ঢাকা ০৫:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার!




এবার জনসনের বেবি শ্যাম্পুতে ক্ষতিকর উপাদান

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৫০:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০১৯ ১১৪ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ;
জনসন অ্যান্ড জনসনের বেবি পাউডারের পর এবার ক্ষতিকারক উপকরণ পাওয়া গেল কোম্পানিটির তৈরি বেবি শ্যাম্পুর নমুনায়। ভারতের রাজস্থান রাজ্যের ড্রাগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি এ পণ্যটি। যদিও বেবি শ্যাম্পু প্রস্তুতকারক সংস্থাটির দাবি, তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মিথ্যা। আর রাজ্য সরকারের এ রিপোর্টে নড়েচড়ে বসেছে ভারতীয় কেন্দ্রীয় সরকারও।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, সম্প্রতি জনসন অ্যান্ড জনসনের ‘নো মোর টিয়ার্স’বেবি শ্যাম্পুর দুটি ব্যাচের পণ্য সম্পর্কে আপত্তি জানিয়েছে রাজস্থান প্রশাসন। তাদের অভিযোগ, ক্ষতিকর রাসায়নিক ফরমালডিহাইডের উপস্থিতি পাওয়া গেছে বেবি শ্যাম্পুতে। আর সে কারণেই এই পণ্য বাজার থেকে তুলে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন।

প্রসঙ্গত, মাস কয়েক আগেই এই জনসনের বেবি পাউডারে অ্যাসবেস্টস থাকার অভিযোগ ওঠে। নিজেদের সংস্থার তৈরি শিশুদের গায়ে ব্যবহারের পাউডারে অ্যাসবেস্টস রয়েছে, এ কথা প্রথম থেকেই জানতো বিশ্বের জনপ্রিয়তম শিশু পণ্য প্রস্তুতকারক সংস্থা জনসন অ্যান্ড জনসন।

কিন্তু নিজেদের কাছে এই তথ্য থাকা সত্ত্বেও বার বার তা অস্বীকার করে গেছেন সংস্থার শীর্ষ কর্তা ব্যক্তিরা। সম্প্রতি রয়টার্সের একটি রিপোর্টে এই তথ্য সামনে এসেছে।

তবে কোম্পানিটির মুখপাত্র সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘রিপোর্ট বলছে, নমুনায় ফরম্যালডিহাইড পাওয়া গেছে, যা কারসিনোজেনিক অর্থাৎ মানবদেহে ক্যান্সার দানা বাঁধতে পারে, এ রকম উপকরণ রয়েছে। আমরা প্রাথমিক রিপোর্ট গ্রহণ করিনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পণ্য খুবই নিরাপদ। শিশুদের নিরাপত্তার কথা ভেবে পণ্য তৈরি করার ক্ষেত্রে আমরা সতর্কতা নিয়ে থাকি।’

খবরে বলা হয়েছে, হিসেব অনুযায়ী, পরীক্ষিত ওই দুটি ব্যাচের প্রতিটিতে ৫০ হাজার বোতল করে শ্যাম্পু রয়েছে। পণ্যটি হিমাচল প্রদেশে জনসন অ্যান্ড জনসনের কারখানায় তৈরি করা হয়েছে।

সংস্থার মুখপাত্র বলেছেন, ‘কেন্দ্রকে (ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার) আমরা জানিয়েছি পণ্যে ফরম্যালডিহাইড মেশানো হয়নি’।

রাজস্থান ড্রাগ কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের (আরডিসিও) কাছ থেকে এ ব্যাপারে মন্তব্যের জন্য যোগাযোগ করা যায়নি।

তবে জনসন অ্যান্ড জনসনের পক্ষ থেকে রয়টার্সের রিপোর্টকে ‘মিথ্যা ও অতিরঞ্জিত’বলা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




এবার জনসনের বেবি শ্যাম্পুতে ক্ষতিকর উপাদান

আপডেট সময় : ০৪:৫০:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০১৯

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ;
জনসন অ্যান্ড জনসনের বেবি পাউডারের পর এবার ক্ষতিকারক উপকরণ পাওয়া গেল কোম্পানিটির তৈরি বেবি শ্যাম্পুর নমুনায়। ভারতের রাজস্থান রাজ্যের ড্রাগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি এ পণ্যটি। যদিও বেবি শ্যাম্পু প্রস্তুতকারক সংস্থাটির দাবি, তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মিথ্যা। আর রাজ্য সরকারের এ রিপোর্টে নড়েচড়ে বসেছে ভারতীয় কেন্দ্রীয় সরকারও।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, সম্প্রতি জনসন অ্যান্ড জনসনের ‘নো মোর টিয়ার্স’বেবি শ্যাম্পুর দুটি ব্যাচের পণ্য সম্পর্কে আপত্তি জানিয়েছে রাজস্থান প্রশাসন। তাদের অভিযোগ, ক্ষতিকর রাসায়নিক ফরমালডিহাইডের উপস্থিতি পাওয়া গেছে বেবি শ্যাম্পুতে। আর সে কারণেই এই পণ্য বাজার থেকে তুলে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন।

প্রসঙ্গত, মাস কয়েক আগেই এই জনসনের বেবি পাউডারে অ্যাসবেস্টস থাকার অভিযোগ ওঠে। নিজেদের সংস্থার তৈরি শিশুদের গায়ে ব্যবহারের পাউডারে অ্যাসবেস্টস রয়েছে, এ কথা প্রথম থেকেই জানতো বিশ্বের জনপ্রিয়তম শিশু পণ্য প্রস্তুতকারক সংস্থা জনসন অ্যান্ড জনসন।

কিন্তু নিজেদের কাছে এই তথ্য থাকা সত্ত্বেও বার বার তা অস্বীকার করে গেছেন সংস্থার শীর্ষ কর্তা ব্যক্তিরা। সম্প্রতি রয়টার্সের একটি রিপোর্টে এই তথ্য সামনে এসেছে।

তবে কোম্পানিটির মুখপাত্র সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘রিপোর্ট বলছে, নমুনায় ফরম্যালডিহাইড পাওয়া গেছে, যা কারসিনোজেনিক অর্থাৎ মানবদেহে ক্যান্সার দানা বাঁধতে পারে, এ রকম উপকরণ রয়েছে। আমরা প্রাথমিক রিপোর্ট গ্রহণ করিনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পণ্য খুবই নিরাপদ। শিশুদের নিরাপত্তার কথা ভেবে পণ্য তৈরি করার ক্ষেত্রে আমরা সতর্কতা নিয়ে থাকি।’

খবরে বলা হয়েছে, হিসেব অনুযায়ী, পরীক্ষিত ওই দুটি ব্যাচের প্রতিটিতে ৫০ হাজার বোতল করে শ্যাম্পু রয়েছে। পণ্যটি হিমাচল প্রদেশে জনসন অ্যান্ড জনসনের কারখানায় তৈরি করা হয়েছে।

সংস্থার মুখপাত্র বলেছেন, ‘কেন্দ্রকে (ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার) আমরা জানিয়েছি পণ্যে ফরম্যালডিহাইড মেশানো হয়নি’।

রাজস্থান ড্রাগ কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের (আরডিসিও) কাছ থেকে এ ব্যাপারে মন্তব্যের জন্য যোগাযোগ করা যায়নি।

তবে জনসন অ্যান্ড জনসনের পক্ষ থেকে রয়টার্সের রিপোর্টকে ‘মিথ্যা ও অতিরঞ্জিত’বলা হয়েছে।