ঢাকা ০৪:৩০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ




ফণী এখন ঢাকা অঞ্চলে, বৃষ্টি থাকবে সারাদিন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৩২:০৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ মে ২০১৯ ১০৯ বার পড়া হয়েছে

সকালের সংবাদ;
সাতক্ষীরা, খুলনা, যশোর অঞ্চল দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে ঘূর্ণিঝড় ফণী। শনিবার (৪ মে) সকাল ৬টায় প্রবেশে করে ফণী। এরপর দেশের উত্তর ও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ‘ফণী’র প্রভাবে আজ শনিবার (৪ মে) সারাদিনই দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হতে পারে। আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক শামছুদ্দীন আহমেদ এই তথ্য জানিয়েছেন।

ফণীর প্রভাবে শুক্রবার সকাল থেকেই সারা দেশে থেমে থেকে বৃষ্টি ও দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি হচ্ছে। একইসঙ্গে ঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকা স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২-৪ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে বলেও সতর্ক করা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটারে পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।

মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৭ নম্বর বিপদসংকেতের আওতায় থাকবে।

চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৬ নম্বর বিপদসংকেতের আওতায় থাকবে।

কক্সবাজার সমূদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় এবং অমাবস্যার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২-৪ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

ফণী এখন বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলের স্থলভাগে (চুয়াডাঙা, রাজবাড়ি, মানিকগঞ্জ, ঢাকা অঞ্চলে) অবস্থান করছে। এটি আরো ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা ঘূর্ণিঝড় হিসেবেই থেকে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। পরে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিক হয়ে ভারতের আসাম মেঘালয়ে প্রবেশ করবে। ফণীর গতি ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার।

রোববার (৫ মে) বিকেলের পর থেকে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নতি হবে। পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত সাধারণ মানুষকে নিরাপদে আশ্রয়ে থাকতে অনুরোধ করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ফণী এখন ঢাকা অঞ্চলে, বৃষ্টি থাকবে সারাদিন

আপডেট সময় : ১১:৩২:০৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ মে ২০১৯

সকালের সংবাদ;
সাতক্ষীরা, খুলনা, যশোর অঞ্চল দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে ঘূর্ণিঝড় ফণী। শনিবার (৪ মে) সকাল ৬টায় প্রবেশে করে ফণী। এরপর দেশের উত্তর ও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ‘ফণী’র প্রভাবে আজ শনিবার (৪ মে) সারাদিনই দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হতে পারে। আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক শামছুদ্দীন আহমেদ এই তথ্য জানিয়েছেন।

ফণীর প্রভাবে শুক্রবার সকাল থেকেই সারা দেশে থেমে থেকে বৃষ্টি ও দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি হচ্ছে। একইসঙ্গে ঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকা স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২-৪ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে বলেও সতর্ক করা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটারে পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।

মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৭ নম্বর বিপদসংকেতের আওতায় থাকবে।

চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৬ নম্বর বিপদসংকেতের আওতায় থাকবে।

কক্সবাজার সমূদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় এবং অমাবস্যার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২-৪ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

ফণী এখন বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলের স্থলভাগে (চুয়াডাঙা, রাজবাড়ি, মানিকগঞ্জ, ঢাকা অঞ্চলে) অবস্থান করছে। এটি আরো ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা ঘূর্ণিঝড় হিসেবেই থেকে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। পরে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিক হয়ে ভারতের আসাম মেঘালয়ে প্রবেশ করবে। ফণীর গতি ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার।

রোববার (৫ মে) বিকেলের পর থেকে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নতি হবে। পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত সাধারণ মানুষকে নিরাপদে আশ্রয়ে থাকতে অনুরোধ করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।