ঢাকা ০২:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার! Logo ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়া শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোর সংস্কার শুরু Logo বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির দাবিতে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন Logo কুবি উপাচার্যের বক্তব্যের প্রমাণ দিতে শিক্ষক সমিতির সাত দিনের আল্টিমেটাম




‘ছেলেধরা’ সন্দেহে আ.লীগ নেতার ভাতিজাকে গণপিটুনী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৩০:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ মে ২০১৯ ৬০ বার পড়া হয়েছে

জেলা প্রতিনিধি;

সাতক্ষীরা জেলাজুড়ে ছেলেধরা ও রোহিঙ্গা গুজব এতটাই প্রকট হয়েছে যে অপরিচিত কাউকে দেখলেই তাকে আটক করে গণপিটুনী দিচ্ছে জনতা। এমনিভাবে গত কয়েকদিন গণপিটুনীর শিকার হয়েছেন কমপক্ষে ২০ জন। যারা সকলেই মানসিক ভারসাম্যহীন। তবে শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে গণপিটুনীর শিকার হয়েছেন দেবহাটা থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নজরুল ইসলামের ভাতিজা রিয়াজ উদ্দীন।

সাতক্ষীরা শহরের কুকরালি মোড়ে রোহিঙ্গা ছেলেধরা সন্দেহে তাকে গণপিটুনি দেয়া হয়। রিয়াজ উদ্দীন পেশায় ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালক। তিনি দেবহাটা থানার গোবরখালি গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।

সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেরিনা আক্তার জানান, রোহিঙ্গা ছেলে ধরা সন্দেহে কুকরালির জনগণ তাকে বেধড়ক গণপিটুনি দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। তিনি দেবহাটা থেকে মোটরসাইকেলে যাত্রী নিয়ে সাতক্ষীরায় আসছিলেন। পথিমধ্যে বাকাল পার হয়ে কুকরালি মোড় এলাকায় পৌঁছালে কিছু লোক তাকে যাত্রীসহ থামিয়ে মারপিট শুরু করে। তাদের ধারণা তিনি ছেলেধরা।

সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান বলেন, ভারতের পশ্চিম বাংলার একটি সিনেমার ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। সেটা মানুষ যাচাই না করেই ফেসবুকসহ বিভিন্ন গ্রুপে পোস্ট দিয়ে ভাইরাল করেছে। যার কোনো সত্যতা নেই। পুলিশের পক্ষ থেকে জেলার আটটি থানায় মাইকিং করে গুজবে কান না দেয়ার জন্য বলা হলেও কোনোভাবেই থামানো যায়নি। তবে প্রশাসন তৎপর রয়েছে। যারা গণপিটুনীর শিকার হচ্ছে তারা সকলেই মানসিক ভারসাম্যহীন আবার কেউ ভিক্ষুক। জেলাবাসীকে এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে। এছাড়া যেকোনো বাচ্চা ধরার বিষয়ে সঠিক কোনো তথ্য থাকলে জেলা পুলিশকে জানাতে অনুরোধ করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




‘ছেলেধরা’ সন্দেহে আ.লীগ নেতার ভাতিজাকে গণপিটুনী

আপডেট সময় : ১০:৩০:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ মে ২০১৯

জেলা প্রতিনিধি;

সাতক্ষীরা জেলাজুড়ে ছেলেধরা ও রোহিঙ্গা গুজব এতটাই প্রকট হয়েছে যে অপরিচিত কাউকে দেখলেই তাকে আটক করে গণপিটুনী দিচ্ছে জনতা। এমনিভাবে গত কয়েকদিন গণপিটুনীর শিকার হয়েছেন কমপক্ষে ২০ জন। যারা সকলেই মানসিক ভারসাম্যহীন। তবে শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে গণপিটুনীর শিকার হয়েছেন দেবহাটা থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নজরুল ইসলামের ভাতিজা রিয়াজ উদ্দীন।

সাতক্ষীরা শহরের কুকরালি মোড়ে রোহিঙ্গা ছেলেধরা সন্দেহে তাকে গণপিটুনি দেয়া হয়। রিয়াজ উদ্দীন পেশায় ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালক। তিনি দেবহাটা থানার গোবরখালি গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।

সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেরিনা আক্তার জানান, রোহিঙ্গা ছেলে ধরা সন্দেহে কুকরালির জনগণ তাকে বেধড়ক গণপিটুনি দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। তিনি দেবহাটা থেকে মোটরসাইকেলে যাত্রী নিয়ে সাতক্ষীরায় আসছিলেন। পথিমধ্যে বাকাল পার হয়ে কুকরালি মোড় এলাকায় পৌঁছালে কিছু লোক তাকে যাত্রীসহ থামিয়ে মারপিট শুরু করে। তাদের ধারণা তিনি ছেলেধরা।

সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান বলেন, ভারতের পশ্চিম বাংলার একটি সিনেমার ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। সেটা মানুষ যাচাই না করেই ফেসবুকসহ বিভিন্ন গ্রুপে পোস্ট দিয়ে ভাইরাল করেছে। যার কোনো সত্যতা নেই। পুলিশের পক্ষ থেকে জেলার আটটি থানায় মাইকিং করে গুজবে কান না দেয়ার জন্য বলা হলেও কোনোভাবেই থামানো যায়নি। তবে প্রশাসন তৎপর রয়েছে। যারা গণপিটুনীর শিকার হচ্ছে তারা সকলেই মানসিক ভারসাম্যহীন আবার কেউ ভিক্ষুক। জেলাবাসীকে এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে। এছাড়া যেকোনো বাচ্চা ধরার বিষয়ে সঠিক কোনো তথ্য থাকলে জেলা পুলিশকে জানাতে অনুরোধ করা হচ্ছে।