ঝিনাইদহ প্রতিনিধি |
ঝিনাইদহের মহেশপুরে মা ও নানিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে ইমরান হোসেন (২৫) নামের এক যুবক। তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ বলে জানা গেছে।
শুক্রবার ভোরে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে দুজনকে এই দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। নিহতরা হলেন- উপজেলার নওদা গ্রামের নূর মোহাম্মদের স্ত্রী শামসুন্নাহার (৭৭) ও মেয়ে মর্জিনা বেগম (৫০)।
মহেশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাশেদুল আলম জানান, রাতে ইমরান তার মায়ের কাছে টাকা চায়। টাকা না দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে মা ও নানিকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে যশোর সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি আরও জানান, মহেশপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের কারিগরি বিষয়ের শিক্ষক মর্জিনা বেগম তার সন্তান ইমরান ও তার মা শামসুন্নাহারকে নিয়ে বসবাস করতেন। ছেলে ইমরান ছিল মানসিক রোগী। বিভিন্ন সময় সে তার মা ও নানিকে শারীরিক নির্যাতন করতো।
তিনি জানান, ২০০৪ সালে যখন তার মায়ের ডিভোর্স হয়, সে বছরে ইমরান হোসেন তার দাদাকে মারধর করে। পরবর্তীতে তাকে দুই দফা পাবনা মানসিক হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
ওসি জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে চিৎকার শুনে লোকজন বাড়িতে গিয়ে দেখতে পান দুজনই ঘরের মেঝেতে পড়ে আছেন। ইমরান ওই সময় পালিয়ে যায়।
এদিকে এলাকাবাসী বলছে, ইমরান মাদকাসক্ত। টাকার জন্য প্রায়ই তার মাকে মারধর করতো। রাতেও তার মায়ের কাছে নেশার জন্য টাকা চেয়েছিল। টাকা না দেওয়ায় এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে ইমরান।
এ ঘটনায় ইমরান হোসেনকে আটকের চেষ্টা চলছে বলে ওসি জানান।