ঢাকা ১২:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo চবি’ প্রাক্তন অর্থনীতি ছাত্র সমিতি কুয়েসা’র সভাপতি আব্দুল্লাহ সম্পাদক আগা আজিজ  Logo স্বৈরাচার সরকারের দোসর বিসিক কর্মকর্তা সরোয়ার: দুর্নীতিতে গড়েছেন অবৈধ সম্পদের পাহাড় Logo শেখ হাসিনার প্রেতাত্মা মোজাম্মেলকে ফায়ার সার্ভিসে বহাল রাখতে মরিয়া সিন্ডিকেট Logo Logo স্বৈরাচার সরকারের দোসর সিন্ডিকেট ফায়ার সার্ভিসে বহাল তবিয়তে Logo উত্তরার আতংক ছোটন পুলিশের খাঁচায় Logo বিশ্ব কন্যা শিশু দিবসে নেলসন ম্যান্ডেলা পিস এ্যাওয়ার্ড পেলেন সাংবাদিক এম শিমুল খান Logo জাতীয় সংসদে অঘোষিত প্রধানমন্ত্রী ইলিয়াস: দেশ-বিদেশের সম্পদের পাহাড়! Logo স্বৈরাচারের দোসরদের থাবায় পৈত্রিক সম্পদ হতে বিতারিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোতাহার হোসেন Logo জিয়া সাইবার ফোর্স ঢাকা মহানগর উত্তর’ আহব্বায়ক কমিটি গঠন




ধানমন্ডিতে বাসায় ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি, গ্রেফতার ৩

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:০৭:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ মে ২০১৯ ১২৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক;
ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স ও স্মার্টকার্ড তৈরির সরঞ্জামসহ রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে দুই নারীসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উত্তরের একটি দল।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মোস্তফা কামাল জয় (৩৮), তার স্ত্রী শাম্মি আনসারী ও শাম্মির বোন সাদিয়া (২৩)। রোববার সকালে পশ্চিম ধানমন্ডির মধুবাগের একটি বাসার ষষ্ঠতলা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ বলছে, গ্রেফতারকৃত জয় লোকজনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ওই বাসায় থেকে কম্পিউটারে ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স, স্মার্টকার্ড, ব্লু-বুক তৈরি করতেন। আর তাকে এ কাজে সহায়তা করতেন স্ত্রী ও শ্যালিকা।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উত্তর বিভাগ জানায়, সাত বছর ধরে পরিবার নিয়ে দুই কক্ষের ওই ফ্ল্যাটে বসবাস করছেন মোস্তফা কামাল জয়। সবাই জয়কে কম্পিউটার ব্যবসায়ী হিসেবে জানলেও এর আড়ালে তিনি এই প্রতারণামূলক কাজ চালিয়ে আসছিলেন। বাসায় বসেই দুটি কম্পিউটারে তৈরি করতেন ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স। বিআরটিএর বিশেষ চিপ, নিরাপত্তা সিল, বিশেষ জলছাপ দেয়া এসব দেখে বোঝার উপায় নেই এর সবই জাল।

গ্রেফতারকৃত জয় গোয়েন্দা পুলিশকে জানায়, মালয়েশিয়ায় একসময় কম্পিউটার কারখানায় কাজ করতেন তিনি। পরে দেশে ফিরে নীলক্ষেতে একটি দোকান দেন। সেখানেই শুরু করে লাইসেন্স জাল করার কাজ। এক পর্যায়ে নীলক্ষেতের দোকান ছেড়ে দিয়ে বাসায় শুরু করেন এই ব্যবসা। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ই-মেইলে অর্ডার আসতো তার কাছে। সে অনুযায়ী কার্ড বানিয়ে পাঠিয়ে দিতেন নির্দিষ্ট ঠিকানায়।

এ ব্যাপারে গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার সুমন কান্তি চৌধুরী বলেন, ভাড়া বাসা থেকে ৭/৮ বছর ধরে অবৈধভাবে ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স ও স্মার্টকার্ড তৈরি করে আসছিলেন জয়। তার কাজে সহযোগী স্ত্রী ও শ্যালিকা।

সুমন কান্তি বলেন, বাসাটি থেকে বেশকিছু ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স, ব্লু-বুক ও স্মার্টকার্ড উদ্ধার করা হয়েছে। মূলত বিআরটিএর দালালসহ বিভিন্ন ব্যক্তি তার গ্রাহক। এছাড়া বিআরটিএর কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত কি না খতিয়ে তাও দেখা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ধানমন্ডিতে বাসায় ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি, গ্রেফতার ৩

আপডেট সময় : ০৮:০৭:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ মে ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক;
ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স ও স্মার্টকার্ড তৈরির সরঞ্জামসহ রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে দুই নারীসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উত্তরের একটি দল।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মোস্তফা কামাল জয় (৩৮), তার স্ত্রী শাম্মি আনসারী ও শাম্মির বোন সাদিয়া (২৩)। রোববার সকালে পশ্চিম ধানমন্ডির মধুবাগের একটি বাসার ষষ্ঠতলা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ বলছে, গ্রেফতারকৃত জয় লোকজনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ওই বাসায় থেকে কম্পিউটারে ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স, স্মার্টকার্ড, ব্লু-বুক তৈরি করতেন। আর তাকে এ কাজে সহায়তা করতেন স্ত্রী ও শ্যালিকা।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উত্তর বিভাগ জানায়, সাত বছর ধরে পরিবার নিয়ে দুই কক্ষের ওই ফ্ল্যাটে বসবাস করছেন মোস্তফা কামাল জয়। সবাই জয়কে কম্পিউটার ব্যবসায়ী হিসেবে জানলেও এর আড়ালে তিনি এই প্রতারণামূলক কাজ চালিয়ে আসছিলেন। বাসায় বসেই দুটি কম্পিউটারে তৈরি করতেন ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স। বিআরটিএর বিশেষ চিপ, নিরাপত্তা সিল, বিশেষ জলছাপ দেয়া এসব দেখে বোঝার উপায় নেই এর সবই জাল।

গ্রেফতারকৃত জয় গোয়েন্দা পুলিশকে জানায়, মালয়েশিয়ায় একসময় কম্পিউটার কারখানায় কাজ করতেন তিনি। পরে দেশে ফিরে নীলক্ষেতে একটি দোকান দেন। সেখানেই শুরু করে লাইসেন্স জাল করার কাজ। এক পর্যায়ে নীলক্ষেতের দোকান ছেড়ে দিয়ে বাসায় শুরু করেন এই ব্যবসা। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ই-মেইলে অর্ডার আসতো তার কাছে। সে অনুযায়ী কার্ড বানিয়ে পাঠিয়ে দিতেন নির্দিষ্ট ঠিকানায়।

এ ব্যাপারে গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার সুমন কান্তি চৌধুরী বলেন, ভাড়া বাসা থেকে ৭/৮ বছর ধরে অবৈধভাবে ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স ও স্মার্টকার্ড তৈরি করে আসছিলেন জয়। তার কাজে সহযোগী স্ত্রী ও শ্যালিকা।

সুমন কান্তি বলেন, বাসাটি থেকে বেশকিছু ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স, ব্লু-বুক ও স্মার্টকার্ড উদ্ধার করা হয়েছে। মূলত বিআরটিএর দালালসহ বিভিন্ন ব্যক্তি তার গ্রাহক। এছাড়া বিআরটিএর কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত কি না খতিয়ে তাও দেখা হচ্ছে।