পাঁচটি স্পটে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে পণ্যবাহী যানবাহন থেকে টাকা আদায় করে ট্রাফিক পুলিশ। অধিকাংশ সময় ট্রাফিক পুলিশের টিএসআই গোলাম মোস্তফার নেতৃত্বে এটিএসআই কুদ্দুস ও ট্রাফিক কনস্টেবল সুব্রত এ চাঁদা আদায় করে থাকেন। প্রতিদিন সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত প্রতিটি পণ্যবাহী ট্রাক থেকে ১০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করা হয়। বিশেষ করে দূরপাল্লার পণ্যবাহী ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান ট্রাফিক পুলিশের চাঁদাবাজির প্রধান টার্গেট।

চট্টগ্রাম-খুলনা সড়কের এই অংশ দিয়ে প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ পণ্যবাহী যানবাহন যাতায়াত করে। জেলা ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের আওতায় রয়েছে আরও পাঁচ শতাধিক যানবাহন। যার প্রতিটিকেই দৈনিক বা মাসিক চুক্তির আওতায় ট্রাফিক পুলিশকে টাকা দিতে হয়।

কাভার্ড ভ্যানের চালক মো. দিদার মিয়া বলেন, আমার গাড়ির সব কাগজপত্র ঠিক আছে। এরপরও প্রতিবার যাওয়া-আসার সময় ট্রাফিক পুলিশকে চাঁদা দিতে হয়। না দিলে কোনো না কোনো কারণ দেখিয়ে মামলা করবে। তাই হয়রানি থেকে বাঁচতে বাধ্য হয়ে টাকা দেই।


স্থানীয় ট্রাকচালক আবুল হোসেন, রফিকুল ইসলাম ও সোবহান মাতবর জানান, তারা মালিক সমিতির মাধ্যমে প্রতিমাসে গাড়িপ্রতি ৫০০ টাকা করে দেন। বিনিময়ে তাদের গাড়িতে স্টিকার লাগিয়ে দেয়া হয়। এই স্টিকার দেখলে ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি থামায় না।

শরীয়তপুর ট্রাকচালক শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হাওলাদার বলেন, ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে মাসিক চুক্তি থাকে। মাসিক টাকা দিলে কাগজ বা লাইসেন্স না থাকলেও সমস্যা নাই। আর না দিলে কাগজ থাকলেও ঝামেলা করে।

এ ব্যাপারে শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন বলেন, গাড়ি থেকে অবৈধভাবে ট্রাফিক পুলিশের টাকা আদায়ের একটি ভিডিও আমরা পেয়েছি। ইতোমধ্যে তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এই ধরনের ঘটনায় যারা জড়িত থাকবে তাদের বিরুদ্ধেই আইনগত কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।