ঢাকা ০৬:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রকারী মাস্টারমাইন্ড সেচ্ছাসেবকলীগ নেত্রী ফাতেমা আক্তার শাপলা Logo ‘শেখ হাসিনা ও জিয়াউলের বিরুদ্ধে ২০০ গুমের প্রমাণ মিলেছে’ Logo দুর্নীতির ছায়ায় রাজউক ইমারত পরিদর্শক মনিরুজ্জামান! Logo নিয়মিত চুমু খেলে মিলবে যে শারীরিক উপকার Logo প্রধান উপদেষ্টা কাতার যাচ্ছেন আজ, সফরসঙ্গী যারা Logo জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হলেন মুহাম্মদ আবু আবিদ Logo প্রধান উপদেষ্টার দেয়া নির্বাচনী সময়ে সন্তুষ্ট নয় বিএনপি Logo ডেসটিনি প্রতারক রফিকুল আমিনের নতুন রাজনৈতিক দল গঠন Logo একচেটিয়া লিফট সরবরাহ চুক্তি: ওয়ালটনের টাকায় শেখর সহ গণপূর্ত’ চার প্রকৌশলীর বিদেশ ভ্রমণ! Logo বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতা ডিপিডিসির প্রকৌশলী রাজ্জাক ধরাছোঁয়ার বাইরে পর্ব -১




ধানমন্ডিতে বাসায় ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি, গ্রেফতার ৩

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:০৭:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ মে ২০১৯ ১৬২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক;
ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স ও স্মার্টকার্ড তৈরির সরঞ্জামসহ রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে দুই নারীসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উত্তরের একটি দল।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মোস্তফা কামাল জয় (৩৮), তার স্ত্রী শাম্মি আনসারী ও শাম্মির বোন সাদিয়া (২৩)। রোববার সকালে পশ্চিম ধানমন্ডির মধুবাগের একটি বাসার ষষ্ঠতলা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ বলছে, গ্রেফতারকৃত জয় লোকজনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ওই বাসায় থেকে কম্পিউটারে ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স, স্মার্টকার্ড, ব্লু-বুক তৈরি করতেন। আর তাকে এ কাজে সহায়তা করতেন স্ত্রী ও শ্যালিকা।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উত্তর বিভাগ জানায়, সাত বছর ধরে পরিবার নিয়ে দুই কক্ষের ওই ফ্ল্যাটে বসবাস করছেন মোস্তফা কামাল জয়। সবাই জয়কে কম্পিউটার ব্যবসায়ী হিসেবে জানলেও এর আড়ালে তিনি এই প্রতারণামূলক কাজ চালিয়ে আসছিলেন। বাসায় বসেই দুটি কম্পিউটারে তৈরি করতেন ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স। বিআরটিএর বিশেষ চিপ, নিরাপত্তা সিল, বিশেষ জলছাপ দেয়া এসব দেখে বোঝার উপায় নেই এর সবই জাল।

গ্রেফতারকৃত জয় গোয়েন্দা পুলিশকে জানায়, মালয়েশিয়ায় একসময় কম্পিউটার কারখানায় কাজ করতেন তিনি। পরে দেশে ফিরে নীলক্ষেতে একটি দোকান দেন। সেখানেই শুরু করে লাইসেন্স জাল করার কাজ। এক পর্যায়ে নীলক্ষেতের দোকান ছেড়ে দিয়ে বাসায় শুরু করেন এই ব্যবসা। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ই-মেইলে অর্ডার আসতো তার কাছে। সে অনুযায়ী কার্ড বানিয়ে পাঠিয়ে দিতেন নির্দিষ্ট ঠিকানায়।

এ ব্যাপারে গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার সুমন কান্তি চৌধুরী বলেন, ভাড়া বাসা থেকে ৭/৮ বছর ধরে অবৈধভাবে ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স ও স্মার্টকার্ড তৈরি করে আসছিলেন জয়। তার কাজে সহযোগী স্ত্রী ও শ্যালিকা।

সুমন কান্তি বলেন, বাসাটি থেকে বেশকিছু ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স, ব্লু-বুক ও স্মার্টকার্ড উদ্ধার করা হয়েছে। মূলত বিআরটিএর দালালসহ বিভিন্ন ব্যক্তি তার গ্রাহক। এছাড়া বিআরটিএর কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত কি না খতিয়ে তাও দেখা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ধানমন্ডিতে বাসায় ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি, গ্রেফতার ৩

আপডেট সময় : ০৮:০৭:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ মে ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক;
ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স ও স্মার্টকার্ড তৈরির সরঞ্জামসহ রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে দুই নারীসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উত্তরের একটি দল।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মোস্তফা কামাল জয় (৩৮), তার স্ত্রী শাম্মি আনসারী ও শাম্মির বোন সাদিয়া (২৩)। রোববার সকালে পশ্চিম ধানমন্ডির মধুবাগের একটি বাসার ষষ্ঠতলা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ বলছে, গ্রেফতারকৃত জয় লোকজনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ওই বাসায় থেকে কম্পিউটারে ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স, স্মার্টকার্ড, ব্লু-বুক তৈরি করতেন। আর তাকে এ কাজে সহায়তা করতেন স্ত্রী ও শ্যালিকা।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উত্তর বিভাগ জানায়, সাত বছর ধরে পরিবার নিয়ে দুই কক্ষের ওই ফ্ল্যাটে বসবাস করছেন মোস্তফা কামাল জয়। সবাই জয়কে কম্পিউটার ব্যবসায়ী হিসেবে জানলেও এর আড়ালে তিনি এই প্রতারণামূলক কাজ চালিয়ে আসছিলেন। বাসায় বসেই দুটি কম্পিউটারে তৈরি করতেন ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স। বিআরটিএর বিশেষ চিপ, নিরাপত্তা সিল, বিশেষ জলছাপ দেয়া এসব দেখে বোঝার উপায় নেই এর সবই জাল।

গ্রেফতারকৃত জয় গোয়েন্দা পুলিশকে জানায়, মালয়েশিয়ায় একসময় কম্পিউটার কারখানায় কাজ করতেন তিনি। পরে দেশে ফিরে নীলক্ষেতে একটি দোকান দেন। সেখানেই শুরু করে লাইসেন্স জাল করার কাজ। এক পর্যায়ে নীলক্ষেতের দোকান ছেড়ে দিয়ে বাসায় শুরু করেন এই ব্যবসা। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ই-মেইলে অর্ডার আসতো তার কাছে। সে অনুযায়ী কার্ড বানিয়ে পাঠিয়ে দিতেন নির্দিষ্ট ঠিকানায়।

এ ব্যাপারে গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার সুমন কান্তি চৌধুরী বলেন, ভাড়া বাসা থেকে ৭/৮ বছর ধরে অবৈধভাবে ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স ও স্মার্টকার্ড তৈরি করে আসছিলেন জয়। তার কাজে সহযোগী স্ত্রী ও শ্যালিকা।

সুমন কান্তি বলেন, বাসাটি থেকে বেশকিছু ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স, ব্লু-বুক ও স্মার্টকার্ড উদ্ধার করা হয়েছে। মূলত বিআরটিএর দালালসহ বিভিন্ন ব্যক্তি তার গ্রাহক। এছাড়া বিআরটিএর কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত কি না খতিয়ে তাও দেখা হচ্ছে।