চাঁদে যাচ্ছে ভারত

- আপডেট সময় : ১২:২৪:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩ মে ২০১৯ ১৮৭ বার পড়া হয়েছে

আগামী জুলাই মাসের ৯ থেকে ১৬ তারিখের মধ্যে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্র নির্মিত চন্দলয়া-২ নামের একটি স্পেসশিপ চাঁদের উদ্দেশে রওনা হবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ৬ সেপ্টেম্বর এই মহাকাশযানের চাঁদে অবতরণের কথা রয়েছে।
এর আগে ২০০৮ সালে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র থেকে চন্দ্রলয়া-১ নামে একটি চন্দ্রযান পাঠায়। তবে সেই অভিযান সফল হয়নি। এক বছর পর বিজ্ঞানীরা মহাকাশযানটির সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।
ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র (আইএসআরও) জানিয়েছে, এই মিশনে চাঁদের পৃষ্ঠে অবতরণের জন্য একটি ল্যান্ডার, একটি অরবিটার থাকছে। সঙ্গে থাকছে চাঁদে চলার জন্য একটি মুন রোভার (চাঁদে চলনক্ষম যান)। এই মুন রোভারটির নাম ‘প্রজ্ঞা’ রাখা হয়েছে। বাংলার মতো হিন্দিতেও প্রজ্ঞা শব্দটির অর্থ জ্ঞান।
প্রায় ৮০০ কোটি রুপি খরচে জিওসিঙ্ক্রোনাস স্যাটেলাইট লঞ্চ ভিহাইকেল এমকে ১১১’র যাত্রা শুরু হবে শ্রীহরিকতা নামক জায়গা থেকে।
মহাকাশ গবেষণা এজেন্সির পক্ষ থেকে আরো জানানো হয় এটি চাঁদের দক্ষিণ পোলে নামার চেষ্টা করবে। চাঁদের এই বিশেষ অঞ্চলে এর আগে কোনো দেশই যায়নি।
এর আগে চাঁদের উদ্দেশে বেসরকারি অর্থায়নে ইসরাইলের প্রথম অভিযান ব্যর্থ হয়। বেরেশিট নামে এই মহাকাশযানটি কারিগরি ত্রুটির কারণে অবতরণে ব্যর্থ হয়। এই অভিযানের উদ্দেশ্য ছিল চাঁদের ভূপৃষ্ঠের ছবি তোলা ও সেখানে পরীক্ষা চালানো। প্রায় সাড়ে সাত সপ্তাহ সময়ের পর মহাকাশযানটি চাঁদে পৌছায়। তবে ৪ এপ্রিল চাঁদের মহাকর্ষ বলে আটকা পড়ে। এই পদ্ধতি অনুসরণ করায় সাধারণত চাঁদের উদ্দেশে রওনা দেওয়া মহাকাশযানগুলোর চেয়ে প্রায় ১৫ গুণ বেশি দূরত্ব অতিক্রম করতে হয়েছে বেরেশিটকে।
যদি ভারত এইবারের চন্দ্রাভিযানে সফল হয় তাহলে চতুর্থ দেশ হিসেবে দেশটি চাঁদে যাবে। এর আগে রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র এবং চীন এই গৌরব অর্জন করেছে।