নিজস্ব প্রতিবেদক |
দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’র তোড়জোড়ের মধ্যেই রোববার মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ল দেশ। এ দিন তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির কাছাকাছি পৌঁছেছে। তীব্র গরমের মধ্যেই ঘূর্ণিঝড় ফণির আগমনের বার্তাও দিচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা।
রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত এটি ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ, চেন্নাই ও শ্রীলঙ্কার ত্রিঙ্কোমালী উপকূলের দিকে যাচ্ছিল। ৩ মে নাগাদ এটি প্রবল হারিকেনের রূপ নিয়ে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ এবং তার পরবর্তীতে বাংলাদেশ উপকূলও অতিক্রম করতে পারে।
তবে বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করার ব্যাপারটি এখনো নিশ্চিত নয় বলে জানিয়েছে অধিদপ্তর।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক দেশ রূপান্তরকে বলেন, এখন পর্যন্ত এটি ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের দিকে এগোচ্ছে। তবে ঠিক কবে নাগাদ এবং কোন উপকূল অতিক্রম করবে সে ব্যাপারে এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। কারণ ঘূর্ণিঝড়গুলো অনেক সময় গতিপথ পরিবর্তন করে। তবে এখনকার পথে এগোলে এটি ৩ মে অন্ধ্র উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় ফণি তীব্র মাত্রায় বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রমের সম্ভাবনার কথা জানিয়ে তিনি জানান, ‘এটি ভেরি সিভিয়ার সাইক্লোন (হারিকেন) আকারে বাংলাদেশ উপকূলও অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এখনও তা নিশ্চিত নয়। এজন্য আরও কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হবে’।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বাতাসের গতিবেগ ১১৮-২১৯ কিলোমিটারের মধ্যে হলে তাকে হারিকেন নামে অভিহিত করা হয়।
ভারতের আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, রোববার বিকেল সাড়ে ৫টার সময় ঘূর্ণিঝড় ফণি শ্রীলঙ্কার ত্রিঙ্কোমালী থেকে ৬৩০ কিলোমিটার পূর্বে, ভারতের তামিলনাড়ুর চেন্নাই থেকে ৯১০ কিলোমিটার দক্ষিণপূর্বে ও ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের মাচিলিপত্তম থেকে ১০৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল।