ঢাকা ০৬:০৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বিএনপি নেতা মাহিদুর রহমান নেতৃত্বের বিস্ময় Logo স্বৈরাচারের দোসর প্রধান বিচারপতির ধর্ম ছেলে পরিচয়ে মোজাম্মেলের অধর্ম! Logo রাজধানীতে মার্কেট দখল করতে গিয়ে বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আটক Logo স্কুলের ভেতরে নিয়মিত চলে তাশ ও জুয়া! Logo চাঁদা চাওয়ায় দাকোপে ৫ আওয়ামীলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা Logo ভোলা জেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের সভাপতি আল আমিন সম্পাদক শামসউদ্দিন Logo বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির এর উদ্যোগে দুমকিতে ক্যারিয়ার সামিট অনুষ্ঠিত Logo সওজ তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে প্রচারিত প্রকাশিত মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ Logo বিপ্লবী গান, আবৃত্তি এবং কাওয়ালী গানে মেতেছে আশা বিশ্ববিদ্যালয় Logo ছত্রিশ টাকার নকলনবীশ প্রভাবশালী কোটিপতি!




মুক্তি পেলেন মিয়ানমারে আটক থাকা রয়টার্সের ২ সাংবাদিক

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:২৬:১৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ মে ২০১৯ ১১১ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক;
মিয়ানমারে আটক হওয়া রয়টার্সের সেই দুই সাংবাদিককে মুক্তি দেয়া হয়েছে। মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন ভঙ্গের অভিযোগে ৫০০ দিনের বেশি সময় কারাভোগের পর মুক্তি পেলেন তারা।

মুক্তির পর মঙ্গলবার সকালে রাজধানী ইয়াংগুনের একটি কারাগার বেরিয়ে আসেন সাংবাদিক ওয়া লোন (৩৩) এবং কিয়াও সোয়ে ও (২৯)। গত বছরের সেপ্টেম্বরে তাদের দু’জনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

তাদের দু’জনকে আটকের ঘটনায় মিয়ানমারে গণতন্ত্রের অগ্রগতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক এবং মানবাধিকার আইনজীবীরা। ওই দুই সাংবাদিককে গ্রেফতার এবং কারাদণ্ড দেয়ার ঘটনায় বিশ্বজুড়ে সমালোচনা শুরু হয়। তারপরেও নিজেদের সিদ্ধান্তে অনঢ় থেকে তাদের মুক্তি দেয়নি মিয়ানমার।

গত মাসে মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট নিজের ক্ষমতাবলে কয়েক হাজার বন্দীকে মুক্তি দেন। প্রতি বছরই দেশটি নববর্ষ উদযাপনকালে দেশব্যাপী বিপুল সংখ্যক বন্দিকে মুক্তি দিয়ে থাকে। এই প্রক্রিয়া শুরু হয় ১৭ এপ্রিল থেকে। এই প্রক্রিয়াতেই অন্যান্য বন্দীদের সঙ্গে মুক্তি পেলেন রয়টার্সের ওই দুই সাংবাদিক।

তবে বরাবরই রয়টার্সের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, ওই দুই সাংবাদিক কোন অপরাধ করেননি। তারা রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়নের সংবাদ সংগ্রহের জন্যই সেখানে গিয়েছিলেন। একই সঙ্গে বার বার তাদের মুক্তির দাবি জানানো হয়।

মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে ২০১৭ সালের আগস্টে বেশ কয়েকটি পুলিশ ও সেনা চেক পোষ্টে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে অভিযান শুরু করে সেনাবাহিনী। অভিযানের নামে সেখানে রোহিঙ্গা নারীদের ধর্ষণ, নির্বিচারে গুলি করে রোহিঙ্গাদের হত্যা ও তাদের বাড়ি-ঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়। এতে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।

২০১৭ সালের ডিসেম্বরে রাখাইনে ১০ রোহিঙ্গাকে গুলি করে হত্যার ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করতে যান ওই দুই সাংবাদিক। এরপরেই তাদের গ্রেফতার করা হয়। তাদের মুক্তির জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রচেষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন সাংবাদিক ওয়া লোন।

তিনি বলেন, আমি খুব খুশি। আমার পরিবার এবং সহকর্মীদের সঙ্গে দেখা করার জন্য আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। আমি নিউজরুমে যাওয়ার জন্য আর অপেক্ষা করতে পারছি না। হাত নেড়ে হাসিমুখে কথা বলেছেন অপর সাংবাদিক কিয়াও সোয়ে ও।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




মুক্তি পেলেন মিয়ানমারে আটক থাকা রয়টার্সের ২ সাংবাদিক

আপডেট সময় : ১১:২৬:১৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ মে ২০১৯

আন্তর্জাতিক ডেস্ক;
মিয়ানমারে আটক হওয়া রয়টার্সের সেই দুই সাংবাদিককে মুক্তি দেয়া হয়েছে। মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন ভঙ্গের অভিযোগে ৫০০ দিনের বেশি সময় কারাভোগের পর মুক্তি পেলেন তারা।

মুক্তির পর মঙ্গলবার সকালে রাজধানী ইয়াংগুনের একটি কারাগার বেরিয়ে আসেন সাংবাদিক ওয়া লোন (৩৩) এবং কিয়াও সোয়ে ও (২৯)। গত বছরের সেপ্টেম্বরে তাদের দু’জনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

তাদের দু’জনকে আটকের ঘটনায় মিয়ানমারে গণতন্ত্রের অগ্রগতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক এবং মানবাধিকার আইনজীবীরা। ওই দুই সাংবাদিককে গ্রেফতার এবং কারাদণ্ড দেয়ার ঘটনায় বিশ্বজুড়ে সমালোচনা শুরু হয়। তারপরেও নিজেদের সিদ্ধান্তে অনঢ় থেকে তাদের মুক্তি দেয়নি মিয়ানমার।

গত মাসে মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট নিজের ক্ষমতাবলে কয়েক হাজার বন্দীকে মুক্তি দেন। প্রতি বছরই দেশটি নববর্ষ উদযাপনকালে দেশব্যাপী বিপুল সংখ্যক বন্দিকে মুক্তি দিয়ে থাকে। এই প্রক্রিয়া শুরু হয় ১৭ এপ্রিল থেকে। এই প্রক্রিয়াতেই অন্যান্য বন্দীদের সঙ্গে মুক্তি পেলেন রয়টার্সের ওই দুই সাংবাদিক।

তবে বরাবরই রয়টার্সের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, ওই দুই সাংবাদিক কোন অপরাধ করেননি। তারা রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়নের সংবাদ সংগ্রহের জন্যই সেখানে গিয়েছিলেন। একই সঙ্গে বার বার তাদের মুক্তির দাবি জানানো হয়।

মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে ২০১৭ সালের আগস্টে বেশ কয়েকটি পুলিশ ও সেনা চেক পোষ্টে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে অভিযান শুরু করে সেনাবাহিনী। অভিযানের নামে সেখানে রোহিঙ্গা নারীদের ধর্ষণ, নির্বিচারে গুলি করে রোহিঙ্গাদের হত্যা ও তাদের বাড়ি-ঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়। এতে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।

২০১৭ সালের ডিসেম্বরে রাখাইনে ১০ রোহিঙ্গাকে গুলি করে হত্যার ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করতে যান ওই দুই সাংবাদিক। এরপরেই তাদের গ্রেফতার করা হয়। তাদের মুক্তির জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রচেষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন সাংবাদিক ওয়া লোন।

তিনি বলেন, আমি খুব খুশি। আমার পরিবার এবং সহকর্মীদের সঙ্গে দেখা করার জন্য আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। আমি নিউজরুমে যাওয়ার জন্য আর অপেক্ষা করতে পারছি না। হাত নেড়ে হাসিমুখে কথা বলেছেন অপর সাংবাদিক কিয়াও সোয়ে ও।