ঢাকা ০৪:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার!




এক মণ ধানের মুল্যের চেয়েও ১ কেজি মাংসের দাম বেশী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:১৭:০৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০১৯ ৬০ বার পড়া হয়েছে

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি |

কিশোরগঞ্জে হাওরাঞ্চলের উপজেলাগুলোতে বর্তমানে এক মণ ধান বিক্রির টাকায় এক কেজি মাংসও কেনা যাচ্ছে না!

বর্তমানে কিশোরগঞ্জ সদরসহ বিভিন্ন উপজেলার বাজারে এক কেজি খাসির মাংস ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর এক মণ বোরো ধানের দাম ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। এ কারণে সাধারণ কৃষকের মুখে উঠছে না বোরো উৎসবের মাংসের স্বাদ।

জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার জয়কা ইউনিয়নের পানাহার গ্রামের কৃষক জুয়েল মিয়া দুঃখ করে বলেন, এভাবে কি আর সংসার চালানো যায়। এক মণ ধানে এক কেজি মাংসও কেনা যায় না। ধান বিক্রি করে কামলা আর জমির মালিকদের ঋণ দিতে দিতেই টাকা শেষ।

একই ধরনের দুঃখ প্রকাশ করেছেন, নিকলী সাইদর গ্রামের কৃষক মনু মিয়া, ইটনা উপজেলার মৃগা গ্রামের জমসেদ আলীসহ অনেকেই।

করিমগঞ্জ উপজেলার মরিচখালি গ্রামের কৃষক ছামসু মিয়া বলেন, শনিবার সকালে এক মণ বোরো ধান ৫৫০ টাকায় বিক্রি করে মরিচখালি বাজারে গিয়ে দেখি এক কেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকায়। বাধ্য হয়ে মাংস না নিয়ে খালি হাতেই বাড়িতে ফিরে আসি।

শনিবার সরেজমিনে হাওরবেষ্টিত বেশ কয়েকটি উপজেলায় বিভিন্ন বাজার ঘুরে বোরোর নতুন ধান কেনা-বেচা হচ্ছে দেখতে পাওয়া যায়। নতুন বোরো হাইব্রিড মোটা ধান প্রতি মণ ৪৫০ টাকা , ব্রি ২৯ধান ৫০০ টাকা ও ব্রি ২৮ ধান ৫৫০টাকার মধ্যে বেচা-কেনা হচ্ছে। একদিকে ধানে চিটা ও শিলাবৃষ্টিতে ধানের ফলন কম হলেও বাজারে দাম কম থাকায় কৃষকদের বুকে চাপা কান্না। তারা রীতিমতো হতাশ।

বিশেষ করে ক্ষুদ্র, প্রান্তিক ও বর্গা চাষিরা পড়েছেন চরম বেকায়দায়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন কৃষক বলেন, এ অবস্থা চলতে থাকলে এক সময় কৃষকেরা ধান চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে।

কিশোরগঞ্জ জেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, কিশোরগঞ্জের প্রতিটি উপজেলায় ধানের ভালো ফলন হয়েছে। তবে কৃষি শ্রমিকের দাম চড়া থাকায় কৃষকেরা ধান তাদের গোলায় তুলতে খরচ বেশি পড়েছে। এদিকে ধানের দাম কম থাকায় বর্গাচাষিরা কিছুটা বিপাকে পড়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




এক মণ ধানের মুল্যের চেয়েও ১ কেজি মাংসের দাম বেশী

আপডেট সময় : ১২:১৭:০৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০১৯

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি |

কিশোরগঞ্জে হাওরাঞ্চলের উপজেলাগুলোতে বর্তমানে এক মণ ধান বিক্রির টাকায় এক কেজি মাংসও কেনা যাচ্ছে না!

বর্তমানে কিশোরগঞ্জ সদরসহ বিভিন্ন উপজেলার বাজারে এক কেজি খাসির মাংস ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর এক মণ বোরো ধানের দাম ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। এ কারণে সাধারণ কৃষকের মুখে উঠছে না বোরো উৎসবের মাংসের স্বাদ।

জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার জয়কা ইউনিয়নের পানাহার গ্রামের কৃষক জুয়েল মিয়া দুঃখ করে বলেন, এভাবে কি আর সংসার চালানো যায়। এক মণ ধানে এক কেজি মাংসও কেনা যায় না। ধান বিক্রি করে কামলা আর জমির মালিকদের ঋণ দিতে দিতেই টাকা শেষ।

একই ধরনের দুঃখ প্রকাশ করেছেন, নিকলী সাইদর গ্রামের কৃষক মনু মিয়া, ইটনা উপজেলার মৃগা গ্রামের জমসেদ আলীসহ অনেকেই।

করিমগঞ্জ উপজেলার মরিচখালি গ্রামের কৃষক ছামসু মিয়া বলেন, শনিবার সকালে এক মণ বোরো ধান ৫৫০ টাকায় বিক্রি করে মরিচখালি বাজারে গিয়ে দেখি এক কেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকায়। বাধ্য হয়ে মাংস না নিয়ে খালি হাতেই বাড়িতে ফিরে আসি।

শনিবার সরেজমিনে হাওরবেষ্টিত বেশ কয়েকটি উপজেলায় বিভিন্ন বাজার ঘুরে বোরোর নতুন ধান কেনা-বেচা হচ্ছে দেখতে পাওয়া যায়। নতুন বোরো হাইব্রিড মোটা ধান প্রতি মণ ৪৫০ টাকা , ব্রি ২৯ধান ৫০০ টাকা ও ব্রি ২৮ ধান ৫৫০টাকার মধ্যে বেচা-কেনা হচ্ছে। একদিকে ধানে চিটা ও শিলাবৃষ্টিতে ধানের ফলন কম হলেও বাজারে দাম কম থাকায় কৃষকদের বুকে চাপা কান্না। তারা রীতিমতো হতাশ।

বিশেষ করে ক্ষুদ্র, প্রান্তিক ও বর্গা চাষিরা পড়েছেন চরম বেকায়দায়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন কৃষক বলেন, এ অবস্থা চলতে থাকলে এক সময় কৃষকেরা ধান চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে।

কিশোরগঞ্জ জেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, কিশোরগঞ্জের প্রতিটি উপজেলায় ধানের ভালো ফলন হয়েছে। তবে কৃষি শ্রমিকের দাম চড়া থাকায় কৃষকেরা ধান তাদের গোলায় তুলতে খরচ বেশি পড়েছে। এদিকে ধানের দাম কম থাকায় বর্গাচাষিরা কিছুটা বিপাকে পড়েছে।