নিজস্ব প্রতিবেদক;
আদরের নাতি জায়ান চৌধুরীকে শেষ বিদায় জানাতে এসে কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন নানী শেখ হাসিনা। বুধবার দুপুর আড়াইটার পর ফুফাতো ভাই শেখ সেলিমের বাসায় জায়ানকে দেখতে যান প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তিনি জায়ানের মরদেহ দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। শিশু জায়ান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে অনেক প্রিয় ছিল। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হলেই তাকে দাদু দাদু বলে জড়িয়ে ধরত জায়ান।
এর আগে বুধবার পৌনে ১টায় শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে ছোট্ট জায়ানের মরদেহ হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। বিমানবন্দরে জায়ানের মরদেহ গ্রহণ করেন সংসদ সদস্য শেখ সেলিম। এরপর তা বনানীর ২/এ’র ৯ নম্বর বাসায় নেওয়া হয়।
দুপুর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই বাসায় যান। প্রধানমন্ত্রী বাসায় প্রবেশের পর সেখানে হৃদয়বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন শেখ সেলিমসহ জায়ান চৌধুরীর আত্মীয়-স্বজনরা। বিকাল ৩টা ৫০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই বাসা থেকে বের হয়ে যান।
এরপর আসরের নামাজের পর বনানী চেয়ারম্যান বাড়ি মাঠে জায়ানের জানাজা হয়। জানাজা পড়ান বায়তুল মোকাররমের ইমাম। জানাজা শেষে তাকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
জানাজার আগে আওয়ামী লীগ নেতা ও জায়ানের দাদা শেখ সেলিম বলেন, ১৫ আগস্টে যারা শহীদ হয়েছেন, তার মধ্যে বঙ্গবন্ধুকে টুঙ্গিপাড়ায় নেয়া হয়েছে। বাকি ১৮ জনকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়। সে ১৮ জনের সঙ্গেই ১৯তম শহীদ হিসেবে জায়ানকে দাফন করা হবে।
রবিবার শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোতে সিরিজ বোমা হামলা হয়। শেখ সেলিমের মেয়ে শেখ আমেনা সুলতানা সোনিয়া তার স্বামী প্রিন্স এবং দুই ছেলেকে নিয়ে শ্রীলঙ্কায় বেড়াতে গিয়েছিলেন। ইস্টার সানডেতে শ্রীলংকায় রেস্তোরাঁয় সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় নিহত হয় জায়ান। আর এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি তার বাবা মশিউল হক চৌধুরী প্রিন্স।