ঢাকা ১১:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৩০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বোরহানউদ্দিনে পৌর বিএনপি নেতাদের চাঁদাবাজির অভিযোগ: প্রশাসন নীরব Logo সাংবাদিক সন্তানদের চেক প্রদান নিয়ে ডিসির অশোভন কান্ড Logo প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ Logo ছাড়পত্র ও লাইসেন্স বাণিজ্য করে পরিবেশ অধিদপ্তরের জহিরুল কোটিপতি Logo ছাড়পত্র ও লাইসেন্সের নামে পরিবেশ অধিদপ্তরের আবুল কালামের কোটি টাকার বাণিজ্য Logo বেসরকারি টিভি চ্যানেল এস’ সুজিত চক্রবর্তী গং কর্তৃক সাংবাদিকদের হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে মানববন্ধন Logo ফ্যাসিস্টের দোসর বিটিভির প্রকৌশলী মনিরুল ইসলামের হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি! পর্ব ১ Logo সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশনের কক্সবাজার ভ্রমন Logo দুদকের মামলার মাথায় নিয়েও বহাল কুমেক হাসপাতালের আবুল Logo সংস্কারের বিপরীতে রহস্যজনক বদলী: এক চিঠিতে ৫২ রদবদল ফায়ার সার্ভিসে!




দুর্গাপুরে চাল কুমড়া চাষে ক্ষতির মুখে কৃষক

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৫৪:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ মে ২০১৯ ১১৪ বার পড়া হয়েছে

নেত্রকোনা প্রতিনিধি:

সীমান্ত উপজেলা নেত্রকোনার দুর্গাপুর। কয়েক বছর ধরে শুকনো মৌসুমে ওই অঞ্চলের কৃষকরা চাল কুমড়া চাষে লাভ পাওয়ায় এই অবাদে ঝুঁকছিলো কৃষকেরা। কিন্তু এবছর গাছ মরে শুকিয়ে যাওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েন তারা। কৃষি কর্মকর্তার দাবী জমিতে মাত্রাতিরিক্ত সার প্রয়োগ করায় ফসলের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে।

সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পাহাড়ী অঞ্চলে বোরো আবাদে ক্ষতির মুখে পড়ে পড়ে নিন্ম আয়ের কৃষককুল নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছিলো। বিকল্প হিসেবে তাদের অনেকে পরীক্ষামূলক চাল কুমড়া আবাদ করেন। এতে বেশ লাভবান হতে থাকেন তারা। ফলে এর চাহিদা বাড়তে থকে। এরই ধারবাহিকতায় উপজেলার প্রায় ৩ হাজার কৃষক গত মৌসুমে প্রায় ৫০ হেক্টরের বেশি জমিতে চালকুমড়ার আবাদ করেন। যা থেকে ২৪০০ মেট্রিক টন চালকুমড়া পাওয়া যায়। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও উপজেলার চকলেগুড়া, খুড়িউড়া, চন্ডিগড়, কাকৈরগড়া সহ বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৬০ হেক্টর জমিতে চালকুমড়া আবাদ হয়েছে।

স্থানীয় কৃষক নিজাম উদ্দিন, রহিম মিয়া, রনি, কৃষক ও কামাল মিয়া জানান, উপজেলার কয়েক হাজার কৃষক বছরের অগ্রহায়ণ মাসের শুরু দিয়ে জমিতে চালকুমড়া বীজ রোপন করেন। যা সাধারণত জ্যেষ্ঠ মাসে মাঝামাঝি সময় প্রর্যন্ত ফলন দেয়। কিন্তু এ বছর চৈত্র মাসের শুরু দিকেই গাছে ফল আসার সাথে সাথে একে একে মরতে শুরু করে চারা গাছ। যা বৈশাখ মাসে এসে ব্যাপক ক্ষতির রূপ ধারণ করে।
অনেকেই জমি লিজ নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে তাতে চাষাবাদ করে আসছিলো। দিশেহারা হয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকতা সহ বাজারের সার বিক্রেতাদের কাছে পরামর্শ নিয়েও ঔষুধ দিয়েও কোনা কাজ হয়নি। তারা বলেন, কোন কৃষি কর্মকর্তাও মাঠে আসেনি। যদি মাঠে আসতেন তারা তাহলে হয়তো এমন ক্ষতি হতো না।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ এল এম রেজুয়ান জানান, এই উপজেলায় দিনদিন চাল কুমড়ার আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ দিয়েই অনেকেই লাভবান হচ্ছেন। কিন্তু এবছর কিছু কৃষক জমিতে মাত্রাতিরিক্ত সার প্রয়োগ করায় ফসলের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। তাদেরকে পরামর্শ দিচ্ছি, যাতে করে পরপর একই জমিতে ৩ বারের বেশি চাল কুমড়া আবাদ না করেন। সেইসাথে তাদের একটি তালিকা করে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করারও আশ্বাস দেন তিনি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




দুর্গাপুরে চাল কুমড়া চাষে ক্ষতির মুখে কৃষক

আপডেট সময় : ১১:৫৪:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ মে ২০১৯

নেত্রকোনা প্রতিনিধি:

সীমান্ত উপজেলা নেত্রকোনার দুর্গাপুর। কয়েক বছর ধরে শুকনো মৌসুমে ওই অঞ্চলের কৃষকরা চাল কুমড়া চাষে লাভ পাওয়ায় এই অবাদে ঝুঁকছিলো কৃষকেরা। কিন্তু এবছর গাছ মরে শুকিয়ে যাওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েন তারা। কৃষি কর্মকর্তার দাবী জমিতে মাত্রাতিরিক্ত সার প্রয়োগ করায় ফসলের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে।

সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পাহাড়ী অঞ্চলে বোরো আবাদে ক্ষতির মুখে পড়ে পড়ে নিন্ম আয়ের কৃষককুল নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছিলো। বিকল্প হিসেবে তাদের অনেকে পরীক্ষামূলক চাল কুমড়া আবাদ করেন। এতে বেশ লাভবান হতে থাকেন তারা। ফলে এর চাহিদা বাড়তে থকে। এরই ধারবাহিকতায় উপজেলার প্রায় ৩ হাজার কৃষক গত মৌসুমে প্রায় ৫০ হেক্টরের বেশি জমিতে চালকুমড়ার আবাদ করেন। যা থেকে ২৪০০ মেট্রিক টন চালকুমড়া পাওয়া যায়। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও উপজেলার চকলেগুড়া, খুড়িউড়া, চন্ডিগড়, কাকৈরগড়া সহ বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৬০ হেক্টর জমিতে চালকুমড়া আবাদ হয়েছে।

স্থানীয় কৃষক নিজাম উদ্দিন, রহিম মিয়া, রনি, কৃষক ও কামাল মিয়া জানান, উপজেলার কয়েক হাজার কৃষক বছরের অগ্রহায়ণ মাসের শুরু দিয়ে জমিতে চালকুমড়া বীজ রোপন করেন। যা সাধারণত জ্যেষ্ঠ মাসে মাঝামাঝি সময় প্রর্যন্ত ফলন দেয়। কিন্তু এ বছর চৈত্র মাসের শুরু দিকেই গাছে ফল আসার সাথে সাথে একে একে মরতে শুরু করে চারা গাছ। যা বৈশাখ মাসে এসে ব্যাপক ক্ষতির রূপ ধারণ করে।
অনেকেই জমি লিজ নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে তাতে চাষাবাদ করে আসছিলো। দিশেহারা হয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকতা সহ বাজারের সার বিক্রেতাদের কাছে পরামর্শ নিয়েও ঔষুধ দিয়েও কোনা কাজ হয়নি। তারা বলেন, কোন কৃষি কর্মকর্তাও মাঠে আসেনি। যদি মাঠে আসতেন তারা তাহলে হয়তো এমন ক্ষতি হতো না।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ এল এম রেজুয়ান জানান, এই উপজেলায় দিনদিন চাল কুমড়ার আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ দিয়েই অনেকেই লাভবান হচ্ছেন। কিন্তু এবছর কিছু কৃষক জমিতে মাত্রাতিরিক্ত সার প্রয়োগ করায় ফসলের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। তাদেরকে পরামর্শ দিচ্ছি, যাতে করে পরপর একই জমিতে ৩ বারের বেশি চাল কুমড়া আবাদ না করেন। সেইসাথে তাদের একটি তালিকা করে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করারও আশ্বাস দেন তিনি