ঢাকা ০৫:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo চাকুরীচ্যুত প্রকৌশলী নাসির বহাল তবিয়তে পায়রা বন্দরে: গড়েছে অবৈধ সম্পদের পাহাড়!  Logo যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সকল দলকে নিয়ে বিএনপির যৌথসভা Logo ১০ হাজার নেতাকর্মী নিয়ে বরিশাল-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী স্বপনের মনোনয়নপত্র দাখিল Logo রাজপথ বিএনপির দখলে না থাকলেও বিটিভি  বিএনপি জামায়াতের দখলে! Logo দেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় বেস্ট হোল্ডিং Logo অগ্রণী ব্যাংকের ডিজিএম সৈয়দ সালমা উসমানের বেপরোয়া দুর্নীতি! Logo বরিশালের বাকেরগঞ্জে পল্লী চিকিৎসকের ঘরে লুটপাট Logo ফায়ার সার্ভিসের অপারেশন এখন করাপশনের ত্রিমুখী জুটি Logo মনোনয়নপ্রত্যাশী ৩৩৬২ জনের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন শেখ হাসিনা Logo থিয়েটার কুবি’র নেতৃত্বে সুইটি-হান্নান




‘ছেলেধরা’ সন্দেহে আ.লীগ নেতার ভাতিজাকে গণপিটুনী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৩০:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ মে ২০১৯ ৪৮ বার পড়া হয়েছে

জেলা প্রতিনিধি;

সাতক্ষীরা জেলাজুড়ে ছেলেধরা ও রোহিঙ্গা গুজব এতটাই প্রকট হয়েছে যে অপরিচিত কাউকে দেখলেই তাকে আটক করে গণপিটুনী দিচ্ছে জনতা। এমনিভাবে গত কয়েকদিন গণপিটুনীর শিকার হয়েছেন কমপক্ষে ২০ জন। যারা সকলেই মানসিক ভারসাম্যহীন। তবে শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে গণপিটুনীর শিকার হয়েছেন দেবহাটা থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নজরুল ইসলামের ভাতিজা রিয়াজ উদ্দীন।

সাতক্ষীরা শহরের কুকরালি মোড়ে রোহিঙ্গা ছেলেধরা সন্দেহে তাকে গণপিটুনি দেয়া হয়। রিয়াজ উদ্দীন পেশায় ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালক। তিনি দেবহাটা থানার গোবরখালি গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।

সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেরিনা আক্তার জানান, রোহিঙ্গা ছেলে ধরা সন্দেহে কুকরালির জনগণ তাকে বেধড়ক গণপিটুনি দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। তিনি দেবহাটা থেকে মোটরসাইকেলে যাত্রী নিয়ে সাতক্ষীরায় আসছিলেন। পথিমধ্যে বাকাল পার হয়ে কুকরালি মোড় এলাকায় পৌঁছালে কিছু লোক তাকে যাত্রীসহ থামিয়ে মারপিট শুরু করে। তাদের ধারণা তিনি ছেলেধরা।

সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান বলেন, ভারতের পশ্চিম বাংলার একটি সিনেমার ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। সেটা মানুষ যাচাই না করেই ফেসবুকসহ বিভিন্ন গ্রুপে পোস্ট দিয়ে ভাইরাল করেছে। যার কোনো সত্যতা নেই। পুলিশের পক্ষ থেকে জেলার আটটি থানায় মাইকিং করে গুজবে কান না দেয়ার জন্য বলা হলেও কোনোভাবেই থামানো যায়নি। তবে প্রশাসন তৎপর রয়েছে। যারা গণপিটুনীর শিকার হচ্ছে তারা সকলেই মানসিক ভারসাম্যহীন আবার কেউ ভিক্ষুক। জেলাবাসীকে এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে। এছাড়া যেকোনো বাচ্চা ধরার বিষয়ে সঠিক কোনো তথ্য থাকলে জেলা পুলিশকে জানাতে অনুরোধ করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




‘ছেলেধরা’ সন্দেহে আ.লীগ নেতার ভাতিজাকে গণপিটুনী

আপডেট সময় : ১০:৩০:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ মে ২০১৯

জেলা প্রতিনিধি;

সাতক্ষীরা জেলাজুড়ে ছেলেধরা ও রোহিঙ্গা গুজব এতটাই প্রকট হয়েছে যে অপরিচিত কাউকে দেখলেই তাকে আটক করে গণপিটুনী দিচ্ছে জনতা। এমনিভাবে গত কয়েকদিন গণপিটুনীর শিকার হয়েছেন কমপক্ষে ২০ জন। যারা সকলেই মানসিক ভারসাম্যহীন। তবে শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে গণপিটুনীর শিকার হয়েছেন দেবহাটা থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নজরুল ইসলামের ভাতিজা রিয়াজ উদ্দীন।

সাতক্ষীরা শহরের কুকরালি মোড়ে রোহিঙ্গা ছেলেধরা সন্দেহে তাকে গণপিটুনি দেয়া হয়। রিয়াজ উদ্দীন পেশায় ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালক। তিনি দেবহাটা থানার গোবরখালি গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।

সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেরিনা আক্তার জানান, রোহিঙ্গা ছেলে ধরা সন্দেহে কুকরালির জনগণ তাকে বেধড়ক গণপিটুনি দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। তিনি দেবহাটা থেকে মোটরসাইকেলে যাত্রী নিয়ে সাতক্ষীরায় আসছিলেন। পথিমধ্যে বাকাল পার হয়ে কুকরালি মোড় এলাকায় পৌঁছালে কিছু লোক তাকে যাত্রীসহ থামিয়ে মারপিট শুরু করে। তাদের ধারণা তিনি ছেলেধরা।

সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান বলেন, ভারতের পশ্চিম বাংলার একটি সিনেমার ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। সেটা মানুষ যাচাই না করেই ফেসবুকসহ বিভিন্ন গ্রুপে পোস্ট দিয়ে ভাইরাল করেছে। যার কোনো সত্যতা নেই। পুলিশের পক্ষ থেকে জেলার আটটি থানায় মাইকিং করে গুজবে কান না দেয়ার জন্য বলা হলেও কোনোভাবেই থামানো যায়নি। তবে প্রশাসন তৎপর রয়েছে। যারা গণপিটুনীর শিকার হচ্ছে তারা সকলেই মানসিক ভারসাম্যহীন আবার কেউ ভিক্ষুক। জেলাবাসীকে এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে। এছাড়া যেকোনো বাচ্চা ধরার বিষয়ে সঠিক কোনো তথ্য থাকলে জেলা পুলিশকে জানাতে অনুরোধ করা হচ্ছে।