আম বাগানে পুলিশ মোতায়েনের নির্দেশ
- আপডেট সময় : ০৬:২২:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ এপ্রিল ২০১৯ ১৫৩ বার পড়া হয়েছে
ক্ষতিকর রাসায়নিকের প্রয়োগ ঠেকাতে রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বড় আম বাগানগুলোতে পুলিশ মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
পাশাপাশি ফলের বাজার ও আড়তগুলোতে আমসহ অন্যান্য ফলে রাসায়নিক মেশানো হচ্ছে কিনা তা নজরদারি করতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও র্যাবের সমন্বয়ে টিম গঠনের নির্দেশনা দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে।
আসন্ন আমের মৌসুমকে সামনে রেখে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস পিস ফর বাংলাদেশের আবেদনের প্রেক্ষিতে এ রায় দেন হাইকোর্ট।
আবেদনকারী সংগঠনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুল আলম।
আইনজীবী মনজিল মোরসেদ পরে বলেন, আইজিপি, র্যাবের মহাপরিচালক, বিএসটিআইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে (কেমিক্যাল টেস্টিং উইং) দেশের বড় বড় ফলের বাজার ও আড়তগুলো মনিটরিংয়ে টিম গঠনের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
তিনি বলেন, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজিকে পুলিশ মোতায়েনের নির্দেশনাটি দেয়া হয়েছে।
মনজিল মোরসেদ বলেন, ২০১২ সালের রায়ে বলা হয়, রাজশাহী অঞ্চলসহ দেশের যেসব জেলায় বড় আম বাগান রয়েছে, সেখানে পুলিশের পাশাপাশি জেলা প্রশাসনকে মনিটরিং টিমে যুক্ত হওয়ার নির্দেশনাও রয়েছে।
তিনি বলেন, আগামী এক মাসের মধ্যে আদেশ বাস্তবায়ন করে শিল্প সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, খাদ্য সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, বিএসটিআইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, র্যাবের মহাপরিচালক, বিএসটিআইয়ের পরিচালক (কেমিক্যাল টেস্টিং উইং), রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি এবং এনবিআর চেয়ারম্যানকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
ফলে ক্ষতিকর রাসায়নিকের প্রয়োগ রোধে হিউম্যান রাইটস পিস ফর বাংলাদেশের একটি রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ২০১২ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি একটি রায় দিয়েছিল।
আইনজীবী মনজিল বলেন, সে রায়ে মামলাটি চলমান ছিল। কিন্তু এই বছর আমের মৌসুমকে সামনে রেখে গত রোববার আমরা আবার হাইকোর্টে আবেদন করি। যার প্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট আজকে এ আদেশ দিলেন।