কুলাউড়ার কিশোরী গণধর্ষণ মামলার মূলহোতা আটক
- আপডেট সময় : ১১:২১:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০১৯ ৯২ বার পড়া হয়েছে
ইউসুফ আহমদ ইমন: কুলাউড়া থানা পুলিশের কাছে আগেই খবর ছিলো গণধর্ষণ মামলার মূলহোতা রাজনগর থানা এলাকায় রয়েছে। খবর পেয়েই কুলাউড়া থানার কৌশলী পুলিশ কর্মকর্তারা একটি পরিকল্পনা তৈরি করেন। তাদের উদ্দেশ্য ছিল যেভাবেই হোক ধর্ষণকারী শুকুরকে পুলিশের খাঁচায় বন্দি করতে হবে। পরিকল্পনার মধ্যে এএসই নাজমুলকে স্বামী, কনস্টেবল জুনেদকে কালো বোরকা পরিয়ে স্ত্রী সাজিয়ে অভিযানে নামে কুলাউড়া থানা পুলিশ। যেই কথা সেই কাজ। স্বামী-স্ত্রীর মোটরবাইক চলতে থাকে শুকুর আলীকে বহনকারী সিএনজিকে লক্ষ্য করে। স্ত্রীর গায়ে সিএনজি দিয়ে ধাক্কা দেয়ার তকমায় সিগন্যাল দিয়ে থামিয়ে চ্যালেঞ্জ করে পুলিশের ছদ্মবেশে থাকা এএসআই (স্বামী) নাজমুল। একপর্যায়ে সিএনজি অটোরিকশা তল্লাশি চালিয়ে ৭ দুর্বৃত্ত মিলে ১৭ বছরের কিশোরীকে গণধর্ষণের ঘটনার মূলহোতা শুকুর আলীকে (৩৫) আটক করে পুলিশ।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে রাজনগর উপজেলার টেংরা বাজার থেকে এমন নাটকীয়তা করে ঘটনার ১০ দিন পর শুকুরকে আটক করা হয়। এর আগে ঘটনার সাথে জড়িত অপর ৫ আসামিকে আটক করে পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও কুলাউড়া থানার ওসি (তদন্ত) সঞ্জয় চক্রবর্তী জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ রাজনগর উপজেলা সদরে ছদ্মবেশে অপেক্ষায় থাকে। শুকুর আলীকে বহনকারী সিএনজি অটোরিকশাকে সিগন্যাল দিয়ে থামিয়ে চ্যালেঞ্জ করে ছদ্মবেশি পুলিশ শুকুর আলীকে আটক করতে সক্ষম হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শনিবার ২৭ এপ্রিল তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
প্রথমে পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত সিএনজি অটোরিকশা চালক হাসান মিয়াকে (২৫) আটক করতে সক্ষম হয়। তার দেয়া স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দির পর অভিযান চালিয়ে পুলিশ উপজেলার জয়চন্ডী ইউনিয়নের পুসাইনগর ও জুড়ী উপজেলার ফুলতলা সীমান্ত এলাকা থেকে বিলাল মিয়া (২৫), জাহাঙ্গীর আলম (২৬), সুজন মিয়া (২২) ও সুফিয়ান মিয়াকে (২৫) গ্রেফতার করে। এর মধ্যে বিলাল ও জাহাঙ্গীর দালালের মাধ্যমে চোরাই পথে ভারতে পালানোর চেষ্টা চালায়।
উল্লেখ্য, গত ১৫ এপ্রিল সোমবার রাতে পৌর এলাকার ১৭ বছরের এক কিশোরীকে ডেকে নিয়ে নির্জন স্থানে ৭ দুর্বৃত্ত মিলে ধর্ষণ করে এবং সেই দৃশ্য মোবাইল ফোনে ধারণ করে। এ ঘটনায় কিশোরীর মা বাদি হয়ে কুলাউড়া থানায় শুকুর আলীকে প্রধান আসামি করে ৭ জনের বিরুদ্ধে কুলাউড়া থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।