ঢাকা ০৬:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo দুদকের মামলার মাথায় নিয়েও বহাল কুমেক হাসপাতালের আবুল Logo সংস্কারের বিপরীতে রহস্যজনক বদলী: এক চিঠিতে ৫২ রদবদল ফায়ার সার্ভিসে! Logo গণপূর্তে ফ্যাসিস্ট সরকারের আস্থাভাজন কর্মকর্তাদের দুর্নীতির সিন্ডিকেট সক্রিয়  Logo বাংলাদেশ সাইন ম্যাটেরিয়ালস এন্ড মেশিনারিজ ইমপোর্টার্স এসোসিয়েশন’ সভাপতি খালেদ সাধারণ সম্পাদক মানিক  Logo চৌদ্দগ্রামে এলজি বন্ধুক ও দেশীয় অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটক: টর্চার সেলের সন্ধান Logo সাফা মাধ্যমিক বিদ্যালয় অ্যাডহক কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হলেন এইচ এম আল-আমিন Logo সওজ ও গণপূর্তের ‘মাফিয়া’ আওয়ামী ঘনিষ্ঠ দোসর মুস্তাফিজ ধরাছোঁয়ার বাইরে Logo ২০০ কোটি টাকা নয়ছয় করেও বহাল জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল কার্যালয় জিম্মি শহিদুল! Logo আওয়ামী লীগের পক্ষে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলায় এনআরবি ব্যাংক’ ২ পরিচালকের অর্থ সহায়তা Logo ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর ফায়ারের উপ-পরিচালক দীনোমনির বিরূদ্ধে দুর্নীতি অভিযোগ




শিশুর পেটের চারকেজি টিউমার, টিউমারের ভেতর আরেক শিশু!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৫৫:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ মে ২০১৯ ৯০ বার পড়া হয়েছে

জেলা প্রতিনিধি ঠাকুরগাঁও

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের গোয়ালপাড়া গ্রামের বাবুল রায়ের ১২ বছরের মেয়ে বিথিকা রায়। স্থানীয় মলানপুকুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী সে।

গত দশদিন আগে হঠাৎ করেই বিথিকার শারীরিক পরিবর্তন ঘটতে শুরু করে। তার পেট হঠাৎ করেই ফুলতে থাকে। এতে ঘাবড়ে যায় পরিবারের লোকজন। সবার ধারণা হয় সে হয়তো কারও দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে।

ভয় থেকেই ছুটে যায় ডাক্তারের কাছে। তবে স্থানীয় ডাক্তারের কাছে না গিয়ে যায় রংপুরের এক ডাক্তারের কাছে। চিকিৎসক প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে জানান বিথিকার পেটে বড় আকারের টিউমার রয়েছে। যা জরুরি ভিত্তিতে অপারেশন করা প্রয়োজন।

এদিকে পেশায় দিনমজুর বাবুল রায় রংপুরে অপারেশন করার সামর্থ্য না থাকায় মেয়েকে নিয়ে ঠাকুরগাঁও হাসান এক্স-রে ক্লিনিকে ভর্তি করে ডা. মো. নুরুজ্জামান জুয়েলের শরণাপন্ন হন। ডা. জুয়েল ঝুঁকিপূর্ণ অপারেশন হওয়ায় প্রথমে রাজী হননি। পরে বাবুলের আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেন।

শুক্রবার বিকেলে অপারেশন করে দেখা যায় শিশুটির পেটে প্রায় চার কেজি ওজনের টিউমার রয়েছে। অস্ত্রোপচার শেষে টিউমারটি কেটে তার চোখ ছানাবড়া। টিউমারের ভেতরে আরেক শিশুর বসবাস। সেখানে শরীরের হাত, কলিজাসহ নানা অংশ বিদ্যমান।

এ ব্যাপারে ডা. মো. নুরুজ্জামান জুয়েল বলেন, মেডিকেল সাইন্সে এটাকে বলে “Fetus in feto” অর্থাৎ বাচ্চার পেটের ভেতরে বাচ্চা। জন্মগতভাবে বিথিকা জমজ। কিন্তু কোনো কারণবশত আরেক শিশু পৃথিবীর মুখ দেখতে পায়নি। এটা বিথিকার জন্মের সময় থেকে তার পেটে থেকে যায়। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা ভালো। আশা করা যায় আর কোনো ঝুঁকি নেই।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




শিশুর পেটের চারকেজি টিউমার, টিউমারের ভেতর আরেক শিশু!

আপডেট সময় : ১০:৫৫:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ মে ২০১৯

জেলা প্রতিনিধি ঠাকুরগাঁও

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের গোয়ালপাড়া গ্রামের বাবুল রায়ের ১২ বছরের মেয়ে বিথিকা রায়। স্থানীয় মলানপুকুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী সে।

গত দশদিন আগে হঠাৎ করেই বিথিকার শারীরিক পরিবর্তন ঘটতে শুরু করে। তার পেট হঠাৎ করেই ফুলতে থাকে। এতে ঘাবড়ে যায় পরিবারের লোকজন। সবার ধারণা হয় সে হয়তো কারও দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে।

ভয় থেকেই ছুটে যায় ডাক্তারের কাছে। তবে স্থানীয় ডাক্তারের কাছে না গিয়ে যায় রংপুরের এক ডাক্তারের কাছে। চিকিৎসক প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে জানান বিথিকার পেটে বড় আকারের টিউমার রয়েছে। যা জরুরি ভিত্তিতে অপারেশন করা প্রয়োজন।

এদিকে পেশায় দিনমজুর বাবুল রায় রংপুরে অপারেশন করার সামর্থ্য না থাকায় মেয়েকে নিয়ে ঠাকুরগাঁও হাসান এক্স-রে ক্লিনিকে ভর্তি করে ডা. মো. নুরুজ্জামান জুয়েলের শরণাপন্ন হন। ডা. জুয়েল ঝুঁকিপূর্ণ অপারেশন হওয়ায় প্রথমে রাজী হননি। পরে বাবুলের আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেন।

শুক্রবার বিকেলে অপারেশন করে দেখা যায় শিশুটির পেটে প্রায় চার কেজি ওজনের টিউমার রয়েছে। অস্ত্রোপচার শেষে টিউমারটি কেটে তার চোখ ছানাবড়া। টিউমারের ভেতরে আরেক শিশুর বসবাস। সেখানে শরীরের হাত, কলিজাসহ নানা অংশ বিদ্যমান।

এ ব্যাপারে ডা. মো. নুরুজ্জামান জুয়েল বলেন, মেডিকেল সাইন্সে এটাকে বলে “Fetus in feto” অর্থাৎ বাচ্চার পেটের ভেতরে বাচ্চা। জন্মগতভাবে বিথিকা জমজ। কিন্তু কোনো কারণবশত আরেক শিশু পৃথিবীর মুখ দেখতে পায়নি। এটা বিথিকার জন্মের সময় থেকে তার পেটে থেকে যায়। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা ভালো। আশা করা যায় আর কোনো ঝুঁকি নেই।