ঢাকা ০১:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫, ১৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo আগস্ট বিপ্লবের অদৃশ্য শক্তি তারেক রহমান – মাহমুদ হাসান Logo ছাত্র জনতাকে ১০ মিনিটে ক্লিয়ার করার ঘোষণা দেয়া হামিদ চাকুরীতে বহাল Logo ছাত্রলীগ নেত্রী যুবলীগ নেতার প্রতারণার শিকার চিকিৎসক সালেহউদ্দিন: বিচার ও প্রতিকার দাবি Logo দেশসেরা সহকারী জজ পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জনে সংবর্ধনা Logo মাদরাসাসহ সকল শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবি বিএমজিটিএ’র Logo এনবিআরে আরেক মতিউর: কর কমিশনার কবিরের সম্পদের পাহাড় Logo চাকুরীর নামে ভুয়া মেজরের কোটি টাকার প্রতারণা: মিথ্যে মামলায় ভুক্তভোগীদের হয়রানি Logo পটুয়াখালী এলএ শাখায় ঘুষ ছাড়া সেবা পাচ্ছেনা ইপিজেড ও পায়রা বন্দরের ক্ষতিগ্রস্তরা Logo খুলনায় বন্ধ পাটকল চালু ও বকেয়া বেতনের দাবিতে আমজনতার দলের বিক্ষোভ Logo এলজিইডি প্রধান প্রকৌশলী রশীদ’র বিরুদ্ধে ৩০০ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ




এক মণ ধানের মুল্যের চেয়েও ১ কেজি মাংসের দাম বেশী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:১৭:০৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০১৯ ১০৫ বার পড়া হয়েছে

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি |

কিশোরগঞ্জে হাওরাঞ্চলের উপজেলাগুলোতে বর্তমানে এক মণ ধান বিক্রির টাকায় এক কেজি মাংসও কেনা যাচ্ছে না!

বর্তমানে কিশোরগঞ্জ সদরসহ বিভিন্ন উপজেলার বাজারে এক কেজি খাসির মাংস ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর এক মণ বোরো ধানের দাম ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। এ কারণে সাধারণ কৃষকের মুখে উঠছে না বোরো উৎসবের মাংসের স্বাদ।

জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার জয়কা ইউনিয়নের পানাহার গ্রামের কৃষক জুয়েল মিয়া দুঃখ করে বলেন, এভাবে কি আর সংসার চালানো যায়। এক মণ ধানে এক কেজি মাংসও কেনা যায় না। ধান বিক্রি করে কামলা আর জমির মালিকদের ঋণ দিতে দিতেই টাকা শেষ।

একই ধরনের দুঃখ প্রকাশ করেছেন, নিকলী সাইদর গ্রামের কৃষক মনু মিয়া, ইটনা উপজেলার মৃগা গ্রামের জমসেদ আলীসহ অনেকেই।

করিমগঞ্জ উপজেলার মরিচখালি গ্রামের কৃষক ছামসু মিয়া বলেন, শনিবার সকালে এক মণ বোরো ধান ৫৫০ টাকায় বিক্রি করে মরিচখালি বাজারে গিয়ে দেখি এক কেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকায়। বাধ্য হয়ে মাংস না নিয়ে খালি হাতেই বাড়িতে ফিরে আসি।

শনিবার সরেজমিনে হাওরবেষ্টিত বেশ কয়েকটি উপজেলায় বিভিন্ন বাজার ঘুরে বোরোর নতুন ধান কেনা-বেচা হচ্ছে দেখতে পাওয়া যায়। নতুন বোরো হাইব্রিড মোটা ধান প্রতি মণ ৪৫০ টাকা , ব্রি ২৯ধান ৫০০ টাকা ও ব্রি ২৮ ধান ৫৫০টাকার মধ্যে বেচা-কেনা হচ্ছে। একদিকে ধানে চিটা ও শিলাবৃষ্টিতে ধানের ফলন কম হলেও বাজারে দাম কম থাকায় কৃষকদের বুকে চাপা কান্না। তারা রীতিমতো হতাশ।

বিশেষ করে ক্ষুদ্র, প্রান্তিক ও বর্গা চাষিরা পড়েছেন চরম বেকায়দায়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন কৃষক বলেন, এ অবস্থা চলতে থাকলে এক সময় কৃষকেরা ধান চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে।

কিশোরগঞ্জ জেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, কিশোরগঞ্জের প্রতিটি উপজেলায় ধানের ভালো ফলন হয়েছে। তবে কৃষি শ্রমিকের দাম চড়া থাকায় কৃষকেরা ধান তাদের গোলায় তুলতে খরচ বেশি পড়েছে। এদিকে ধানের দাম কম থাকায় বর্গাচাষিরা কিছুটা বিপাকে পড়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




এক মণ ধানের মুল্যের চেয়েও ১ কেজি মাংসের দাম বেশী

আপডেট সময় : ১২:১৭:০৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০১৯

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি |

কিশোরগঞ্জে হাওরাঞ্চলের উপজেলাগুলোতে বর্তমানে এক মণ ধান বিক্রির টাকায় এক কেজি মাংসও কেনা যাচ্ছে না!

বর্তমানে কিশোরগঞ্জ সদরসহ বিভিন্ন উপজেলার বাজারে এক কেজি খাসির মাংস ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর এক মণ বোরো ধানের দাম ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। এ কারণে সাধারণ কৃষকের মুখে উঠছে না বোরো উৎসবের মাংসের স্বাদ।

জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার জয়কা ইউনিয়নের পানাহার গ্রামের কৃষক জুয়েল মিয়া দুঃখ করে বলেন, এভাবে কি আর সংসার চালানো যায়। এক মণ ধানে এক কেজি মাংসও কেনা যায় না। ধান বিক্রি করে কামলা আর জমির মালিকদের ঋণ দিতে দিতেই টাকা শেষ।

একই ধরনের দুঃখ প্রকাশ করেছেন, নিকলী সাইদর গ্রামের কৃষক মনু মিয়া, ইটনা উপজেলার মৃগা গ্রামের জমসেদ আলীসহ অনেকেই।

করিমগঞ্জ উপজেলার মরিচখালি গ্রামের কৃষক ছামসু মিয়া বলেন, শনিবার সকালে এক মণ বোরো ধান ৫৫০ টাকায় বিক্রি করে মরিচখালি বাজারে গিয়ে দেখি এক কেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকায়। বাধ্য হয়ে মাংস না নিয়ে খালি হাতেই বাড়িতে ফিরে আসি।

শনিবার সরেজমিনে হাওরবেষ্টিত বেশ কয়েকটি উপজেলায় বিভিন্ন বাজার ঘুরে বোরোর নতুন ধান কেনা-বেচা হচ্ছে দেখতে পাওয়া যায়। নতুন বোরো হাইব্রিড মোটা ধান প্রতি মণ ৪৫০ টাকা , ব্রি ২৯ধান ৫০০ টাকা ও ব্রি ২৮ ধান ৫৫০টাকার মধ্যে বেচা-কেনা হচ্ছে। একদিকে ধানে চিটা ও শিলাবৃষ্টিতে ধানের ফলন কম হলেও বাজারে দাম কম থাকায় কৃষকদের বুকে চাপা কান্না। তারা রীতিমতো হতাশ।

বিশেষ করে ক্ষুদ্র, প্রান্তিক ও বর্গা চাষিরা পড়েছেন চরম বেকায়দায়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন কৃষক বলেন, এ অবস্থা চলতে থাকলে এক সময় কৃষকেরা ধান চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে।

কিশোরগঞ্জ জেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, কিশোরগঞ্জের প্রতিটি উপজেলায় ধানের ভালো ফলন হয়েছে। তবে কৃষি শ্রমিকের দাম চড়া থাকায় কৃষকেরা ধান তাদের গোলায় তুলতে খরচ বেশি পড়েছে। এদিকে ধানের দাম কম থাকায় বর্গাচাষিরা কিছুটা বিপাকে পড়েছে।