ঢাকা ০৪:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বার কাউন্সিলের ভুয়া সনদ বিক্রির মাস্টারমাইন্ড সহকারী পরিচালক জলিল! Logo চবি’ প্রাক্তন অর্থনীতি ছাত্র সমিতি কুয়েসা’র সভাপতি আব্দুল্লাহ সম্পাদক আগা আজিজ  Logo স্বৈরাচার সরকারের দোসর বিসিক কর্মকর্তা সরোয়ার: দুর্নীতিতে গড়েছেন অবৈধ সম্পদের পাহাড় Logo শেখ হাসিনার প্রেতাত্মা মোজাম্মেলকে ফায়ার সার্ভিসে বহাল রাখতে মরিয়া সিন্ডিকেট Logo Logo স্বৈরাচার সরকারের দোসর সিন্ডিকেট ফায়ার সার্ভিসে বহাল তবিয়তে Logo উত্তরার আতংক ছোটন পুলিশের খাঁচায় Logo বিশ্ব কন্যা শিশু দিবসে নেলসন ম্যান্ডেলা পিস এ্যাওয়ার্ড পেলেন সাংবাদিক এম শিমুল খান Logo জাতীয় সংসদে অঘোষিত প্রধানমন্ত্রী ইলিয়াস: দেশ-বিদেশের সম্পদের পাহাড়! Logo স্বৈরাচারের দোসরদের থাবায় পৈত্রিক সম্পদ হতে বিতারিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোতাহার হোসেন




বিএনপি ছাড়ছে পার্থের বিজেপি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৩৭:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ মে ২০১৯ ১৫১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক;
আরেক দফা ভাঙন দেখা দিল ২০ দলীয় জোটে। বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ এ জোট থেকে বের হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। সোমবার তার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে সোমবার রাত সোয়া ৮টার দিকে বিজেপি মহাসচিব আবদুল মতিন সাউদ এ তথ্য জানান। বিএনপির বিরুদ্ধে অবজ্ঞা অবহেলার অভিযোগ এনে তিনি বলেন, ২০ দলকে পাশ কাটিয়ে তারা গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। আমরা তাদের থেকে অবজ্ঞা অবহেলার শিকার হয়েছি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল বর্জন করেও তারা সংসদে যোগ দিয়েছে। অথচ বলে আসছে যে, তারা সংসদে যাবে না। তারা যে সংসদে যোগ দেবে সে বিষয়ে ২০ দলের সঙ্গে কোনো আলোচনাই করেনি।

আপনারা তাহলে কোন জোটে যোগ দিচ্ছেন- এমন প্রশ্নে সাউদ বলেন, আপাতত কোনো জোটে যাচ্ছি না। আমরা আমাদের দল গোছানোর কাজে ব্যস্ত থাকবো।

গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিজেপি ১৯৯৯ সাল থেকে চার দলীয় জোটে এবং পরবর্তীতে ২০ দলীয় জোটে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হওয়ার পর থেকে ২০ দলীয় জোটের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ক্রমশই স্থবির হয়ে পড়ে। ঐক্যফ্রন্টমুখী হওয়ায় ২০১৮ সালে ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনের আগে এবং পরবর্তীতে সরকারের সঙ্গে সংলাপসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে ২০ দলীয় জোটের বিএনপি ছাড়া অন্য কোনো দলের সম্পৃক্ততা ছিল না।

এতে আরও বলা হয়, কেবল সংহতি ও সহমত পোষণের জন্য ২০ দলীয় জোটের সভা ডাকা হতো। ৩০ ডিসেম্বরের প্রহসন ও ভোট ডাকাতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর ২০ দলীয় জোটের সবার সম্মতিক্রমে এ নির্বাচনকে প্রত্যাখান করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে প্রথমে ঐক্যফ্রন্টের দুজন এবং পরে বিএনপির সম্মতিতে দলটির চারজন সংসদ সদস্য শপথ নেয়ায় দেশবাসীর মতো বিজেপিও হতবাক হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শপথ নেয়ার এ সিদ্ধান্তের সঙ্গে বিএনপি ছাড়া ২০ দলের অন্য কোনো দলের সম্পৃক্ততা নেই। বিজেপির ধারণা, এ শপথের মাধ্যমে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট ৩০ ডিসেম্বরের প্রহসনের নির্বাচনকে প্রত্যাখান করার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে। এ অবস্থায় ২০ দলীয় জোটের বিদ্যমান রাজনীতি পরিস্থিতি বিবেচনা করে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) ২০ দলীয় জোটের সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে বেরিয়ে আসছে।

উল্লেখ্য, গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করায় বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট ত্যাগ করে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি বাংলাদেশ ন্যাপ ও ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি)। যদিও তাদের একটি অংশ পরে ২০ দলের সঙ্গে থেকে যায়। পরবর্তীতে আরো ৩টি দল ২০ দলীয় জোটে যোগ দেয়। ২৩ দল বিশিষ্ট ২০ দলীয় জোট এখন ২২ দল বিশিষ্ট ২০ দলীয় জোটের পরিণত হলো।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




বিএনপি ছাড়ছে পার্থের বিজেপি

আপডেট সময় : ০৯:৩৭:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ মে ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক;
আরেক দফা ভাঙন দেখা দিল ২০ দলীয় জোটে। বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ এ জোট থেকে বের হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। সোমবার তার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে সোমবার রাত সোয়া ৮টার দিকে বিজেপি মহাসচিব আবদুল মতিন সাউদ এ তথ্য জানান। বিএনপির বিরুদ্ধে অবজ্ঞা অবহেলার অভিযোগ এনে তিনি বলেন, ২০ দলকে পাশ কাটিয়ে তারা গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। আমরা তাদের থেকে অবজ্ঞা অবহেলার শিকার হয়েছি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল বর্জন করেও তারা সংসদে যোগ দিয়েছে। অথচ বলে আসছে যে, তারা সংসদে যাবে না। তারা যে সংসদে যোগ দেবে সে বিষয়ে ২০ দলের সঙ্গে কোনো আলোচনাই করেনি।

আপনারা তাহলে কোন জোটে যোগ দিচ্ছেন- এমন প্রশ্নে সাউদ বলেন, আপাতত কোনো জোটে যাচ্ছি না। আমরা আমাদের দল গোছানোর কাজে ব্যস্ত থাকবো।

গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিজেপি ১৯৯৯ সাল থেকে চার দলীয় জোটে এবং পরবর্তীতে ২০ দলীয় জোটে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হওয়ার পর থেকে ২০ দলীয় জোটের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ক্রমশই স্থবির হয়ে পড়ে। ঐক্যফ্রন্টমুখী হওয়ায় ২০১৮ সালে ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনের আগে এবং পরবর্তীতে সরকারের সঙ্গে সংলাপসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে ২০ দলীয় জোটের বিএনপি ছাড়া অন্য কোনো দলের সম্পৃক্ততা ছিল না।

এতে আরও বলা হয়, কেবল সংহতি ও সহমত পোষণের জন্য ২০ দলীয় জোটের সভা ডাকা হতো। ৩০ ডিসেম্বরের প্রহসন ও ভোট ডাকাতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর ২০ দলীয় জোটের সবার সম্মতিক্রমে এ নির্বাচনকে প্রত্যাখান করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে প্রথমে ঐক্যফ্রন্টের দুজন এবং পরে বিএনপির সম্মতিতে দলটির চারজন সংসদ সদস্য শপথ নেয়ায় দেশবাসীর মতো বিজেপিও হতবাক হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শপথ নেয়ার এ সিদ্ধান্তের সঙ্গে বিএনপি ছাড়া ২০ দলের অন্য কোনো দলের সম্পৃক্ততা নেই। বিজেপির ধারণা, এ শপথের মাধ্যমে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট ৩০ ডিসেম্বরের প্রহসনের নির্বাচনকে প্রত্যাখান করার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে। এ অবস্থায় ২০ দলীয় জোটের বিদ্যমান রাজনীতি পরিস্থিতি বিবেচনা করে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) ২০ দলীয় জোটের সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে বেরিয়ে আসছে।

উল্লেখ্য, গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করায় বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট ত্যাগ করে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি বাংলাদেশ ন্যাপ ও ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি)। যদিও তাদের একটি অংশ পরে ২০ দলের সঙ্গে থেকে যায়। পরবর্তীতে আরো ৩টি দল ২০ দলীয় জোটে যোগ দেয়। ২৩ দল বিশিষ্ট ২০ দলীয় জোট এখন ২২ দল বিশিষ্ট ২০ দলীয় জোটের পরিণত হলো।