ঢাকা ১১:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ মে ২০২৩, ১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo নয়াদিল্লিতে আগামিকাল ভারতের নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন করবেন নরেন্দ্র মোদি Logo “দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হয়েও দীপ্তর স্বপ্ন শিল্পপতি হবে সে” Logo ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষায়ও জবি এলাকায় তীব্র যানজট: ভোগান্তিতে শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা! Logo গুচ্ছ সি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শনিবার Logo দ্রব্যমূল্যের অস্থিরতা, বিপাকে সাধারণ মানুষ Logo কেরানীগঞ্জে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ, নিপুন রায়সহ আহত ৫০ Logo দ্বিতীয় মেয়াদে ইউজিসির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ায় প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহকে মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক এর অভিনন্দন Logo কামারখালিতে কলেজ প্রভাষকের অশ্লীলতা ভাইরাল: নিরব কলেজ কর্তৃপক্ষ! Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির এক ব্যাচে জাতীয় দলের দুই ক্রিকেটারঃ জাকের হাসানের পর ভর্তি হলেন জাকের আলী অনিক Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হলেন জাতীয় দলের ক্রিকেটার জাকির হাসান




এবার জনসনের বেবি শ্যাম্পুতে ক্ষতিকর উপাদান

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৫০:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০১৯ ৪৬ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ;
জনসন অ্যান্ড জনসনের বেবি পাউডারের পর এবার ক্ষতিকারক উপকরণ পাওয়া গেল কোম্পানিটির তৈরি বেবি শ্যাম্পুর নমুনায়। ভারতের রাজস্থান রাজ্যের ড্রাগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি এ পণ্যটি। যদিও বেবি শ্যাম্পু প্রস্তুতকারক সংস্থাটির দাবি, তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মিথ্যা। আর রাজ্য সরকারের এ রিপোর্টে নড়েচড়ে বসেছে ভারতীয় কেন্দ্রীয় সরকারও।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, সম্প্রতি জনসন অ্যান্ড জনসনের ‘নো মোর টিয়ার্স’বেবি শ্যাম্পুর দুটি ব্যাচের পণ্য সম্পর্কে আপত্তি জানিয়েছে রাজস্থান প্রশাসন। তাদের অভিযোগ, ক্ষতিকর রাসায়নিক ফরমালডিহাইডের উপস্থিতি পাওয়া গেছে বেবি শ্যাম্পুতে। আর সে কারণেই এই পণ্য বাজার থেকে তুলে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন।

প্রসঙ্গত, মাস কয়েক আগেই এই জনসনের বেবি পাউডারে অ্যাসবেস্টস থাকার অভিযোগ ওঠে। নিজেদের সংস্থার তৈরি শিশুদের গায়ে ব্যবহারের পাউডারে অ্যাসবেস্টস রয়েছে, এ কথা প্রথম থেকেই জানতো বিশ্বের জনপ্রিয়তম শিশু পণ্য প্রস্তুতকারক সংস্থা জনসন অ্যান্ড জনসন।

কিন্তু নিজেদের কাছে এই তথ্য থাকা সত্ত্বেও বার বার তা অস্বীকার করে গেছেন সংস্থার শীর্ষ কর্তা ব্যক্তিরা। সম্প্রতি রয়টার্সের একটি রিপোর্টে এই তথ্য সামনে এসেছে।

তবে কোম্পানিটির মুখপাত্র সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘রিপোর্ট বলছে, নমুনায় ফরম্যালডিহাইড পাওয়া গেছে, যা কারসিনোজেনিক অর্থাৎ মানবদেহে ক্যান্সার দানা বাঁধতে পারে, এ রকম উপকরণ রয়েছে। আমরা প্রাথমিক রিপোর্ট গ্রহণ করিনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পণ্য খুবই নিরাপদ। শিশুদের নিরাপত্তার কথা ভেবে পণ্য তৈরি করার ক্ষেত্রে আমরা সতর্কতা নিয়ে থাকি।’

খবরে বলা হয়েছে, হিসেব অনুযায়ী, পরীক্ষিত ওই দুটি ব্যাচের প্রতিটিতে ৫০ হাজার বোতল করে শ্যাম্পু রয়েছে। পণ্যটি হিমাচল প্রদেশে জনসন অ্যান্ড জনসনের কারখানায় তৈরি করা হয়েছে।

সংস্থার মুখপাত্র বলেছেন, ‘কেন্দ্রকে (ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার) আমরা জানিয়েছি পণ্যে ফরম্যালডিহাইড মেশানো হয়নি’।

রাজস্থান ড্রাগ কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের (আরডিসিও) কাছ থেকে এ ব্যাপারে মন্তব্যের জন্য যোগাযোগ করা যায়নি।

তবে জনসন অ্যান্ড জনসনের পক্ষ থেকে রয়টার্সের রিপোর্টকে ‘মিথ্যা ও অতিরঞ্জিত’বলা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




এবার জনসনের বেবি শ্যাম্পুতে ক্ষতিকর উপাদান

আপডেট সময় : ০৪:৫০:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০১৯

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ;
জনসন অ্যান্ড জনসনের বেবি পাউডারের পর এবার ক্ষতিকারক উপকরণ পাওয়া গেল কোম্পানিটির তৈরি বেবি শ্যাম্পুর নমুনায়। ভারতের রাজস্থান রাজ্যের ড্রাগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি এ পণ্যটি। যদিও বেবি শ্যাম্পু প্রস্তুতকারক সংস্থাটির দাবি, তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মিথ্যা। আর রাজ্য সরকারের এ রিপোর্টে নড়েচড়ে বসেছে ভারতীয় কেন্দ্রীয় সরকারও।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, সম্প্রতি জনসন অ্যান্ড জনসনের ‘নো মোর টিয়ার্স’বেবি শ্যাম্পুর দুটি ব্যাচের পণ্য সম্পর্কে আপত্তি জানিয়েছে রাজস্থান প্রশাসন। তাদের অভিযোগ, ক্ষতিকর রাসায়নিক ফরমালডিহাইডের উপস্থিতি পাওয়া গেছে বেবি শ্যাম্পুতে। আর সে কারণেই এই পণ্য বাজার থেকে তুলে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন।

প্রসঙ্গত, মাস কয়েক আগেই এই জনসনের বেবি পাউডারে অ্যাসবেস্টস থাকার অভিযোগ ওঠে। নিজেদের সংস্থার তৈরি শিশুদের গায়ে ব্যবহারের পাউডারে অ্যাসবেস্টস রয়েছে, এ কথা প্রথম থেকেই জানতো বিশ্বের জনপ্রিয়তম শিশু পণ্য প্রস্তুতকারক সংস্থা জনসন অ্যান্ড জনসন।

কিন্তু নিজেদের কাছে এই তথ্য থাকা সত্ত্বেও বার বার তা অস্বীকার করে গেছেন সংস্থার শীর্ষ কর্তা ব্যক্তিরা। সম্প্রতি রয়টার্সের একটি রিপোর্টে এই তথ্য সামনে এসেছে।

তবে কোম্পানিটির মুখপাত্র সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘রিপোর্ট বলছে, নমুনায় ফরম্যালডিহাইড পাওয়া গেছে, যা কারসিনোজেনিক অর্থাৎ মানবদেহে ক্যান্সার দানা বাঁধতে পারে, এ রকম উপকরণ রয়েছে। আমরা প্রাথমিক রিপোর্ট গ্রহণ করিনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পণ্য খুবই নিরাপদ। শিশুদের নিরাপত্তার কথা ভেবে পণ্য তৈরি করার ক্ষেত্রে আমরা সতর্কতা নিয়ে থাকি।’

খবরে বলা হয়েছে, হিসেব অনুযায়ী, পরীক্ষিত ওই দুটি ব্যাচের প্রতিটিতে ৫০ হাজার বোতল করে শ্যাম্পু রয়েছে। পণ্যটি হিমাচল প্রদেশে জনসন অ্যান্ড জনসনের কারখানায় তৈরি করা হয়েছে।

সংস্থার মুখপাত্র বলেছেন, ‘কেন্দ্রকে (ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার) আমরা জানিয়েছি পণ্যে ফরম্যালডিহাইড মেশানো হয়নি’।

রাজস্থান ড্রাগ কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের (আরডিসিও) কাছ থেকে এ ব্যাপারে মন্তব্যের জন্য যোগাযোগ করা যায়নি।

তবে জনসন অ্যান্ড জনসনের পক্ষ থেকে রয়টার্সের রিপোর্টকে ‘মিথ্যা ও অতিরঞ্জিত’বলা হয়েছে।