জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক;
ঠাকুরগাঁও-৩ আসন থেকে নির্বাচিত বিএনপি নেতা জাহিদুর রহমান জাহিদ শপথ গ্রহণ করলেও তিনি আজ সংসদ অধিবেশনে যোগ দেননি। তার কারণ হিসেবে জাহিদ বলেছেন, ‘দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়া বাকি চারজন সদস্য শপথ নিতে পারেন। দেখি তারা আসে কিনা, এলে একসঙ্গে যোগ দেব।’
জাহিদুর রহমান জাহিদের শপথের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসন থেকে নির্বাচিত বিএনপি নেতা আমিনুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমাদের দলীয় সিদ্ধান্ত আমরা শপথ নেব না, সংসদে যাব না।’
জাহিদুর রহমান জাহিদ তো আপনাদের অপেক্ষায় রয়েছেন, আপনারা শপথ নিলে তিনি একসঙ্গে সংসদ অধিবেশনে যোগ দেবেন। এ বিষয়ে কী বলবেন? জবাবে আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘নো কমেন্টস। এ ব্যাপারে কিছুই বলব না। আমি ডিজাস্টার মাইন্ডে আছি। দোয়া করবেন যেন ভালো কিছু হয়।’
জাহিদুর রহমান জাহিদের অপেক্ষার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন থেকে নির্বাচিত উকিল আব্দুস সাত্তার বলেছেন, ‘আমরাও অপেক্ষায় রয়েছি দলীয় সিদ্ধান্তের। এখনও দল থেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসন থেকে নির্বাচিত হারুনুর রশীদ এবং বগুরা-৪ আসন থেকে নির্বাচিত মোশাররফ হোসেনের মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।
গুঞ্জন রয়েছে, আগামী রবি-সোমবারের মধ্যে বিএনপির আরও কয়েকজন সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেবেন।
ঠাকুরগাঁও-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়ে মো. জাহিদুর রহমান জাহিদ শপথ নেয়ায় ‘অস্বস্তিতে’ ভুগছেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা। দলের আদেশ অমান্য করে শপথ নেয়ায় তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার হবে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে বিএনপি সংসদে যোগ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) শপথ নিয়েছেন জাহিদ।
এর আগে শপথ নেন গণফোরাম থেকে মনোনয়ন নিয়ে ধানের শীষ প্রতীকে মৌলভীবাজার-২ আসনে নির্বাচিত হওয়া সুলতান মোহাম্মদ মনসুর এবং সিলেট-২ আসন থেকে নির্বাচিত মোকাব্বির খান।
গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনে ২৯৯ আসনের মধ্যে ২৮৮টিতে বিজয়ী হয়েছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোট।
প্রধান বিরোধী শক্তি বিএনপির নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট পেয়েছে মাত্র ৮টি আসন। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন ৩ জন।
এর মাধ্যমে গত ৭ জানুয়ারি টানা তৃতীয় মেয়াদে এবং চতুর্থবারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন শেখ হাসিনা। ওই দিন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শপথ নিয়েছেন নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা।