ঢাকা ১১:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হলেন মুহাম্মদ আবু আবিদ Logo প্রধান উপদেষ্টার দেয়া নির্বাচনী সময়ে সন্তুষ্ট নয় বিএনপি Logo ডেসটিনি প্রতারক রফিকুল আমিনের নতুন রাজনৈতিক দল গঠন Logo একচেটিয়া লিফট সরবরাহ চুক্তি: ওয়ালটনের টাকায় শেখর সহ গণপূর্ত’ চার প্রকৌশলীর বিদেশ ভ্রমণ! Logo বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতা ডিপিডিসির প্রকৌশলী রাজ্জাক ধরাছোঁয়ার বাইরে পর্ব -১ Logo আগস্ট বিপ্লবের অদৃশ্য শক্তি তারেক রহমান – মাহমুদ হাসান Logo ছাত্র জনতাকে ১০ মিনিটে ক্লিয়ার করার ঘোষণা দেয়া হামিদ চাকুরীতে বহাল Logo ছাত্রলীগ নেত্রী যুবলীগ নেতার প্রতারণার শিকার চিকিৎসক সালেহউদ্দিন: বিচার ও প্রতিকার দাবি Logo দেশসেরা সহকারী জজ পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জনে সংবর্ধনা Logo মাদরাসাসহ সকল শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবি বিএমজিটিএ’র




একদিন বাংলাদেশ বিশ্বকাপ জয় করবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:১৫:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০১৯ ১৫৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক;
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাছোট থেকে বড়দের সবাইকে খেলাধুলার প্রতি আগ্রহী করে তুলতে অসামান্য অবদান রেখে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যার সবশেষ পদক্ষেপ বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপ। শনিবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে এর সমাপনী ও পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে এসেছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। দেশের ক্রীড়াঙ্গনের প্রতিটি ক্ষেত্রে উৎকর্ষতা অর্জনে কাজ করে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন শেখ হাসিনা। একদিন বাংলাদেশ বিশ্বকাপ জিতবে প্রত্যাশা সরকার প্রধানের।

শনিবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে গণবিশ্ববিদ্যালয় ও ফার ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুটবল ফাইনাল শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা জানান প্রধানমন্ত্রী। ফাইনালে গণবিশ্ববিদ্যালয় টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে জেতে, ৬০ মিনিটের নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হয় ১-১ গোলে। এই টুর্নামেন্টে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত খেলোয়াড়, শিক্ষক, সংগঠক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি সহ আয়োজক সংস্থা সবাইকে অভিনন্দন জানাই। বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস ২০১৯ এর সমাপনী ও পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানাই ধন্যবাদ। এছাড়া ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রত্যন্ত অঞ্চলের সবার প্রতি রইলো আন্তরিক শুভেচ্ছা।’

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পরে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে সরকার গঠন করার পর থেকে আর্থসামাজিক ও দারিদ্র্য মুক্তির জন্য কাজ করছে, পাশাপাশি ক্রীড়াক্ষেত্রে আমাদের ছেলেমেয়েরা যেন আরও বেশি দক্ষতা অর্জন করতে পারে সেই পদক্ষেপও নিয়েছি। প্রায় একটানা ১০ বছর ক্ষমতায় আছে আমাদের সরকার। শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া চর্চায় প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের তরুণ, যুব ও শিশু সমাজ সম্পৃক্ত হবে এটাই ছিল প্রত্যাশা।’

ছোট থেকে বড়দের সবাইকে ক্রীড়াক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট করার পদক্ষেপ নিয়ে সাফল্যের কথা জানালেন শেখ হাসিনা, ‘আমরা প্রাথমিক বিদালয় থেকে প্রতিযোগিতা শুরু করেছি। বঙ্গমাতা প্রাথমিক গোল্ডকাপ টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছি। ছেলেদের বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজনও হয়েছে। গত ১০ বছরে এখান থেকে দক্ষ ফুটবলার গড়ে উঠেছে। অন্য ক্ষেত্রগুলোতেও আমরা প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা নিয়েছি। এবার হলো বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতিযোগিতা।’

বিজয়ী ও বিজিতদের অভিনন্দন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘খেলায় হারজিত থাকবে। আজ হারলে কাল জিতবো। জাতির পিতা সেভাবে নিজেকে গড়ে তুলেছেন, সবসময় হার না মানার মানসিকতা ছিল তার। যে কারণে মুক্তিযুদ্ধে আমরা বিজয় অর্জন করেছিলাম। সেভাবে আজ যারা বিজয়ী, সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে যারা চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ হয়েছে তাদের অভিনন্দন জানাচ্ছি।’

তার পরিবার কতটা ক্রীড়ানুরাগী ছিলেন সেকথাই জানালেন শেখ হাসিনা, ‘খেলাধুলার সঙ্গে আমাদের পারিবারিক সম্পর্ক। দাদা ফুটবল খেলতেন, বাবাও ফুটবল খেলতেন। শেখ কামাল ও শেখ জামালের স্ত্রী দুজনেই স্পোর্টসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিল। খেলাধুলার উন্নয়নে প্রত্যেকটা পদক্ষেপ শেখ কামাল নিয়েছিল।’

খেলাধুলার মাধ্যমে এই জাতির মেধাবিকাশ হবে বিশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর, ‘খেলাধুলা ও শরীরচর্চার মধ্য দিয়ে আমাদের ছেলেমেয়েরা শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা পাবে, মেধা বিকাশের সুযোগ পাবে। এজন্য উদ্যোগটা নিয়েছি। আজকে সকলে মিলে এক হয়েছেন এবং খেলার দিকে দৃষ্টি দিয়েছেন। বিভিন্ন ইভেন্টে প্রতিযোগিতা হয়েছে। ক্রিকেট, ফুটবল, হ্যান্ডবল ও সুইমিং সহ ১০টি ইভেন্ট ছিল। খেলাধুলার এই প্রতিযোগিতা প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত নিয়ে এসেছি আমরা। এরপর শুরু করবো আন্তঃকলেজ প্রতিযোগিতা। আন্তঃস্কুল ও আন্তঃকলেজ প্রতিযোগিতা। এখান থেকে আমরা অনেক ভালো খেলোয়াড় পাবো যাদের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতার যোগ্যতা অর্জন করবো। একসময় আমরা বিশ্বকাপ জয় করবো।’

ছোটবেলা থেকে সবার খেলাধুলায় অভ্যস্ত হওয়া উচিত মনে করেন শেখ হাসিনা, ‘ছোটবেলা থেকে আমরা যদি খেলাধুলার চর্চা না করি, তাহলে অভ্যাস গড়ে ওঠে না। সেটা মাথায় রেখে আমরা প্রাথমিক থেকে শুরু করেছিলাম এবং এই পর্যন্ত এসেছি। আশা করি এটা অব্যাহত থাকবে।’

জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও মাদকের ছোবল থেকে দেশকে রক্ষায় সকলের সহযোগিতা কামনা করলেন তিনি, ‘জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও মাদক সমাজের ক্ষত। সকলের কাছে অনুরোধ থাকবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এসবের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার। সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’

বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে দৃঢ় বিশ্বাস শেখ হাসিনার, ‘৭৫ এ জাতির পিতাকে হারানোর পর যে মর্যাদা হারিয়েছিলাম, সেটা ফিরে পেয়েছি। আমাদের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে। বিশ্বে বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। খেলাধুলায় আরও বেশি উৎকর্ষতা অর্জন হোক, সেটাই আমি চাই। এজন্য যা যা করণীয় আমরা সরকারের পক্ষ থেকেই তাই করবো ওয়াদা করছি।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




একদিন বাংলাদেশ বিশ্বকাপ জয় করবে: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৭:১৫:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক;
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাছোট থেকে বড়দের সবাইকে খেলাধুলার প্রতি আগ্রহী করে তুলতে অসামান্য অবদান রেখে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যার সবশেষ পদক্ষেপ বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপ। শনিবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে এর সমাপনী ও পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে এসেছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। দেশের ক্রীড়াঙ্গনের প্রতিটি ক্ষেত্রে উৎকর্ষতা অর্জনে কাজ করে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন শেখ হাসিনা। একদিন বাংলাদেশ বিশ্বকাপ জিতবে প্রত্যাশা সরকার প্রধানের।

শনিবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে গণবিশ্ববিদ্যালয় ও ফার ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুটবল ফাইনাল শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা জানান প্রধানমন্ত্রী। ফাইনালে গণবিশ্ববিদ্যালয় টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে জেতে, ৬০ মিনিটের নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হয় ১-১ গোলে। এই টুর্নামেন্টে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত খেলোয়াড়, শিক্ষক, সংগঠক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি সহ আয়োজক সংস্থা সবাইকে অভিনন্দন জানাই। বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস ২০১৯ এর সমাপনী ও পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানাই ধন্যবাদ। এছাড়া ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রত্যন্ত অঞ্চলের সবার প্রতি রইলো আন্তরিক শুভেচ্ছা।’

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পরে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে সরকার গঠন করার পর থেকে আর্থসামাজিক ও দারিদ্র্য মুক্তির জন্য কাজ করছে, পাশাপাশি ক্রীড়াক্ষেত্রে আমাদের ছেলেমেয়েরা যেন আরও বেশি দক্ষতা অর্জন করতে পারে সেই পদক্ষেপও নিয়েছি। প্রায় একটানা ১০ বছর ক্ষমতায় আছে আমাদের সরকার। শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া চর্চায় প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের তরুণ, যুব ও শিশু সমাজ সম্পৃক্ত হবে এটাই ছিল প্রত্যাশা।’

ছোট থেকে বড়দের সবাইকে ক্রীড়াক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট করার পদক্ষেপ নিয়ে সাফল্যের কথা জানালেন শেখ হাসিনা, ‘আমরা প্রাথমিক বিদালয় থেকে প্রতিযোগিতা শুরু করেছি। বঙ্গমাতা প্রাথমিক গোল্ডকাপ টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছি। ছেলেদের বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজনও হয়েছে। গত ১০ বছরে এখান থেকে দক্ষ ফুটবলার গড়ে উঠেছে। অন্য ক্ষেত্রগুলোতেও আমরা প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা নিয়েছি। এবার হলো বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতিযোগিতা।’

বিজয়ী ও বিজিতদের অভিনন্দন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘খেলায় হারজিত থাকবে। আজ হারলে কাল জিতবো। জাতির পিতা সেভাবে নিজেকে গড়ে তুলেছেন, সবসময় হার না মানার মানসিকতা ছিল তার। যে কারণে মুক্তিযুদ্ধে আমরা বিজয় অর্জন করেছিলাম। সেভাবে আজ যারা বিজয়ী, সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে যারা চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ হয়েছে তাদের অভিনন্দন জানাচ্ছি।’

তার পরিবার কতটা ক্রীড়ানুরাগী ছিলেন সেকথাই জানালেন শেখ হাসিনা, ‘খেলাধুলার সঙ্গে আমাদের পারিবারিক সম্পর্ক। দাদা ফুটবল খেলতেন, বাবাও ফুটবল খেলতেন। শেখ কামাল ও শেখ জামালের স্ত্রী দুজনেই স্পোর্টসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিল। খেলাধুলার উন্নয়নে প্রত্যেকটা পদক্ষেপ শেখ কামাল নিয়েছিল।’

খেলাধুলার মাধ্যমে এই জাতির মেধাবিকাশ হবে বিশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর, ‘খেলাধুলা ও শরীরচর্চার মধ্য দিয়ে আমাদের ছেলেমেয়েরা শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা পাবে, মেধা বিকাশের সুযোগ পাবে। এজন্য উদ্যোগটা নিয়েছি। আজকে সকলে মিলে এক হয়েছেন এবং খেলার দিকে দৃষ্টি দিয়েছেন। বিভিন্ন ইভেন্টে প্রতিযোগিতা হয়েছে। ক্রিকেট, ফুটবল, হ্যান্ডবল ও সুইমিং সহ ১০টি ইভেন্ট ছিল। খেলাধুলার এই প্রতিযোগিতা প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত নিয়ে এসেছি আমরা। এরপর শুরু করবো আন্তঃকলেজ প্রতিযোগিতা। আন্তঃস্কুল ও আন্তঃকলেজ প্রতিযোগিতা। এখান থেকে আমরা অনেক ভালো খেলোয়াড় পাবো যাদের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতার যোগ্যতা অর্জন করবো। একসময় আমরা বিশ্বকাপ জয় করবো।’

ছোটবেলা থেকে সবার খেলাধুলায় অভ্যস্ত হওয়া উচিত মনে করেন শেখ হাসিনা, ‘ছোটবেলা থেকে আমরা যদি খেলাধুলার চর্চা না করি, তাহলে অভ্যাস গড়ে ওঠে না। সেটা মাথায় রেখে আমরা প্রাথমিক থেকে শুরু করেছিলাম এবং এই পর্যন্ত এসেছি। আশা করি এটা অব্যাহত থাকবে।’

জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও মাদকের ছোবল থেকে দেশকে রক্ষায় সকলের সহযোগিতা কামনা করলেন তিনি, ‘জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও মাদক সমাজের ক্ষত। সকলের কাছে অনুরোধ থাকবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এসবের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার। সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’

বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে দৃঢ় বিশ্বাস শেখ হাসিনার, ‘৭৫ এ জাতির পিতাকে হারানোর পর যে মর্যাদা হারিয়েছিলাম, সেটা ফিরে পেয়েছি। আমাদের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে। বিশ্বে বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। খেলাধুলায় আরও বেশি উৎকর্ষতা অর্জন হোক, সেটাই আমি চাই। এজন্য যা যা করণীয় আমরা সরকারের পক্ষ থেকেই তাই করবো ওয়াদা করছি।’