ঢাকা ১১:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হলেন মুহাম্মদ আবু আবিদ Logo প্রধান উপদেষ্টার দেয়া নির্বাচনী সময়ে সন্তুষ্ট নয় বিএনপি Logo ডেসটিনি প্রতারক রফিকুল আমিনের নতুন রাজনৈতিক দল গঠন Logo একচেটিয়া লিফট সরবরাহ চুক্তি: ওয়ালটনের টাকায় শেখর সহ গণপূর্ত’ চার প্রকৌশলীর বিদেশ ভ্রমণ! Logo বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতা ডিপিডিসির প্রকৌশলী রাজ্জাক ধরাছোঁয়ার বাইরে পর্ব -১ Logo আগস্ট বিপ্লবের অদৃশ্য শক্তি তারেক রহমান – মাহমুদ হাসান Logo ছাত্র জনতাকে ১০ মিনিটে ক্লিয়ার করার ঘোষণা দেয়া হামিদ চাকুরীতে বহাল Logo ছাত্রলীগ নেত্রী যুবলীগ নেতার প্রতারণার শিকার চিকিৎসক সালেহউদ্দিন: বিচার ও প্রতিকার দাবি Logo দেশসেরা সহকারী জজ পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জনে সংবর্ধনা Logo মাদরাসাসহ সকল শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবি বিএমজিটিএ’র




ভোটে বাধা দেয়ার আভাস দেয়া হলে তা হবে ইতিহাসের নির্মম অধ্যায়: বি চৌধুরী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৪৬:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ নভেম্বর ২০১৮ ১৯৯ বার পড়া হয়েছে

আসন্ন নির্বাচন নিয়ে বিকল্পধারার সভাপতি ও সাবেক রাষ্ট্রপতি একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, ইট ক্যান বি আ হিস্টোরিক ইলেকশন। কিছু উল্টো হলে হবে ডিজাস্টার । বুধবার রাজধানীর বাড্ডায় বিকল্পধারা ও যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই মত জানান বি চৌধুরী।

বিএনপিসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে ইঙ্গিত করে, নির্বাচনকে ঘিরে কোনো ষড়যন্ত্র, হুমকি-ধমকি দিলে নির্বাচন নিয়ে জনমনে সন্দেহের সৃষ্টি হবে। বিরোধী দলকে এ কথা বুঝতে হবে।

তিনি বলেন, নির্বাচন ঠেকিয়ে দেয়া হবে, ভোটে বাধা দেয়া হবে, এমন কোনো আভাস দেয়া হলে ইতিহাস ক্ষমা করবে না। তা হবে ইতিহাসের নির্মম অধ্যায়।

সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বলেন, কোনো দল যেন একক সিদ্ধান্তে স্বেচ্ছাচারিতা করতে না পারে, বিকল্পধারা সে ধারার রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করবে।

সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে বিভিন্ন দাবি নিয়ে রাষ্ট্রপতির সাক্ষাৎ চেয়ে আবেদন করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, তবে এখনও সাড়া পাননি।

‌‌সংসদে সরকার গঠনকারী দলের একচেটিয়া আসনে রাজনীতিতে ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে, এমনটাই মনে করছেন তিনি।

‘ভারসাম্যের রাজনীতি প্রতিষ্ঠায় আমাদের যদি আপস করতে হয়, সে পরিস্থিতি আনা উচিত হয়….. তাহলে বলব, যে দলটি সরকার গঠন করবে সে দলের শরিকদের অধিক সংখ্যক আসন দিয়ে ব্যালেন্স করতে হবে,’ বলেন বি চৌধুরী।

তাই ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠায় জোটের বড় দলের কাছে অন্য দলগুলোর জন্য বেশি আসন দাবি করছেন তিনি।

আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট বেঁধে একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া বিকল্পধারা এখন আসন বণ্টন নিয়ে আলোচনায় রয়েছে। এই প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

২০০১ সাল থেকে প্রতিটি সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী দল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করে। তা রাজনীতিতে ভারসাম্য নষ্ট করছে বলে মনে করেন বি চৌধুরীরা।

বিকল্প ধারার নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা ২৫ জন প্রার্থীর একটি তালিকা তৈরি করে আওয়ামী লীগের সঙ্গে দর কষাকষিতে যাবে।

মঙ্গলবার রাতে গণভবনের বৈঠকে বিকল্পধারা কতটি আসন চেয়েছে- এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বি চৌধুরী বলেন, এই মুহূর্তে এটা বলব না।

বিদেশি পর্যবেক্ষকদের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, বিদেশের পর্যবেক্ষকদের এক দিনের জন্য নয়, আসতে হবে এক রিজনেবল টাইমের জন্য। যেটা নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ আগে হতে হবে। নির্বাচনের সময়ে তারা যেখানে যেতে চায়, যেতে দিতে হবে।

নির্বাচনের পরে রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য তাদেরকে বেশ কয়েক দিন থাকার অনুমতি দেয়া উচিৎ বলে মনে করেন তিনি।

আগামী কয়েক দিনের মধ্যে বিকল্প ধারার নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশের ঘোষণা দিয়ে বি চৌধুরী বলেন, নতুন ভোটারের সংখ্যা অনেক বেশি। তারা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে। নিরপেক্ষ সুন্দর নির্বাচন দেখতে পারে, তার ব্যবস্থা করতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ভোটে বাধা দেয়ার আভাস দেয়া হলে তা হবে ইতিহাসের নির্মম অধ্যায়: বি চৌধুরী

আপডেট সময় : ১১:৪৬:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ নভেম্বর ২০১৮

আসন্ন নির্বাচন নিয়ে বিকল্পধারার সভাপতি ও সাবেক রাষ্ট্রপতি একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, ইট ক্যান বি আ হিস্টোরিক ইলেকশন। কিছু উল্টো হলে হবে ডিজাস্টার । বুধবার রাজধানীর বাড্ডায় বিকল্পধারা ও যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই মত জানান বি চৌধুরী।

বিএনপিসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে ইঙ্গিত করে, নির্বাচনকে ঘিরে কোনো ষড়যন্ত্র, হুমকি-ধমকি দিলে নির্বাচন নিয়ে জনমনে সন্দেহের সৃষ্টি হবে। বিরোধী দলকে এ কথা বুঝতে হবে।

তিনি বলেন, নির্বাচন ঠেকিয়ে দেয়া হবে, ভোটে বাধা দেয়া হবে, এমন কোনো আভাস দেয়া হলে ইতিহাস ক্ষমা করবে না। তা হবে ইতিহাসের নির্মম অধ্যায়।

সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বলেন, কোনো দল যেন একক সিদ্ধান্তে স্বেচ্ছাচারিতা করতে না পারে, বিকল্পধারা সে ধারার রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করবে।

সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে বিভিন্ন দাবি নিয়ে রাষ্ট্রপতির সাক্ষাৎ চেয়ে আবেদন করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, তবে এখনও সাড়া পাননি।

‌‌সংসদে সরকার গঠনকারী দলের একচেটিয়া আসনে রাজনীতিতে ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে, এমনটাই মনে করছেন তিনি।

‘ভারসাম্যের রাজনীতি প্রতিষ্ঠায় আমাদের যদি আপস করতে হয়, সে পরিস্থিতি আনা উচিত হয়….. তাহলে বলব, যে দলটি সরকার গঠন করবে সে দলের শরিকদের অধিক সংখ্যক আসন দিয়ে ব্যালেন্স করতে হবে,’ বলেন বি চৌধুরী।

তাই ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠায় জোটের বড় দলের কাছে অন্য দলগুলোর জন্য বেশি আসন দাবি করছেন তিনি।

আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট বেঁধে একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া বিকল্পধারা এখন আসন বণ্টন নিয়ে আলোচনায় রয়েছে। এই প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

২০০১ সাল থেকে প্রতিটি সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী দল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করে। তা রাজনীতিতে ভারসাম্য নষ্ট করছে বলে মনে করেন বি চৌধুরীরা।

বিকল্প ধারার নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা ২৫ জন প্রার্থীর একটি তালিকা তৈরি করে আওয়ামী লীগের সঙ্গে দর কষাকষিতে যাবে।

মঙ্গলবার রাতে গণভবনের বৈঠকে বিকল্পধারা কতটি আসন চেয়েছে- এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বি চৌধুরী বলেন, এই মুহূর্তে এটা বলব না।

বিদেশি পর্যবেক্ষকদের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, বিদেশের পর্যবেক্ষকদের এক দিনের জন্য নয়, আসতে হবে এক রিজনেবল টাইমের জন্য। যেটা নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ আগে হতে হবে। নির্বাচনের সময়ে তারা যেখানে যেতে চায়, যেতে দিতে হবে।

নির্বাচনের পরে রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য তাদেরকে বেশ কয়েক দিন থাকার অনুমতি দেয়া উচিৎ বলে মনে করেন তিনি।

আগামী কয়েক দিনের মধ্যে বিকল্প ধারার নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশের ঘোষণা দিয়ে বি চৌধুরী বলেন, নতুন ভোটারের সংখ্যা অনেক বেশি। তারা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে। নিরপেক্ষ সুন্দর নির্বাচন দেখতে পারে, তার ব্যবস্থা করতে হবে।