উওরায় সাংবাদিক পরিচয়ে অভিনব চাঁদাবাজী
- আপডেট সময় : ০৬:৪৯:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০১৯ ১০৭ বার পড়া হয়েছে
দেশের শান্তিপ্রিয় সাধারণ মানুষ যখন দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তাদের সন্তানদের নিয়ে চিন্তিত, সরকারের প্রশাসন যখন কঠোর অবস্থানে ঠিক সেই মহুর্তে কিছু ভূইপোড় সংবাদকর্মী নামধারী চাঁদাবাজ চক্র অর্থলোভী নারীচক্র নিজেদের নারীত্বের সম্মানে কালিমা লাগিয়ে শিক্ষক ও স্বনামধণ্য ব্যক্তিদের জিম্মি করে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা।
সম্প্রতি রাজধানী ঢাকার উত্তরায় ভুইফোড় নামসর্বস্ব কিছূ অনলাইন পত্রিকার পরিচয়ে অর্থ আদায় ও হুমকি ধামকি দিচ্ছে রাসেল হাসান(বরিশাইল্যা হাছান) নামে এক সাংবাদিক পরিচয়ধারী। রাসেলের সাথে আছে আরো কিছু সাংবাদিক পরিচয়ধারী নারী। এই হাছানের সুবিধাভোগী নারী চক্রের অন্যতম সদস্য আসমা আক্তার নামে একজন পহেলা বৈশাখের দাওয়াত কার্ড দিয়ে চাঁদা না পেয়ে মোবাইল ফোনে মানহানীর ভয় দেখান এবং মিথ্যা অভিযোগ এনে গত ১৮ এপ্রিল উত্তরা ইউনাইটেড কলেজের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে উত্তরা পূর্ব থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার অপচেষ্ঠা চালায়। টাকা না পেয়ে গত ২০ এপ্রিল একটি নামসর্বস্ব পত্রিকায় ইউনাইটেড কলেজের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মানহানিকর সংবাদও প্রকাশ করে।আসমা আক্তার তার সাধারন ডায়েরীতে ৪৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এর নির্দেশে দাওয়াত কার্ড নিয়ে এসেছেন বলে উল্লেখ করেন অথচ ৪৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বিষয়টি অস্বিকার করে আসমা আক্তার নামে কাউকে চিনেন না বলে জানান।
তিনি আরও জানান, এরা একটি সক্রিয় প্রতারক ও চাঁদাবাজ চক্র। যারা আমার নাম বিক্রি করে আমার সম্মানহানী করে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার মত অপরাধ করে তাদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়ার দাবী জানান। সাধারন ডায়েরীতে উল্লেখিত বাদীর মোবাইল নম্বরে কল করলে অপর প্রান্ত থেকে পারভিন নামে একজন নারী ফোন রিসিভ করে আসমা সম্পর্কে জানতে চাইলে জানান, আসমা তার ছোট মেয়ে। আসমা বর্তমানে তার বড় মেয়ে সালমা আক্তারের স্বামী সাংবাদিক হাছানের বাসায় থাকে। গত কয়েক মাস যাবত হাছান আমার ছোট মেয়ে আসমাকে চাকরি দিবে বলে বিভিন্ন যায়গায় নিয়ে ঘুরে বেড়ান।
অনুসন্ধানে জানা যায়, এই বরিশাইল্যা হাছান দীর্ঘদিন যাবৎ উত্তরা এলাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজী করছে। নিজেকে একাদিক পত্রিকার সাংবাদিক, শ্যামল বাংলা পত্রিকার সম্পাদক, উত্তরা টাইমস নামে একটি পত্রিকার বার্তা সম্পাদক হিসেবে পরিচয় দেন। আবার কখনও এলাকার প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ নেতাদের নাম বিক্রি করে থাকেন। বিভিন্ন সময় তিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক, অধ্যক্ষ ও প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতাদের নিয়ে
সম্মানহানীকর কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য উপস্থাপন করে নাম সর্বস্ব বিভিন্ন পত্রিকায় মিথ্যা, বানোয়াট ও মনগড়া সংবাদ প্রকাশ করে প্রতিষ্ঠান সমূহকে জিম্মি করার হীন চেষ্টা করেন। কিছুদিন পূর্বে আজকের কালের চিত্র পত্রিকায় অগ্নিমশাল উত্তরা ইউনাইটেড কলেজ শিরোনামে সংবাদ লিখেন। কয়েকদিন পর একই পত্রিকায় ইউনাইটেড কলেজের চেয়ারম্যান কে নিয়ে মানহানীকর সংবাদ প্রকাশ করেন। এ্যাডুকেশন পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের চেয়ারম্যানকে আধ পাগলা, লাইফ প্রিপারেটরী স্কুল কে নিরাপদ কসাইখানা, মাসকট ইনোভেটিভ কলেজ কে দ্বিতীয় কসাইখানা ও উত্তরা রেসিডেন্সিয়াল কলেজের অধ্যক্ষকে মানসিক পাগল শিরোনাম করে সংবাদ প্রকাশ করেন।
গত কয়েকদিন পূর্বে দক্ষিণখান আনমাহ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে তার চাঁদাবাজ দলের একজন নারী সদস্যকে দিয়ে মিথ্যা সাধারণ ডায়েরী করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেন বলে জানা যায়।
অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, এই বরিশাইল্যা হাছান একই কায়দায় এক আনসার সদস্যের কাছে চাঁদা দাবীর অভিযোগে দক্ষিণখান থানা কর্তৃক আটক হয়। তৎকালীণ দক্ষিণখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তপন চন্দ্র শাহার কাছে জীবনে কখনও চাঁদাবাজী করবো না মর্মে মুছলেকা দিয়ে ছাড়া পান। উত্তরখান থানা পুলিশ সুত্রে জানা যায়, সাংবাদিক নামধারী রাসেল হাছান প্রমি গ্রুপে গিয়ে মোটা অংকের চাঁদা দাবী করায় প্রতিষ্ঠানের পক্ষে তার বিরুদ্ধে উত্তরখান থানায় একটি সাধারন ডায়েরীও করা হয়। একই সাথে প্রমি গ্রুপের কর্তৃপক্ষ গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন।