ঢাকা ০৪:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo ছাড়পত্র ও লাইসেন্স বাণিজ্য করে পরিবেশ অধিদপ্তরের জহিরুল কোটিপতি Logo ছাড়পত্র ও লাইসেন্সের নামে পরিবেশ অধিদপ্তরের আবুল কালামের কোটি টাকার বাণিজ্য Logo বেসরকারি টিভি চ্যানেল এস’ সুজিত চক্রবর্তী গং কর্তৃক সাংবাদিকদের হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে মানববন্ধন Logo ফ্যাসিস্টের দোসর বিটিভির প্রকৌশলী মনিরুল ইসলামের হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি! পর্ব ১ Logo সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশনের কক্সবাজার ভ্রমন Logo দুদকের মামলার মাথায় নিয়েও বহাল কুমেক হাসপাতালের আবুল Logo সংস্কারের বিপরীতে রহস্যজনক বদলী: এক চিঠিতে ৫২ রদবদল ফায়ার সার্ভিসে! Logo গণপূর্তে ফ্যাসিস্ট সরকারের আস্থাভাজন কর্মকর্তাদের দুর্নীতির সিন্ডিকেট সক্রিয়  Logo বাংলাদেশ সাইন ম্যাটেরিয়ালস এন্ড মেশিনারিজ ইমপোর্টার্স এসোসিয়েশন’ সভাপতি খালেদ সাধারণ সম্পাদক মানিক  Logo চৌদ্দগ্রামে এলজি বন্ধুক ও দেশীয় অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটক: টর্চার সেলের সন্ধান




শ্রীলঙ্কায় হামলার ৯ আত্মঘাতীর নাম প্রকাশ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৪৯:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০১৯ ১২৫ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক;

শ্রীলঙ্কায় ইস্টার সানডেতে ভয়াবহ সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় ৯ আত্মঘাতীর নাম প্রকাশ করেছে দেশটির পুলিশ। ভয়াবহ ওই হামলায় ২৫৩ জন নিহত এবং আরও পাঁচ শতাধিক মানুষ আহত হয়। সন্ত্রাসবিরোধী আইনে আত্মঘাতী হামলাকারীদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

শ্রীলঙ্কা পুলিশের মুখপাত্র রুয়ান গুনাসেকেরা বুধবার নিশ্চিত করেছেন যে, দুটি বিলাসবহুল হোটেলে দুই ভাই আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছে। তারা কলম্বোর একটি ধনী পরিবারের সন্তান। ওই পরিবারটি মসলা রফতানি করে থাকে।

জঙ্গিরা এক একটি স্থানে এক একজন আত্মঘাতীকে পাঠিয়েছিল। তবে ব্যতিক্রম ছিল সাংরি লা হোটেল। সেখানে দু’জনকে পাঠানো হয়েছিল। তারা দুটি বিস্ফোরণ ঘটায়।

সাংরি লা হোটেলের হামলাকারীদের একজন হলেন জাহরান হাসিম। তিনি স্থানীয় জঙ্গি গোষ্ঠী ন্যাশনাল তাওহীদ জামাতের নেতা। ওই হামলার জন্য দেশটির সরকার তাওহীদ জামাতকে দায়ী করে আসছে। যদিও হামলার পরপরই এর দায় স্বীকার করেছে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট। সম্প্রতি তাওহীদ জামাতসহ দুটি ইসলামিক সংগঠনকে নিষিদ্ধ করেছে শ্রীলঙ্কা।

সাংরি লা হোটেলে ইলহাম আহমেদ মোহাম্মদ ইব্রাহিমের সঙ্গে জোট বেধে হামলা চালায় জাহরান হাসিম। অপরদিকে ইলহামের বড় ভাই ইনসাফ আহমেদ কাছাকাছি চিনামোন গ্র্যান্ড হোটেলে হামলা চালায়।

হামলার তৃতীয় স্থান ছিল কিংসবারি হোটেল। সেখানে হামলা চালিয়েছে মোহাম্মদ আজম মুবারক মোহাম্মদ। তার স্ত্রী এখন পুলিশের হেফাজতে আছেন।

সেন্ট অ্যান্থনি গির্জায় হামলা চালিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দা আহমেদ মুয়াজ। তার ভাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অপরদিকে সেন্ট সেবাসতিয়ান গির্জায় হামলা চালিয়েছে মোহাম্মদ হাসথুন। তিনি পূর্ব উপকূলের বাসিন্দা। হাশিমও ওই এলাকার বাসিন্দা। পূর্বাঞ্চলীয় বাতিকালোয়া জেলার ক্রিশ্চিয়ান জিওন গির্জায় হামলা চালিয়েছে মোহাম্মদ নাসের মোহাম্মদ আসাদ।

অপর এক ব্যক্তি আরও একটি বিলাসবহুল হোটেলে হামলার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। তবে সে তার সঙ্গে থাকা বিস্ফোরকের বিস্ফোরণ ঘটায় রাজধানীর কাছে অবস্থিত একটি গেস্ট হাউসে। ওই ব্যক্তির নাম আবদুল লতিফ। তিনি ব্রিটেন এবং অস্ট্রেলিয়া থেকে পড়াশুনা করে শ্রীলঙ্কায় বসবাস করছিলেন।

অপর এক স্থানে হামলা চালান ফাতিমা ইলহাম নামের এক নারী। তিনি অপর এক আত্মঘাতীর স্ত্রী। তিনি তার সঙ্গে থাকা বিস্ফোরকে বিস্ফোরণ ঘটালে তার দুই সন্তান এবং তিন পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




শ্রীলঙ্কায় হামলার ৯ আত্মঘাতীর নাম প্রকাশ

আপডেট সময় : ০৯:৪৯:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০১৯

আন্তর্জাতিক ডেস্ক;

শ্রীলঙ্কায় ইস্টার সানডেতে ভয়াবহ সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় ৯ আত্মঘাতীর নাম প্রকাশ করেছে দেশটির পুলিশ। ভয়াবহ ওই হামলায় ২৫৩ জন নিহত এবং আরও পাঁচ শতাধিক মানুষ আহত হয়। সন্ত্রাসবিরোধী আইনে আত্মঘাতী হামলাকারীদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

শ্রীলঙ্কা পুলিশের মুখপাত্র রুয়ান গুনাসেকেরা বুধবার নিশ্চিত করেছেন যে, দুটি বিলাসবহুল হোটেলে দুই ভাই আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছে। তারা কলম্বোর একটি ধনী পরিবারের সন্তান। ওই পরিবারটি মসলা রফতানি করে থাকে।

জঙ্গিরা এক একটি স্থানে এক একজন আত্মঘাতীকে পাঠিয়েছিল। তবে ব্যতিক্রম ছিল সাংরি লা হোটেল। সেখানে দু’জনকে পাঠানো হয়েছিল। তারা দুটি বিস্ফোরণ ঘটায়।

সাংরি লা হোটেলের হামলাকারীদের একজন হলেন জাহরান হাসিম। তিনি স্থানীয় জঙ্গি গোষ্ঠী ন্যাশনাল তাওহীদ জামাতের নেতা। ওই হামলার জন্য দেশটির সরকার তাওহীদ জামাতকে দায়ী করে আসছে। যদিও হামলার পরপরই এর দায় স্বীকার করেছে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট। সম্প্রতি তাওহীদ জামাতসহ দুটি ইসলামিক সংগঠনকে নিষিদ্ধ করেছে শ্রীলঙ্কা।

সাংরি লা হোটেলে ইলহাম আহমেদ মোহাম্মদ ইব্রাহিমের সঙ্গে জোট বেধে হামলা চালায় জাহরান হাসিম। অপরদিকে ইলহামের বড় ভাই ইনসাফ আহমেদ কাছাকাছি চিনামোন গ্র্যান্ড হোটেলে হামলা চালায়।

হামলার তৃতীয় স্থান ছিল কিংসবারি হোটেল। সেখানে হামলা চালিয়েছে মোহাম্মদ আজম মুবারক মোহাম্মদ। তার স্ত্রী এখন পুলিশের হেফাজতে আছেন।

সেন্ট অ্যান্থনি গির্জায় হামলা চালিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দা আহমেদ মুয়াজ। তার ভাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অপরদিকে সেন্ট সেবাসতিয়ান গির্জায় হামলা চালিয়েছে মোহাম্মদ হাসথুন। তিনি পূর্ব উপকূলের বাসিন্দা। হাশিমও ওই এলাকার বাসিন্দা। পূর্বাঞ্চলীয় বাতিকালোয়া জেলার ক্রিশ্চিয়ান জিওন গির্জায় হামলা চালিয়েছে মোহাম্মদ নাসের মোহাম্মদ আসাদ।

অপর এক ব্যক্তি আরও একটি বিলাসবহুল হোটেলে হামলার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। তবে সে তার সঙ্গে থাকা বিস্ফোরকের বিস্ফোরণ ঘটায় রাজধানীর কাছে অবস্থিত একটি গেস্ট হাউসে। ওই ব্যক্তির নাম আবদুল লতিফ। তিনি ব্রিটেন এবং অস্ট্রেলিয়া থেকে পড়াশুনা করে শ্রীলঙ্কায় বসবাস করছিলেন।

অপর এক স্থানে হামলা চালান ফাতিমা ইলহাম নামের এক নারী। তিনি অপর এক আত্মঘাতীর স্ত্রী। তিনি তার সঙ্গে থাকা বিস্ফোরকে বিস্ফোরণ ঘটালে তার দুই সন্তান এবং তিন পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়।