ঢাকা ০৫:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo ‘ফুল ভলিয়মে ভাইরাল গানে মগ্ন অন্তর্বর্তী জোট’ Logo স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে স্বৈরাচারের দোসর সৈয়দ হাবিবুরের দুর্নীতির ফিরিস্তি- পর্ব ১ Logo স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে সাহসী ভূমিকায় সাংবাদিক হাফিজুর রহমান শফিক Logo রাজধানীর বাউনিয়ার ভূমিদস্যু খোরশেদ পরিবারের কব্জায় ভুক্তভোগীদের ভিটামাটি  Logo স্বাধীনতা যুদ্ধে জামায়াতের অবস্থান এবং পরবর্তীতে রাজনৈতিক পথচলা Logo রাত ৮টার পর বন্ধ থাকবে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানঃ  উপদেষ্টা আসিফ Logo গণপূর্তে পীরের কেরামতি: পাহাড়সম দুর্নীতির অভিযোগ থাকলেও প্রধান প্রকৌশলী চেয়ারে বহাল! Logo ডিবির অভিযানে দোহার থানা আওয়ামী লীগের সম্পাদকসহ পাঁচজন গ্রেফতার Logo অবসরে গেলেও ফায়ার সার্ভিসের দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড লেফটেন্যান্ট কর্নেল জুলফিকার – পর্ব ১ Logo ১০০ কেজি গাঁজা ও কাভার্ড পিকআপসহ দুই মাদক কারবারি ডিবির হাতে গ্রেফতার

৪২ হাজার বছর আগে মৃত ঘোড়ার দেহ থেকে বের হচ্ছে তাজা রক্ত

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:০০:০৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০১৯ ১৬৮ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক;
মৃত একটি ঘোড়ার শরীর থেকে তাজা রক্ত ও মূত্র খুঁজে পেয়েছেন রাশিয়ান গবেষকরা। তারা দাবি করছেন, বরফে ঢাকা দেশ সার্বিয়ার ভারখায়ানস্ক অঞ্চলে আজ থেকে ৪২ হাজার বছর আগে ওই ঘোড়ার বাচ্চাটির মৃত্যু হয়েছিল।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। জীববৈজ্ঞানিক গবেষণার পর জানা গেছে বিরল প্রজাতির ওই ঘোড়ার বাচ্চাটি আজ থেকে প্রায় ৪২ হাজার বছর আগের।

রাশিয়ার ইয়াকুতস্ক অঞ্চলের নর্থইস্টার্ণ ফেডারেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যামথ জাদুঘরের পরিচালক সেমিওন গ্রেগরিভের ভাষ্য অনুযায়ী, পশুটির শরীর কাটাছেড়া করে তারা তাজা রক্ত বের করেছে। তারা প্রত্যাশা করছে এটির ক্লোন করে নতুন পশু তৈরি করা যাবে।

গত বছরে গ্রীষ্মে ম্যামথ শিকারিরা ভারখায়ানস্কের বাতাগাইকা নামক স্থানে একটি ভূগর্ভস্থ ও বরফাচ্ছিত গর্ত থেকে এটি খুঁজে পেয়েছেন। যেখানে বিরল প্রজাতির এই মৃত ঘোড়াটি বরফের নিচে চাপা পড়ে ছিল।

নর্থইস্টার্ণ ফেডারেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যামথ জাদুঘরের পরিচালক সেমিওন গ্রেগরিভ সিএনএনকে এক ই-মেইলের মাধ্যমে জানান, যখন ঘোড়াটিকে দেখতে পান তখন তারা ধারণা করেছিলেন এটি হয়তো বড়জোর দুই থেকে তিন সপ্তাহ আগে মারা গেছে।

তিনি আরও জানালেন, ‘মৃত ঘোড়াটির যখন ময়নাতদন্ত করা হলো তখন বুঝতে পারলাম এটি বহু বছর ধরে এভাবেই আছে কিন্তু তার শারীরিক গঠনের কোনো পরিবর্তন হয়নি। পশুটির শরীরের বেশিরভাগ অংশ ছিল লোমে আচ্ছাদিত। বিশেষ করে মাথা ও পা।’

সেমিওন গ্রেগরিভ বলেন, ‘পশুটির লোম এভাবে ঠিকঠাক থাকাটা প্রকৃতপক্ষে খুব বিরল ঘটনা। আমরা এখন তার লোমের রং কি সেটাও বলতে পারি। আর সেটা পরিক্ষা করে জানা গেছে এটি প্লাইস্টোসিন যুগের প্রাণী।’

প্রসঙ্গত, প্রায় চব্বিশ লক্ষ বছর আগের এক ভূতাত্ত্বিক ও আবহাওয়া নির্ভর যুগকে বলা হয় প্লাইস্টোসিন যুগ। বিবর্তনবাদ অনুসারে প্লায়োসিন-প্লাইস্টোসিন যুগ থেকেই নাকি মানব জাতির উদ্ভব।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

৪২ হাজার বছর আগে মৃত ঘোড়ার দেহ থেকে বের হচ্ছে তাজা রক্ত

আপডেট সময় : ১২:০০:০৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০১৯

আন্তর্জাতিক ডেস্ক;
মৃত একটি ঘোড়ার শরীর থেকে তাজা রক্ত ও মূত্র খুঁজে পেয়েছেন রাশিয়ান গবেষকরা। তারা দাবি করছেন, বরফে ঢাকা দেশ সার্বিয়ার ভারখায়ানস্ক অঞ্চলে আজ থেকে ৪২ হাজার বছর আগে ওই ঘোড়ার বাচ্চাটির মৃত্যু হয়েছিল।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। জীববৈজ্ঞানিক গবেষণার পর জানা গেছে বিরল প্রজাতির ওই ঘোড়ার বাচ্চাটি আজ থেকে প্রায় ৪২ হাজার বছর আগের।

রাশিয়ার ইয়াকুতস্ক অঞ্চলের নর্থইস্টার্ণ ফেডারেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যামথ জাদুঘরের পরিচালক সেমিওন গ্রেগরিভের ভাষ্য অনুযায়ী, পশুটির শরীর কাটাছেড়া করে তারা তাজা রক্ত বের করেছে। তারা প্রত্যাশা করছে এটির ক্লোন করে নতুন পশু তৈরি করা যাবে।

গত বছরে গ্রীষ্মে ম্যামথ শিকারিরা ভারখায়ানস্কের বাতাগাইকা নামক স্থানে একটি ভূগর্ভস্থ ও বরফাচ্ছিত গর্ত থেকে এটি খুঁজে পেয়েছেন। যেখানে বিরল প্রজাতির এই মৃত ঘোড়াটি বরফের নিচে চাপা পড়ে ছিল।

নর্থইস্টার্ণ ফেডারেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যামথ জাদুঘরের পরিচালক সেমিওন গ্রেগরিভ সিএনএনকে এক ই-মেইলের মাধ্যমে জানান, যখন ঘোড়াটিকে দেখতে পান তখন তারা ধারণা করেছিলেন এটি হয়তো বড়জোর দুই থেকে তিন সপ্তাহ আগে মারা গেছে।

তিনি আরও জানালেন, ‘মৃত ঘোড়াটির যখন ময়নাতদন্ত করা হলো তখন বুঝতে পারলাম এটি বহু বছর ধরে এভাবেই আছে কিন্তু তার শারীরিক গঠনের কোনো পরিবর্তন হয়নি। পশুটির শরীরের বেশিরভাগ অংশ ছিল লোমে আচ্ছাদিত। বিশেষ করে মাথা ও পা।’

সেমিওন গ্রেগরিভ বলেন, ‘পশুটির লোম এভাবে ঠিকঠাক থাকাটা প্রকৃতপক্ষে খুব বিরল ঘটনা। আমরা এখন তার লোমের রং কি সেটাও বলতে পারি। আর সেটা পরিক্ষা করে জানা গেছে এটি প্লাইস্টোসিন যুগের প্রাণী।’

প্রসঙ্গত, প্রায় চব্বিশ লক্ষ বছর আগের এক ভূতাত্ত্বিক ও আবহাওয়া নির্ভর যুগকে বলা হয় প্লাইস্টোসিন যুগ। বিবর্তনবাদ অনুসারে প্লায়োসিন-প্লাইস্টোসিন যুগ থেকেই নাকি মানব জাতির উদ্ভব।