ঢাকা ০৫:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার! Logo ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়া শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোর সংস্কার শুরু Logo বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির দাবিতে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন Logo কুবি উপাচার্যের বক্তব্যের প্রমাণ দিতে শিক্ষক সমিতির সাত দিনের আল্টিমেটাম




দেশের যেসব কোম্পানির পানিতেও ভেজাল

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:৫২:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০১৯ ১০৩ বার পড়া হয়েছে

ছবি : সংগৃহীত

পানির অপর নাম জীবন। তাই নিরাপদ ও বিশুদ্ধ পানির জন্য মানুষ অর্থ ব্যয় করে বিভিন্ন কোম্পানির পানি কিনে থাকে। কিন্তু বাজারে বিক্রি হওয়া এসব পানির মধ্যে ৭টি কোম্পানির পানি নিম্নমানের বলে প্রামাণ পেয়েছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্স অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)।

সম্প্রতি রমজান উপলক্ষ্য বিএসটিআই বাজার থেকে ৪০৬টি পণ্য সংগ্রহ করে পরীক্ষার করে। গত বৃহস্পতিবার (২ মে) মতিঝিলে শিল্প মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত হয়।

বাজার থেকে সংগ্রহ করা এসব পণ্যের নমুনা পরীক্ষা করার পর ৫২টি কোম্পানির ৫২টি পণ্য নিম্নমানের বলে জানায় বিএসটিআই। আর সেই তালিকায় নিম্নমানের পানি হিসাবে ওই ৭টি কোম্পানি নাম সেই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

বিএসটিআই’র তালিকায় থাকা নিম্নমানের পানি কোম্পানি গুলো হলো- আবরা ফুড এন্ড বেভারেজের আরা পানি, আল সাফি ড্রিংকিং ওয়াটারের আল সাফি পানি, শাহারী এন্ড ব্রাদার্সের মিজান পানি, মর্ণ ডিউ পিওয়র ড্রিংকিং ওয়াটারের মর্ণ ডিউ পানি, ডানকান প্রেডাক্টাস লিমিটেডের ডানকান পানি, আর আর ডিউ পিউরিফাইড ড্রিংকিং ওয়াটারের আর আর ডিউ পানি এবং দিঘী ড্রিংকিং ওয়াটারের দিঘী ব্র্যান্ডের পানি। আর এই সব গুলো পানির কোম্পানিই ঢাকার।

এ প্রসঙ্গে বিএসটিআইয়ের পরিচালক (সিএম) প্রকৌশলী এস এম ইসহাক আলী বলেন, ‘অভিযুক্ত কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে এরইমধ্যে সতর্ক করে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। অচিরেই এসব কোম্পানিতে অভিযান চালানো হবে। এরপরেও যদি পণ্যের গুণগত মান ঠিক না করা হয় তবে এসব কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

ইসহাক আলী আরো বলেন, ‘রমজান মাসে সরিষার তেল, লবণ, হলুদ ও মরিচের গুড়া, লাচ্ছা সেমাই, ঘি ও দই বেশি ক্রয় করে সাধারণ মানুষ। এর বাইরে পানির প্রয়োজন হয়। এসব পণ্য নিম্নমানের হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করতে হয়েছে। আমরা কি খাই প্রতিদিন- এই চিত্র দেখলেই বোঝা যায়। প্রতিবেদনের কপি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।’ অচিরেই এসব কোম্পানির বিরুদ্ধে জোরালো ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন পরিচালক।

এদিকে বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিএসটিআই’এর প্রতিবেদনটি প্রকাশ করার এক সপ্তাহের মাথায় জনস্বার্থে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন আইনজীবী শিহাব উদ্দিন খান।

সেই রিটে বিএসটিআই’র তালিকা ভুক্তো এসব নিম্নমানের পণ্য বাজার থেকে প্রত্যাহার ও গুণগত মান উন্নত না হওয়া পর্যন্ত পণ্য গুলোর উৎপাদন বন্ধ করার জন্য নির্দেশনা চাওয়া হয় সেই রিটে। বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চে আবেদনটির শুনানি হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




দেশের যেসব কোম্পানির পানিতেও ভেজাল

আপডেট সময় : ০৩:৫২:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০১৯

ছবি : সংগৃহীত

পানির অপর নাম জীবন। তাই নিরাপদ ও বিশুদ্ধ পানির জন্য মানুষ অর্থ ব্যয় করে বিভিন্ন কোম্পানির পানি কিনে থাকে। কিন্তু বাজারে বিক্রি হওয়া এসব পানির মধ্যে ৭টি কোম্পানির পানি নিম্নমানের বলে প্রামাণ পেয়েছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্স অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)।

সম্প্রতি রমজান উপলক্ষ্য বিএসটিআই বাজার থেকে ৪০৬টি পণ্য সংগ্রহ করে পরীক্ষার করে। গত বৃহস্পতিবার (২ মে) মতিঝিলে শিল্প মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত হয়।

বাজার থেকে সংগ্রহ করা এসব পণ্যের নমুনা পরীক্ষা করার পর ৫২টি কোম্পানির ৫২টি পণ্য নিম্নমানের বলে জানায় বিএসটিআই। আর সেই তালিকায় নিম্নমানের পানি হিসাবে ওই ৭টি কোম্পানি নাম সেই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

বিএসটিআই’র তালিকায় থাকা নিম্নমানের পানি কোম্পানি গুলো হলো- আবরা ফুড এন্ড বেভারেজের আরা পানি, আল সাফি ড্রিংকিং ওয়াটারের আল সাফি পানি, শাহারী এন্ড ব্রাদার্সের মিজান পানি, মর্ণ ডিউ পিওয়র ড্রিংকিং ওয়াটারের মর্ণ ডিউ পানি, ডানকান প্রেডাক্টাস লিমিটেডের ডানকান পানি, আর আর ডিউ পিউরিফাইড ড্রিংকিং ওয়াটারের আর আর ডিউ পানি এবং দিঘী ড্রিংকিং ওয়াটারের দিঘী ব্র্যান্ডের পানি। আর এই সব গুলো পানির কোম্পানিই ঢাকার।

এ প্রসঙ্গে বিএসটিআইয়ের পরিচালক (সিএম) প্রকৌশলী এস এম ইসহাক আলী বলেন, ‘অভিযুক্ত কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে এরইমধ্যে সতর্ক করে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। অচিরেই এসব কোম্পানিতে অভিযান চালানো হবে। এরপরেও যদি পণ্যের গুণগত মান ঠিক না করা হয় তবে এসব কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

ইসহাক আলী আরো বলেন, ‘রমজান মাসে সরিষার তেল, লবণ, হলুদ ও মরিচের গুড়া, লাচ্ছা সেমাই, ঘি ও দই বেশি ক্রয় করে সাধারণ মানুষ। এর বাইরে পানির প্রয়োজন হয়। এসব পণ্য নিম্নমানের হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করতে হয়েছে। আমরা কি খাই প্রতিদিন- এই চিত্র দেখলেই বোঝা যায়। প্রতিবেদনের কপি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।’ অচিরেই এসব কোম্পানির বিরুদ্ধে জোরালো ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন পরিচালক।

এদিকে বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিএসটিআই’এর প্রতিবেদনটি প্রকাশ করার এক সপ্তাহের মাথায় জনস্বার্থে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন আইনজীবী শিহাব উদ্দিন খান।

সেই রিটে বিএসটিআই’র তালিকা ভুক্তো এসব নিম্নমানের পণ্য বাজার থেকে প্রত্যাহার ও গুণগত মান উন্নত না হওয়া পর্যন্ত পণ্য গুলোর উৎপাদন বন্ধ করার জন্য নির্দেশনা চাওয়া হয় সেই রিটে। বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চে আবেদনটির শুনানি হবে।