নিজস্ব প্রতিবেদক;
ঘূর্ণিঝড় ফণী থেকে রক্ষা পেতে মসজিদে মসজিদে দোয়া অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার জুমার নামাজের পর ফণীর কবল থেকে যেন দেশবাসী রক্ষা পায় সে জন্য মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করবেন ধর্মপ্রাণ মানুষেরা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীর প্রতি এ আহ্বান জানিয়েছেন বলে জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।
লন্ডন সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের মাধ্যমে দেশবাসীর প্রতি এ আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ উপকূলের দিকে এগিয়ে আসায় দেশের তিনটি সমুদ্রবন্দরে বিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে। মোংলা ও পায়রায় ৭ নম্বর এবং চট্টগ্রামে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর। এ ছাড়া কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে আগের মতোই ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। গতকাল থেকেই এ সংকেত বহাল রয়েছে।
ঝড়ের গতি ও বিপদের সম্ভাব্য মাত্রা বিবেচনায় ১ থেকে ১১ নম্বর সংকেত দিয়ে সতর্কতার মাত্রা বোঝানো হয়। তবে ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে বাংলাদেশে বিপদ সংকেত আর না বাড়ার কথা জানানো হয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর থেকে।
‘ফণী’ ইতোমধ্যে ভারতের ওড়িশা উপকূলে আঘাত হেনেছে। সেখানে এটা ১৮০ কিলোমিটার বাতাসের গতি নিয়ে আঘাত করে। ঘূর্ণিঝড় হিসেবেই মধ্যরাতে বাংলাদেশ অতিক্রম করবে ফণী। অতিক্রম করার সময় এর বাতাসের গতি হতে পারে ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার। এ গতিও আশঙ্কাজনক। এজন্য সবাইকে নিরাপদে থাকতে হবে।
ভারতের আবহাওয়া অধিদফতরের পক্ষ থেকে শুরুতে বলা হয়েছিল শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে বঙ্গোপসাগর থেকে স্থলভূমিতে ঢুকবে ঘূর্ণিঝড়। কিন্তু তার আগেই সকালেই ওড়িশায় আঘাত হানে ফণী। ওড়িশা উপকূল হয়ে ‘ফণী’