ঢাকা ০৮:২৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo শেখ সোহেলের সহচর কাউট রাজু গ্রুপের তাণ্ডব: অস্ত্র ঠেকিয়ে প্রাণনাশের হুমকি Logo পদোন্নতি,বদলি. কেনাকাটায় পাহাড়সম দুর্নীতি ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তরে: দুদকের বিশেষ অভিযান Logo সুনামগঞ্জে প্রবাসী সাংবাদিকের বাড়িতে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলা Logo নিজেই মাদকাসক্ত মাদক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা; মাসে মাসোহারা আদায় ৭লাখ! Logo দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রকারী মাস্টারমাইন্ড সেচ্ছাসেবকলীগ নেত্রী ফাতেমা আক্তার শাপলা Logo ‘শেখ হাসিনা ও জিয়াউলের বিরুদ্ধে ২০০ গুমের প্রমাণ মিলেছে’ Logo দুর্নীতির ছায়ায় রাজউক ইমারত পরিদর্শক মনিরুজ্জামান! Logo নিয়মিত চুমু খেলে মিলবে যে শারীরিক উপকার Logo প্রধান উপদেষ্টা কাতার যাচ্ছেন আজ, সফরসঙ্গী যারা Logo জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হলেন মুহাম্মদ আবু আবিদ




নতুন ভারত গড়ার জন্য চাই নতুন প্রধানমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:১৫:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০১৯ ১৬৪ বার পড়া হয়েছে

মুলায়েম-মায়াবতী ২৪ বছর পর এক মঞ্চে

গৌতম লাহিড়ী, নয়াদিল্লি;’

ভারতের হিন্দি বলয়ের সবচেয়ে বড় রাজ্য উত্তর প্রদেশে গতকাল ঘটে গেল এক ঐতিহাসিক রাজনৈতিক ঘটনা, লোকসভা নির্বাচনে যার প্রভাব সুদূরপ্রসারী হতে পারে। ২৪ বছর পর দুই পরস্পরবিরোধী সমাজবাদী পার্টির প্রতিষ্ঠাতা মুলায়েম সিং যাদব এবং বহুজন সমাজ পার্টির নেত্রী মায়াবতী এক মঞ্চে উপস্থিত হয়ে ঘোষণা করেন, নতুন ভারত গড়তে হবে। সেই নতুন ভারত গড়ার জন্য প্রয়োজন নতুন এক প্রধানমন্ত্রী। মুলায়েম সিং যাদব মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালে ১৯৯৫ সালে সমাজবাদী পার্টি কর্মকর্তারা মায়াবতীর ওপর হামলা চালিয়েছিলেন। তারপর থেকে দুই নেতা একে অন্যের ছায়াও সহ্য করতেন না। কিন্তু এবার লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএকে পরাস্ত করার জন্য সমাজবাদী পার্টি ও বহুজন সমাজ পার্টি উত্তর প্রদেশের ৮০টি আসনে সমঝোতা করেন। তাদের সঙ্গে রয়েছেন রাষ্ট্রীয় লোকদল। এই মহাজোট উত্তর প্রদেশের আমেথি ও রায়বেরিলির ২টি লোকসভা আসন রাহুল গান্ধী ও সোনিয়া গান্ধীর জন্য ছেড়ে দেয়। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে এই দলগুলো পৃথকভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় ভোট ভাগাভাগি হয়ে যায়। এর ফলে বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়ী হয়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, এই তিন দলের ভোট এবার একত্রিত হলে বিজেপিকে বেশ বেগ পেতে হবে।

এই প্রথম উত্তর প্রদেশের সমাজবাদী পার্টির খাসতালুক মৈনপুরিতে যৌথ সভায় উপস্থিত হন মায়াবতী। তিনি তার ভাষণে এই প্রথম মুলায়েম সিং যাদবের জন্য ভোট প্রার্থনা করেন। মুলায়েম এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মায়াবতী তার ভাষণে বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গতবার নিজেকে অনুন্নত জাতির প্রতিনিধি বলে ভোট নেন। কিন্তু তিনি নকল অনুন্নত শ্রেণির লোক। মুলায়েম সিং হলেন প্রকৃত জন্ম থেকেই অনুন্নত শ্রেণির।

মায়াবতী বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদি পিছিয়ে থাকা বর্গের জন্য কোনো কাজ করেননি। সভায় আরও বক্তৃতা করেন উত্তর প্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মুলায়েম পুত্র অখিলেশ যাদব। তিনি বলেন, দেশে নতুন প্রধানমন্ত্রী হলেই নয়া ভারত গঠিত হবে। এর পরে তারা উত্তর প্রদেশে আরও কয়েকটি জনসভা করেন। মুলায়েম-মায়াবতী এক মঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তৃতা করলেন, ব্যাপারটিকে উত্তর প্রদেশের রাজনীতিতে নিঃসন্দেহে ‘ঐতিহাসিক ঘটনা’ বলে অভিহিত করেন অখিলেশ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




নতুন ভারত গড়ার জন্য চাই নতুন প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৪:১৫:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০১৯

মুলায়েম-মায়াবতী ২৪ বছর পর এক মঞ্চে

গৌতম লাহিড়ী, নয়াদিল্লি;’

ভারতের হিন্দি বলয়ের সবচেয়ে বড় রাজ্য উত্তর প্রদেশে গতকাল ঘটে গেল এক ঐতিহাসিক রাজনৈতিক ঘটনা, লোকসভা নির্বাচনে যার প্রভাব সুদূরপ্রসারী হতে পারে। ২৪ বছর পর দুই পরস্পরবিরোধী সমাজবাদী পার্টির প্রতিষ্ঠাতা মুলায়েম সিং যাদব এবং বহুজন সমাজ পার্টির নেত্রী মায়াবতী এক মঞ্চে উপস্থিত হয়ে ঘোষণা করেন, নতুন ভারত গড়তে হবে। সেই নতুন ভারত গড়ার জন্য প্রয়োজন নতুন এক প্রধানমন্ত্রী। মুলায়েম সিং যাদব মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালে ১৯৯৫ সালে সমাজবাদী পার্টি কর্মকর্তারা মায়াবতীর ওপর হামলা চালিয়েছিলেন। তারপর থেকে দুই নেতা একে অন্যের ছায়াও সহ্য করতেন না। কিন্তু এবার লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএকে পরাস্ত করার জন্য সমাজবাদী পার্টি ও বহুজন সমাজ পার্টি উত্তর প্রদেশের ৮০টি আসনে সমঝোতা করেন। তাদের সঙ্গে রয়েছেন রাষ্ট্রীয় লোকদল। এই মহাজোট উত্তর প্রদেশের আমেথি ও রায়বেরিলির ২টি লোকসভা আসন রাহুল গান্ধী ও সোনিয়া গান্ধীর জন্য ছেড়ে দেয়। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে এই দলগুলো পৃথকভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় ভোট ভাগাভাগি হয়ে যায়। এর ফলে বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়ী হয়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, এই তিন দলের ভোট এবার একত্রিত হলে বিজেপিকে বেশ বেগ পেতে হবে।

এই প্রথম উত্তর প্রদেশের সমাজবাদী পার্টির খাসতালুক মৈনপুরিতে যৌথ সভায় উপস্থিত হন মায়াবতী। তিনি তার ভাষণে এই প্রথম মুলায়েম সিং যাদবের জন্য ভোট প্রার্থনা করেন। মুলায়েম এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মায়াবতী তার ভাষণে বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গতবার নিজেকে অনুন্নত জাতির প্রতিনিধি বলে ভোট নেন। কিন্তু তিনি নকল অনুন্নত শ্রেণির লোক। মুলায়েম সিং হলেন প্রকৃত জন্ম থেকেই অনুন্নত শ্রেণির।

মায়াবতী বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদি পিছিয়ে থাকা বর্গের জন্য কোনো কাজ করেননি। সভায় আরও বক্তৃতা করেন উত্তর প্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মুলায়েম পুত্র অখিলেশ যাদব। তিনি বলেন, দেশে নতুন প্রধানমন্ত্রী হলেই নয়া ভারত গঠিত হবে। এর পরে তারা উত্তর প্রদেশে আরও কয়েকটি জনসভা করেন। মুলায়েম-মায়াবতী এক মঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তৃতা করলেন, ব্যাপারটিকে উত্তর প্রদেশের রাজনীতিতে নিঃসন্দেহে ‘ঐতিহাসিক ঘটনা’ বলে অভিহিত করেন অখিলেশ।