ঢাকা ০১:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo কুষ্টিয়ায় ৩০০ কিলোমিটার সীমান্ত অরক্ষিত: চোরা কারবারীদের উৎসব Logo বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকার মৃত্যুবার্ষিকীতে স্মরণসভা Logo স্বৈরাচার আওয়ামীলীগের দোসর জেলার মামুনুর: দুর্নীতির মাধ্যমে গড়েছেন সম্পদের পাহাড় Logo চবি’ প্রাক্তন অর্থনীতি ছাত্র সমিতি কুয়েসা’র সভাপতি আব্দুল্লাহ সম্পাদক আগা আজিজ  Logo স্বৈরাচার সরকারের দোসর বিসিক কর্মকর্তা সরোয়ার: দুর্নীতিতে গড়েছেন অবৈধ সম্পদের পাহাড় Logo শেখ হাসিনার প্রেতাত্মা মোজাম্মেলকে ফায়ার সার্ভিসে বহাল রাখতে মরিয়া সিন্ডিকেট Logo স্বৈরাচার সরকারের দোসর সিন্ডিকেট ফায়ার সার্ভিসে বহাল তবিয়তে Logo উত্তরার আতংক ছোটন পুলিশের খাঁচায় Logo বিশ্ব কন্যা শিশু দিবসে নেলসন ম্যান্ডেলা পিস এ্যাওয়ার্ড পেলেন সাংবাদিক এম শিমুল খান Logo জাতীয় সংসদে অঘোষিত প্রধানমন্ত্রী ইলিয়াস: দেশ-বিদেশের সম্পদের পাহাড়!




দেশের যেসব কোম্পানির পানিতেও ভেজাল

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:৫২:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০১৯ ১৩০ বার পড়া হয়েছে

ছবি : সংগৃহীত

পানির অপর নাম জীবন। তাই নিরাপদ ও বিশুদ্ধ পানির জন্য মানুষ অর্থ ব্যয় করে বিভিন্ন কোম্পানির পানি কিনে থাকে। কিন্তু বাজারে বিক্রি হওয়া এসব পানির মধ্যে ৭টি কোম্পানির পানি নিম্নমানের বলে প্রামাণ পেয়েছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্স অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)।

সম্প্রতি রমজান উপলক্ষ্য বিএসটিআই বাজার থেকে ৪০৬টি পণ্য সংগ্রহ করে পরীক্ষার করে। গত বৃহস্পতিবার (২ মে) মতিঝিলে শিল্প মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত হয়।

বাজার থেকে সংগ্রহ করা এসব পণ্যের নমুনা পরীক্ষা করার পর ৫২টি কোম্পানির ৫২টি পণ্য নিম্নমানের বলে জানায় বিএসটিআই। আর সেই তালিকায় নিম্নমানের পানি হিসাবে ওই ৭টি কোম্পানি নাম সেই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

বিএসটিআই’র তালিকায় থাকা নিম্নমানের পানি কোম্পানি গুলো হলো- আবরা ফুড এন্ড বেভারেজের আরা পানি, আল সাফি ড্রিংকিং ওয়াটারের আল সাফি পানি, শাহারী এন্ড ব্রাদার্সের মিজান পানি, মর্ণ ডিউ পিওয়র ড্রিংকিং ওয়াটারের মর্ণ ডিউ পানি, ডানকান প্রেডাক্টাস লিমিটেডের ডানকান পানি, আর আর ডিউ পিউরিফাইড ড্রিংকিং ওয়াটারের আর আর ডিউ পানি এবং দিঘী ড্রিংকিং ওয়াটারের দিঘী ব্র্যান্ডের পানি। আর এই সব গুলো পানির কোম্পানিই ঢাকার।

এ প্রসঙ্গে বিএসটিআইয়ের পরিচালক (সিএম) প্রকৌশলী এস এম ইসহাক আলী বলেন, ‘অভিযুক্ত কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে এরইমধ্যে সতর্ক করে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। অচিরেই এসব কোম্পানিতে অভিযান চালানো হবে। এরপরেও যদি পণ্যের গুণগত মান ঠিক না করা হয় তবে এসব কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

ইসহাক আলী আরো বলেন, ‘রমজান মাসে সরিষার তেল, লবণ, হলুদ ও মরিচের গুড়া, লাচ্ছা সেমাই, ঘি ও দই বেশি ক্রয় করে সাধারণ মানুষ। এর বাইরে পানির প্রয়োজন হয়। এসব পণ্য নিম্নমানের হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করতে হয়েছে। আমরা কি খাই প্রতিদিন- এই চিত্র দেখলেই বোঝা যায়। প্রতিবেদনের কপি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।’ অচিরেই এসব কোম্পানির বিরুদ্ধে জোরালো ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন পরিচালক।

এদিকে বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিএসটিআই’এর প্রতিবেদনটি প্রকাশ করার এক সপ্তাহের মাথায় জনস্বার্থে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন আইনজীবী শিহাব উদ্দিন খান।

সেই রিটে বিএসটিআই’র তালিকা ভুক্তো এসব নিম্নমানের পণ্য বাজার থেকে প্রত্যাহার ও গুণগত মান উন্নত না হওয়া পর্যন্ত পণ্য গুলোর উৎপাদন বন্ধ করার জন্য নির্দেশনা চাওয়া হয় সেই রিটে। বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চে আবেদনটির শুনানি হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




দেশের যেসব কোম্পানির পানিতেও ভেজাল

আপডেট সময় : ০৩:৫২:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০১৯

ছবি : সংগৃহীত

পানির অপর নাম জীবন। তাই নিরাপদ ও বিশুদ্ধ পানির জন্য মানুষ অর্থ ব্যয় করে বিভিন্ন কোম্পানির পানি কিনে থাকে। কিন্তু বাজারে বিক্রি হওয়া এসব পানির মধ্যে ৭টি কোম্পানির পানি নিম্নমানের বলে প্রামাণ পেয়েছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্স অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)।

সম্প্রতি রমজান উপলক্ষ্য বিএসটিআই বাজার থেকে ৪০৬টি পণ্য সংগ্রহ করে পরীক্ষার করে। গত বৃহস্পতিবার (২ মে) মতিঝিলে শিল্প মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত হয়।

বাজার থেকে সংগ্রহ করা এসব পণ্যের নমুনা পরীক্ষা করার পর ৫২টি কোম্পানির ৫২টি পণ্য নিম্নমানের বলে জানায় বিএসটিআই। আর সেই তালিকায় নিম্নমানের পানি হিসাবে ওই ৭টি কোম্পানি নাম সেই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

বিএসটিআই’র তালিকায় থাকা নিম্নমানের পানি কোম্পানি গুলো হলো- আবরা ফুড এন্ড বেভারেজের আরা পানি, আল সাফি ড্রিংকিং ওয়াটারের আল সাফি পানি, শাহারী এন্ড ব্রাদার্সের মিজান পানি, মর্ণ ডিউ পিওয়র ড্রিংকিং ওয়াটারের মর্ণ ডিউ পানি, ডানকান প্রেডাক্টাস লিমিটেডের ডানকান পানি, আর আর ডিউ পিউরিফাইড ড্রিংকিং ওয়াটারের আর আর ডিউ পানি এবং দিঘী ড্রিংকিং ওয়াটারের দিঘী ব্র্যান্ডের পানি। আর এই সব গুলো পানির কোম্পানিই ঢাকার।

এ প্রসঙ্গে বিএসটিআইয়ের পরিচালক (সিএম) প্রকৌশলী এস এম ইসহাক আলী বলেন, ‘অভিযুক্ত কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে এরইমধ্যে সতর্ক করে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। অচিরেই এসব কোম্পানিতে অভিযান চালানো হবে। এরপরেও যদি পণ্যের গুণগত মান ঠিক না করা হয় তবে এসব কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

ইসহাক আলী আরো বলেন, ‘রমজান মাসে সরিষার তেল, লবণ, হলুদ ও মরিচের গুড়া, লাচ্ছা সেমাই, ঘি ও দই বেশি ক্রয় করে সাধারণ মানুষ। এর বাইরে পানির প্রয়োজন হয়। এসব পণ্য নিম্নমানের হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করতে হয়েছে। আমরা কি খাই প্রতিদিন- এই চিত্র দেখলেই বোঝা যায়। প্রতিবেদনের কপি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।’ অচিরেই এসব কোম্পানির বিরুদ্ধে জোরালো ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন পরিচালক।

এদিকে বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিএসটিআই’এর প্রতিবেদনটি প্রকাশ করার এক সপ্তাহের মাথায় জনস্বার্থে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন আইনজীবী শিহাব উদ্দিন খান।

সেই রিটে বিএসটিআই’র তালিকা ভুক্তো এসব নিম্নমানের পণ্য বাজার থেকে প্রত্যাহার ও গুণগত মান উন্নত না হওয়া পর্যন্ত পণ্য গুলোর উৎপাদন বন্ধ করার জন্য নির্দেশনা চাওয়া হয় সেই রিটে। বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চে আবেদনটির শুনানি হবে।