ঢাকা ০৯:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার! Logo ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়া শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোর সংস্কার শুরু Logo বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির দাবিতে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন Logo কুবি উপাচার্যের বক্তব্যের প্রমাণ দিতে শিক্ষক সমিতির সাত দিনের আল্টিমেটাম




ইফতারে ভেজাল রোধে প্রথম থেকেই চলবে অভিযান

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:৫৯:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ মে ২০১৯ ৬৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক ;

হোক গুলশান-বনানী কিংবা পুরান ঢাকার চকবাজার, ইফতারে ভেজাল রোধে ও মান শনাক্তে সব জায়গায়ই হাজির হবেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। কখনও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পোশাকে, কখনও সাদা পোশাকে প্রতিদিন মাঠে থাকবেন তারা।

রমজানে জনসাধারণ যাতে ন্যায্যমূল্যে ভেজালমুক্ত পণ্য ও ইফতার সামগ্রী কিনতে পারেন সেজন্য মাঠ পর্যায়ে অভিযানে নামবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বিএসটিআই, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর, র‌্যাব ও পুলিশের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

২০১৮ সালে প্রথমবারের মতো একসঙ্গে এই সংস্থাগুলো অভিযানে নামে। তবে সে সময় তাদের অভিজ্ঞতাটা তেমন ভালো ছিল না। চকবাজারের মতো ঐতিহ্যবাহী ইফতারের বাজারে পাওয়া যায় পোড়া মবিল, গুলশানের বাজারে ইফতার সামগ্রীর ছিল আকাশচুম্বী দাম। এসবের বিরুদ্ধে অভিযান ও জরিমানা করা হয়। এবার আবারও একইভাবে মাঠে নামার প্রস্তুতি নিয়েছে সংস্থাগুলো। ভেজাল সন্ধানের পাশাপাশি করবে বাজার মনিটরিং।

রমজান মাসে খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিতে ইতোমধ্যে পুরান ঢাকার ফল বাজারে অভিযান চালিয়েছে র‌্যাব। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে ওই অভিযানে প্রায় ১০ হাজার কেজির মতো পচা ও মেয়াদোত্তীর্ণ খেজুর জব্দ করা হয়।

আসন্ন রমজানেও মাঠে থাকার কথা জানিয়ে জাগো নিউজকে তিনি বলেন, ‘রমজানের আগে আমরা খেজুরসহ নানা খাদ্যদ্রব্যের কোল্ড স্টোরেজ, গোডাউন ও কারখানায় অভিযান পরিচালনা করেছি। এ সময় মেয়াদোত্তীর্ণ খেজুর জব্দ করা হয়েছে, তবে বাজারে অন্যান্য ফলের মান ভালো রয়েছে। সবাই নিশ্চিন্তে এগুলো খেতে পারবেন।

 

তিনি বলেন, পবিত্র এই মাসে রাজধানীতে প্রতিনিয়ত অভিযান চালাবে র‌্যাব। মূলত অভিযান হবে ইফতার ও খাবারকেন্দ্রিক। যাতে কেউ ইফতার পণ্যে কেমিক্যাল কিংবা রঙ ব্যবহার করতে না পারেন সেদিকে লক্ষ্য রাখা হবে। পাশাপাশি যৌক্তিক মূল্য না নিয়ে অতিরিক্ত মূল্য আদায় করলে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এছাড়া পুরো বছর ভোক্তাদের সন্তুষ্টি নিয়ে কাজ করা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরও মাঠে থাকবে রমজানে। তারা মূলত ইফতার সামগ্রী তৈরির পরিবেশ, খাবারের পরিমাণ, দাম, ওজনে কারচুপিসহ নানা বিষয়ে নজরদারি করবে। অভিযানে তাদের সহযোগিতা করবে আর্মড পুলিশ ব্যাটেলিয়ন (এপিবিএন)।

এ সম্পর্কে অধিদফতরটির ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (উপ-সচিব) মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি ও খাদ্যে ভেজাল দেয়া যাবে না। এজন্য রমজানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যকর ইফতার সামগ্রী তৈরির বিষয়ে বিক্রেতাদের সতর্ক করা হবে।

তিনি আরও বলেন, এছাড়া ভেজালপণ্য বিক্রি, মিথ্যা বিজ্ঞাপন, ওজনে কারচুপি, অতিরিক্ত মূল্য আদায়সহ ভোক্তার অধিকার ক্ষুণ্ন হলেই আইন অনুযায়ী শাস্তি দেয়া হবে। রমজান মাস জুড়ে রাজধানীর চকবাজার, বেইলি রোড, ধানমন্ডিসহ ইফতার সামগ্রী বিক্রি করে এমন সব এলাকায়ই অভিযান চালানো হবে। প্রতিদিন একাধিক স্পটে অভিযান চলবে।

প্রতি বছরের মতো এবারও রমজানে ভেজালবিরোধী অভিযান চালাবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। রমজানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও ইফতারে খাদ্য ভেজাল নিয়ে গত ২৫ এপ্রিল ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার সভাপতিত্বে জরুরি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

সভায় ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘পবিত্র এই মাসে রাজধানীতে ভেজালমুক্ত খাবার নিশ্চিতে ও খাবারে সব ধরনের ভেজাল প্রতিরোধে কাজ করবে পুলিশের ভ্রাম্যমাণ আদালত। ডিএমপির তত্ত্বাবধানে সক্রিয় থাকবে এই আদালত।’

এদিকে র‌্যাবের সঙ্গে যৌথভাবে ভেজালবিরোধী অভিযান শুরু করেছে দেশের একমাত্র মান নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসটিআই। ঢাকা ছাড়াও কেরানীগঞ্জ, গাজীপুর, সাভার, আশুলিয়া, ধামরাই, নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন উপজেলায় অভিযান চালাবে তারা।

বিএসটিআই জানায়, রমজান মাসে রোজাদাররা বিশেষ করে মুড়ি, খেজুর, কলা, সফট ড্রিংক পাউডার (ট্যাঙ, রাসনা) ইত্যাদি পানীয় ও খাবার খেয়ে থাকেন। বাজারে এগুলোর মান যাচাই করা হবে। অনেকে বিএসটিআইয়ের ভুয়া সিল দিয়ে নকল পণ্য তৈরি করছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, রমজানে বাজার মনিটরিংয়ের সব ব্যবস্থা নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। পাশাপশি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ও বাজার মনিটর করবে। রমজানকে ঘিরে কোনো ব্যবসায়ী সুযোগ নিচ্ছে কি-না সে বিষয়টি আমরা নজরে রাখছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ইফতারে ভেজাল রোধে প্রথম থেকেই চলবে অভিযান

আপডেট সময় : ০৩:৫৯:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ মে ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক ;

হোক গুলশান-বনানী কিংবা পুরান ঢাকার চকবাজার, ইফতারে ভেজাল রোধে ও মান শনাক্তে সব জায়গায়ই হাজির হবেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। কখনও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পোশাকে, কখনও সাদা পোশাকে প্রতিদিন মাঠে থাকবেন তারা।

রমজানে জনসাধারণ যাতে ন্যায্যমূল্যে ভেজালমুক্ত পণ্য ও ইফতার সামগ্রী কিনতে পারেন সেজন্য মাঠ পর্যায়ে অভিযানে নামবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বিএসটিআই, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর, র‌্যাব ও পুলিশের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

২০১৮ সালে প্রথমবারের মতো একসঙ্গে এই সংস্থাগুলো অভিযানে নামে। তবে সে সময় তাদের অভিজ্ঞতাটা তেমন ভালো ছিল না। চকবাজারের মতো ঐতিহ্যবাহী ইফতারের বাজারে পাওয়া যায় পোড়া মবিল, গুলশানের বাজারে ইফতার সামগ্রীর ছিল আকাশচুম্বী দাম। এসবের বিরুদ্ধে অভিযান ও জরিমানা করা হয়। এবার আবারও একইভাবে মাঠে নামার প্রস্তুতি নিয়েছে সংস্থাগুলো। ভেজাল সন্ধানের পাশাপাশি করবে বাজার মনিটরিং।

রমজান মাসে খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিতে ইতোমধ্যে পুরান ঢাকার ফল বাজারে অভিযান চালিয়েছে র‌্যাব। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে ওই অভিযানে প্রায় ১০ হাজার কেজির মতো পচা ও মেয়াদোত্তীর্ণ খেজুর জব্দ করা হয়।

আসন্ন রমজানেও মাঠে থাকার কথা জানিয়ে জাগো নিউজকে তিনি বলেন, ‘রমজানের আগে আমরা খেজুরসহ নানা খাদ্যদ্রব্যের কোল্ড স্টোরেজ, গোডাউন ও কারখানায় অভিযান পরিচালনা করেছি। এ সময় মেয়াদোত্তীর্ণ খেজুর জব্দ করা হয়েছে, তবে বাজারে অন্যান্য ফলের মান ভালো রয়েছে। সবাই নিশ্চিন্তে এগুলো খেতে পারবেন।

 

তিনি বলেন, পবিত্র এই মাসে রাজধানীতে প্রতিনিয়ত অভিযান চালাবে র‌্যাব। মূলত অভিযান হবে ইফতার ও খাবারকেন্দ্রিক। যাতে কেউ ইফতার পণ্যে কেমিক্যাল কিংবা রঙ ব্যবহার করতে না পারেন সেদিকে লক্ষ্য রাখা হবে। পাশাপাশি যৌক্তিক মূল্য না নিয়ে অতিরিক্ত মূল্য আদায় করলে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এছাড়া পুরো বছর ভোক্তাদের সন্তুষ্টি নিয়ে কাজ করা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরও মাঠে থাকবে রমজানে। তারা মূলত ইফতার সামগ্রী তৈরির পরিবেশ, খাবারের পরিমাণ, দাম, ওজনে কারচুপিসহ নানা বিষয়ে নজরদারি করবে। অভিযানে তাদের সহযোগিতা করবে আর্মড পুলিশ ব্যাটেলিয়ন (এপিবিএন)।

এ সম্পর্কে অধিদফতরটির ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (উপ-সচিব) মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি ও খাদ্যে ভেজাল দেয়া যাবে না। এজন্য রমজানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যকর ইফতার সামগ্রী তৈরির বিষয়ে বিক্রেতাদের সতর্ক করা হবে।

তিনি আরও বলেন, এছাড়া ভেজালপণ্য বিক্রি, মিথ্যা বিজ্ঞাপন, ওজনে কারচুপি, অতিরিক্ত মূল্য আদায়সহ ভোক্তার অধিকার ক্ষুণ্ন হলেই আইন অনুযায়ী শাস্তি দেয়া হবে। রমজান মাস জুড়ে রাজধানীর চকবাজার, বেইলি রোড, ধানমন্ডিসহ ইফতার সামগ্রী বিক্রি করে এমন সব এলাকায়ই অভিযান চালানো হবে। প্রতিদিন একাধিক স্পটে অভিযান চলবে।

প্রতি বছরের মতো এবারও রমজানে ভেজালবিরোধী অভিযান চালাবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। রমজানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও ইফতারে খাদ্য ভেজাল নিয়ে গত ২৫ এপ্রিল ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার সভাপতিত্বে জরুরি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

সভায় ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘পবিত্র এই মাসে রাজধানীতে ভেজালমুক্ত খাবার নিশ্চিতে ও খাবারে সব ধরনের ভেজাল প্রতিরোধে কাজ করবে পুলিশের ভ্রাম্যমাণ আদালত। ডিএমপির তত্ত্বাবধানে সক্রিয় থাকবে এই আদালত।’

এদিকে র‌্যাবের সঙ্গে যৌথভাবে ভেজালবিরোধী অভিযান শুরু করেছে দেশের একমাত্র মান নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসটিআই। ঢাকা ছাড়াও কেরানীগঞ্জ, গাজীপুর, সাভার, আশুলিয়া, ধামরাই, নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন উপজেলায় অভিযান চালাবে তারা।

বিএসটিআই জানায়, রমজান মাসে রোজাদাররা বিশেষ করে মুড়ি, খেজুর, কলা, সফট ড্রিংক পাউডার (ট্যাঙ, রাসনা) ইত্যাদি পানীয় ও খাবার খেয়ে থাকেন। বাজারে এগুলোর মান যাচাই করা হবে। অনেকে বিএসটিআইয়ের ভুয়া সিল দিয়ে নকল পণ্য তৈরি করছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, রমজানে বাজার মনিটরিংয়ের সব ব্যবস্থা নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। পাশাপশি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ও বাজার মনিটর করবে। রমজানকে ঘিরে কোনো ব্যবসায়ী সুযোগ নিচ্ছে কি-না সে বিষয়টি আমরা নজরে রাখছি।