ইসলামী নেতাদেরও ঝেড়ে কাশার সময় এসেছে

- আপডেট সময় : ০২:২০:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ এপ্রিল ২০১৯ ৫৮ বার পড়া হয়েছে

মোস্তফা সরয়ার ফারুকী|
কখনো কখনো নীরব থাকা কঠিন, তা যতোই করি না নীরবতার ব্রত!
নুসরাতকে যেভাবে মাসের পর মাস ধরে সিস্টেমেটিকভাবে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হয়েছে এটা আমাদের রাষ্ট্রের অস্তিত্ব নিয়েই প্রশ্ন তোলে। সরকারের উচিত সিরাজউদ্দৌলা এবং তার ক্ষমতা-চক্রের সবার বিচারের মাধ্যমে দৃষ্টান্ত রাখা, রাষ্ট্র-সমাজ-আইন-কানুনের উপর আস্থা ফিরিয়ে আনা।
একই সঙ্গে সকল মাদ্রাসা, স্কুলসহ যে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি মনিটরিং এবং বিচারের জন্য সেল খোলা হউক।
ইসলামী নেতাদেরও ঝেড়ে কাশার সময় এসেছে। চার্চে যৌন হয়রানি নিয়ে কথা বার্তা শুরু হয়েছে। পোপ ফ্রান্সিস ব্যাপারটা স্বীকার করে এই বিষয়ে কঠিন ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন দুই হাজার তেরো সালে। যদিও সমালোচকরা বলছেন- বাস্তবে তেমন কিছু করা হয় নাই।
আমার প্রশ্ন হলো- আমাদের ধর্মীয় নেতারা এই বিষয়ে প্রকাশ্যে কী অবস্থান নিয়েছেন? ধর্মের ইমেজ নিয়ে যারা এতোটা চিন্তিত তারা কি বুঝতে পারছেন ইমেজ নষ্ট করার সবচেয়ে ভয়ংকর কারণ হচ্ছে এগুলো? মেয়েদের জিন্স আর টি শার্টের দিকে নজর না দিয়ে ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বালক-বালিকাদের যৌন হয়রানির দিকে নজর দিলে আপনাদের ভাবমূর্তির উন্নতি ঘটবে।
ধন্যবাদ।
(মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)