ঢাকা ১২:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ




ডিজিটাল বাংলাদেশে ডিজিটাল গণমাধ্যমই অবহেলিত – হাফিজুর রহমান শফিক

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:২৩:১১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০১৯ ২০০ বার পড়া হয়েছে

৫৬ হাজার বর্গমাইলের যুদ্ধ বিধস্ত একখণ্ড বাংলাদেশ হাটি হাটি পা পা করে এগিয়ে যাচ্ছে আকাশ সমান স্বপ্নের যাত্রায়। লাশের গন্ধ নৃশংস হানাদারদের আগুনে পোড়া বসতির উপরে দাড়িয়েও আজ বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে।
নদীমাতৃক এই দেশের বিচ্ছিন্ন জনপদের মানুষের নিকটে খবরের শিরোনাম প্রয়োজনীয় তথ্য দাড়ে দাড়ে পৌঁছে দিতে কয়েক যুগ ধরে তখন থেকে এখন অক্লান্ত-নির্ঘুম গণমাধ্যমকর্মী ও গণমাধ্যম।
বছর যুগ, বহু চরাই উতরাই পেরিয়ে অপশক্তি- শৈরাচার পদদলিত করে অনেক পথ পেরিয়ে বাংলাদেশ।
দেশের জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরে তার সাহসী নেতৃত্বে দেশ আধুনিক ও উন্নয়নের মহাসড়কে আজ।
বঙ্গবন্ধু জাতিকে দেখিয়েছিলেন স্বাধীনতার স্বপ্ন আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গরীব জাতিকে শুধু এক উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্নই দেখায়নি তা রুপ দিয়েছেন বাস্তবে।
প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ডিজিটাল বাংলাদেশের স্লোগান সবার আগে এদেশের গণমাধ্যম ও গণমাধ্যমকর্মীরা কর্মে ধারন করেছে সবার আগে। আর এরই ধারাবাহিকতায় সংবাদ মাধ্যম গুলোকে আধুনীক ও ডিজিটাল করতে শুরু হয় অনলাইন পত্রিকার যুগচলা। গণমাধ্যমকে ডিজিটাল করতেই আধুনিক চিন্তার গণমাধ্যম সংশ্লিষ্টগণ শুরু করেন সংবাদ মাধ্যমের সংস্করণ।
প্রাপ্ত সুত্র মতে গত এক দশকে প্রায় ২ হাজার অনলাইন গণমাধ্যম নিয়মিত চালু রয়েছে দেশে। পাশাপাশি প্রিন্ট দৈনিক পত্রিকাগুলোও তাদের অনলাইন ভার্সন ব্যবহার করে প্রতি মুহুর্তে ঘটমান সংবাদ প্রবাহ ও সরকারের উন্নয়নের ধারায় গণজাগরণ তৈরির মহান প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত।
আজকের “ডিজিটাল দেশের ডিজিটাল গণমাধ্যম” অথচ গনমানুষের তথ্যের আধুনিক মাধ্যম অনলাইন পত্রিকাগুলোই আজ চরমভাবে অবহেলিত।
অনলাইন পত্রিকার অপ-সংবাদ ঠেকানোর নামে গতানুগতিক ভাবে তৈরী হওয়া ডিজিটাল কালো আইন ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বহাল। অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা ধুলে রয়েছে খসড়া হয়ে মন্ত্রণালয়ের পকেটে। নিবন্ধন বিহীন সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা হীন অবহেলিত ও নিগৃহীত আজ ডিজিটাল দেশের ডিজিটাল গণমাধ্যম। আজকাল করতে করতে জল গড়িয়েছে অনেক দুরে তবুও হচ্ছে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশের ডিজিটাল গণমাধ্যম হওয়া উচিত সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় সমৃদ্ধশালী।
এদেশের কথিত দৈনিকের তুলনায় বর্তমানে কোটিগুন পাঠক সমৃদ্ধ ও জনপ্রিয় ডিজিটাল গণমাধ্যম। অথচ এই
অনলাইন গণমাধ্যমগুলই সরকারের সব রকম সুযোগ সুবিধা বঞ্চিত।
দেশকে ডিজিটাল করতে সরকার যখন আই টি খাতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে এমনকি এই খাতকে অগ্রসর করতে মন্ত্রনালয় করে তথা মন্ত্রী নিয়োগ করেছেন । সেই সরকারের সময় ডিজিটাল গণমাধ্যম এমন অবহেলিত থাকবে এটা বিশ্বাস করেনা এদেশের লাখো গণমাধ্যমকর্মী।
গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট সকলের প্রত্যাশা অতি শীঘ্রই সরকার অনলাইন পত্রিকার নীতিমালা তথা প্রচার আইন করে প্রিন্ট দৈনিকগুলোর মতই অনলাইন গণমাধ্যমকে সুযোগ সৃষ্টি করে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা আরও সুনিশ্চিত করার পাশাপাশি সকল মুলধারার অনলাইন পত্রিকাকে সমৃদ্ধশালী করতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

লেখকঃ- হাফিজুর রহমান শফিক, সভাপতি বাংলাদেশ অনলাইন প্রেসক্লাব

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ডিজিটাল বাংলাদেশে ডিজিটাল গণমাধ্যমই অবহেলিত – হাফিজুর রহমান শফিক

আপডেট সময় : ১২:২৩:১১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০১৯

৫৬ হাজার বর্গমাইলের যুদ্ধ বিধস্ত একখণ্ড বাংলাদেশ হাটি হাটি পা পা করে এগিয়ে যাচ্ছে আকাশ সমান স্বপ্নের যাত্রায়। লাশের গন্ধ নৃশংস হানাদারদের আগুনে পোড়া বসতির উপরে দাড়িয়েও আজ বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে।
নদীমাতৃক এই দেশের বিচ্ছিন্ন জনপদের মানুষের নিকটে খবরের শিরোনাম প্রয়োজনীয় তথ্য দাড়ে দাড়ে পৌঁছে দিতে কয়েক যুগ ধরে তখন থেকে এখন অক্লান্ত-নির্ঘুম গণমাধ্যমকর্মী ও গণমাধ্যম।
বছর যুগ, বহু চরাই উতরাই পেরিয়ে অপশক্তি- শৈরাচার পদদলিত করে অনেক পথ পেরিয়ে বাংলাদেশ।
দেশের জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরে তার সাহসী নেতৃত্বে দেশ আধুনিক ও উন্নয়নের মহাসড়কে আজ।
বঙ্গবন্ধু জাতিকে দেখিয়েছিলেন স্বাধীনতার স্বপ্ন আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গরীব জাতিকে শুধু এক উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্নই দেখায়নি তা রুপ দিয়েছেন বাস্তবে।
প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ডিজিটাল বাংলাদেশের স্লোগান সবার আগে এদেশের গণমাধ্যম ও গণমাধ্যমকর্মীরা কর্মে ধারন করেছে সবার আগে। আর এরই ধারাবাহিকতায় সংবাদ মাধ্যম গুলোকে আধুনীক ও ডিজিটাল করতে শুরু হয় অনলাইন পত্রিকার যুগচলা। গণমাধ্যমকে ডিজিটাল করতেই আধুনিক চিন্তার গণমাধ্যম সংশ্লিষ্টগণ শুরু করেন সংবাদ মাধ্যমের সংস্করণ।
প্রাপ্ত সুত্র মতে গত এক দশকে প্রায় ২ হাজার অনলাইন গণমাধ্যম নিয়মিত চালু রয়েছে দেশে। পাশাপাশি প্রিন্ট দৈনিক পত্রিকাগুলোও তাদের অনলাইন ভার্সন ব্যবহার করে প্রতি মুহুর্তে ঘটমান সংবাদ প্রবাহ ও সরকারের উন্নয়নের ধারায় গণজাগরণ তৈরির মহান প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত।
আজকের “ডিজিটাল দেশের ডিজিটাল গণমাধ্যম” অথচ গনমানুষের তথ্যের আধুনিক মাধ্যম অনলাইন পত্রিকাগুলোই আজ চরমভাবে অবহেলিত।
অনলাইন পত্রিকার অপ-সংবাদ ঠেকানোর নামে গতানুগতিক ভাবে তৈরী হওয়া ডিজিটাল কালো আইন ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বহাল। অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা ধুলে রয়েছে খসড়া হয়ে মন্ত্রণালয়ের পকেটে। নিবন্ধন বিহীন সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা হীন অবহেলিত ও নিগৃহীত আজ ডিজিটাল দেশের ডিজিটাল গণমাধ্যম। আজকাল করতে করতে জল গড়িয়েছে অনেক দুরে তবুও হচ্ছে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশের ডিজিটাল গণমাধ্যম হওয়া উচিত সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় সমৃদ্ধশালী।
এদেশের কথিত দৈনিকের তুলনায় বর্তমানে কোটিগুন পাঠক সমৃদ্ধ ও জনপ্রিয় ডিজিটাল গণমাধ্যম। অথচ এই
অনলাইন গণমাধ্যমগুলই সরকারের সব রকম সুযোগ সুবিধা বঞ্চিত।
দেশকে ডিজিটাল করতে সরকার যখন আই টি খাতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে এমনকি এই খাতকে অগ্রসর করতে মন্ত্রনালয় করে তথা মন্ত্রী নিয়োগ করেছেন । সেই সরকারের সময় ডিজিটাল গণমাধ্যম এমন অবহেলিত থাকবে এটা বিশ্বাস করেনা এদেশের লাখো গণমাধ্যমকর্মী।
গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট সকলের প্রত্যাশা অতি শীঘ্রই সরকার অনলাইন পত্রিকার নীতিমালা তথা প্রচার আইন করে প্রিন্ট দৈনিকগুলোর মতই অনলাইন গণমাধ্যমকে সুযোগ সৃষ্টি করে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা আরও সুনিশ্চিত করার পাশাপাশি সকল মুলধারার অনলাইন পত্রিকাকে সমৃদ্ধশালী করতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

লেখকঃ- হাফিজুর রহমান শফিক, সভাপতি বাংলাদেশ অনলাইন প্রেসক্লাব