ঢাকা ০৬:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo শাবি ক্যাম্পাসে আন্দোলনকারীদের ছড়ানো গুজবে সয়লাব Logo সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কে আন্দোলনকারীরা পুলিশের উপর হামলা চালালে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে Logo জবিতে আজীবন ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ Logo শাবিতে হল প্রশাসনকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে নোটিসে জোর পূর্বক সাইন আদায় Logo এবার সামনে আসছে ছাত্রলীগ কর্তৃক আন্দোলনকারীদের মারধরের আরো ঘটনা Logo আবাসিক হল ছাড়ছে শাবি শিক্ষার্থীরা Logo নিরাপত্তার স্বার্থে শাবি শিক্ষার্থীদের আইডিকার্ড সাথে রাখার আহবান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের Logo জনস্বাস্থ্যের প্রধান সাধুর যত অসাধু কর্ম: দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগ! Logo বিআইডব্লিউটিএ বন্দর শাখা যুগ্ম পরিচালক আলমগীরের দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্য  Logo রাজশাহীতে এটিএন বাংলার সাংবাদিক সুজাউদ্দিন ছোটনকে হয়রানিমূলক মামলায় বএিমইউজরে নিন্দা ও প্রতিবাদ




ঘূর্ণিঝড় ফণী; তলিয়ে গেল কুতুবদিয়ার ২০ গ্রাম

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:০৩:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ মে ২০১৯ ৮৩ বার পড়া হয়েছে

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ফণী প্রচণ্ড শক্তি নিয়ে আজ শুক্রবার ভোরে ভারতের উড়িষ্যার উপকূলে আঘাত হেনেছে।

এনডিটিভি অনলাইনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতের পর প্রবল ঝোড়ো হাওয়া বইছে। বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, ঘূর্ণিঝড় ফণীর মূল অংশটি বাংলাদেশের সীমানা থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে ভারতে অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এদিকে কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় ঘূর্ণিঝড় ফনির প্রভাবে সামুদ্রিক জোয়ারে বেড়িবাঁধের ভাঙন দিয়ে লোকালয়ে পানি ঢুকে অন্তত ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। শুক্রবার (০৩ মে) এই গ্রামগুলো প্লাবিত হয়।

কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপক কুমার রায় বলেন, ‘স্থানীয় চেয়ারম্যান, জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় প্লাবিত এলাকার প্রায় শতাধিক পরিবারের লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া লোকজনকে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে উপজেলা প্রশাসন থেকে।’

তিনি জানান, শুক্রবার সকালে উপজেলা প্রশাসন থেকে বেড়িবাঁধ ভাঙন এলাকায় বসবাসরত লোকজনকে মাইকিং করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

ইউএনও জানান, মুরালিয়া পাড়া, তাবলের চর ও কাইছার পাড়া বেড়িবাঁধের ভাঙন দিয়ে লোকালয়ে সামুদ্রিক জোয়ারের পানি ঢুকে প্লাবিত হয়েছে।

এলাকাবাসী জানান, উপজেলার আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের পশ্চিম তাবলরচর,আনিচের ডেইল, জেলেপাড়া, কাহারপাড়া, বড়ঘোপের দক্ষিণ মুরালিয়া, অমজাখালী,আজম কলোনী, কৈয়ারবিলেরমলমচর,উত্তর কৈয়ারবিল, মহাজনপাড়া, মফজল ডিলার পাড়া, ধুরুং কাইছারপাড়া, বাতিঘর পাড়া এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

বান্দরবান পানি উন্নয়ন বোর্ড়ের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, আমরা তাবলের চর এলাকার ভাঙন রোধের চেষ্টা করছি। পূর্বে থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৭১ পোল্ডারের কুতুবদিয়া দ্বীপে ১৪ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ভাঙা ছিল। বিগত দুই বছর পূর্বে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় প্রায় ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে বাঁধ নির্মাণ করার জন্য ঠিকাদার নিয়োগ দিলেও যথাসময়ে কাজ করেনি।

এদিকে ভারতের ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে ঘূর্ণিঝড় ফণীর তাণ্ডবের প্রভাবে বজ্রপাত ও গাছ উপড়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে উত্তর প্রদেশে ৮ জন ও উড়িষ্যায় ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ঘূর্ণিঝড় ফণী; তলিয়ে গেল কুতুবদিয়ার ২০ গ্রাম

আপডেট সময় : ১২:০৩:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ মে ২০১৯

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ফণী প্রচণ্ড শক্তি নিয়ে আজ শুক্রবার ভোরে ভারতের উড়িষ্যার উপকূলে আঘাত হেনেছে।

এনডিটিভি অনলাইনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতের পর প্রবল ঝোড়ো হাওয়া বইছে। বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, ঘূর্ণিঝড় ফণীর মূল অংশটি বাংলাদেশের সীমানা থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে ভারতে অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এদিকে কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় ঘূর্ণিঝড় ফনির প্রভাবে সামুদ্রিক জোয়ারে বেড়িবাঁধের ভাঙন দিয়ে লোকালয়ে পানি ঢুকে অন্তত ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। শুক্রবার (০৩ মে) এই গ্রামগুলো প্লাবিত হয়।

কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপক কুমার রায় বলেন, ‘স্থানীয় চেয়ারম্যান, জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় প্লাবিত এলাকার প্রায় শতাধিক পরিবারের লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া লোকজনকে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে উপজেলা প্রশাসন থেকে।’

তিনি জানান, শুক্রবার সকালে উপজেলা প্রশাসন থেকে বেড়িবাঁধ ভাঙন এলাকায় বসবাসরত লোকজনকে মাইকিং করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

ইউএনও জানান, মুরালিয়া পাড়া, তাবলের চর ও কাইছার পাড়া বেড়িবাঁধের ভাঙন দিয়ে লোকালয়ে সামুদ্রিক জোয়ারের পানি ঢুকে প্লাবিত হয়েছে।

এলাকাবাসী জানান, উপজেলার আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের পশ্চিম তাবলরচর,আনিচের ডেইল, জেলেপাড়া, কাহারপাড়া, বড়ঘোপের দক্ষিণ মুরালিয়া, অমজাখালী,আজম কলোনী, কৈয়ারবিলেরমলমচর,উত্তর কৈয়ারবিল, মহাজনপাড়া, মফজল ডিলার পাড়া, ধুরুং কাইছারপাড়া, বাতিঘর পাড়া এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

বান্দরবান পানি উন্নয়ন বোর্ড়ের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, আমরা তাবলের চর এলাকার ভাঙন রোধের চেষ্টা করছি। পূর্বে থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৭১ পোল্ডারের কুতুবদিয়া দ্বীপে ১৪ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ভাঙা ছিল। বিগত দুই বছর পূর্বে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় প্রায় ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে বাঁধ নির্মাণ করার জন্য ঠিকাদার নিয়োগ দিলেও যথাসময়ে কাজ করেনি।

এদিকে ভারতের ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে ঘূর্ণিঝড় ফণীর তাণ্ডবের প্রভাবে বজ্রপাত ও গাছ উপড়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে উত্তর প্রদেশে ৮ জন ও উড়িষ্যায় ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।