ঢাকা ০৯:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo আগস্ট বিপ্লবের অদৃশ্য শক্তি তারেক রহমান – মাহমুদ হাসান Logo ছাত্র জনতাকে ১০ মিনিটে ক্লিয়ার করার ঘোষণা দেয়া হামিদ চাকুরীতে বহাল Logo ছাত্রলীগ নেত্রী যুবলীগ নেতার প্রতারণার শিকার চিকিৎসক সালেহউদ্দিন: বিচার ও প্রতিকার দাবি Logo দেশসেরা সহকারী জজ পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জনে সংবর্ধনা Logo মাদরাসাসহ সকল শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবি বিএমজিটিএ’র Logo এনবিআরে আরেক মতিউর: কর কমিশনার কবিরের সম্পদের পাহাড় Logo চাকুরীর নামে ভুয়া মেজরের কোটি টাকার প্রতারণা: মিথ্যে মামলায় ভুক্তভোগীদের হয়রানি Logo পটুয়াখালী এলএ শাখায় ঘুষ ছাড়া সেবা পাচ্ছেনা ইপিজেড ও পায়রা বন্দরের ক্ষতিগ্রস্তরা Logo খুলনায় বন্ধ পাটকল চালু ও বকেয়া বেতনের দাবিতে আমজনতার দলের বিক্ষোভ Logo এলজিইডি প্রধান প্রকৌশলী রশীদ’র বিরুদ্ধে ৩০০ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ




এক লাখ টাকা দিয়েও রেহাই পেল না ডেমরায় অপহৃত শিশুটি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:২৭:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ এপ্রিল ২০১৯ ১২০ বার পড়া হয়েছে

ডেমরা প্রতিনিধি; নগরীর ডেমরায় অপহরণের দুই দিন পরে মো. মনিরুল ইসলাম (৭) নামে এক ছেলে শিশুর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করেছে ডেমরা থানা পুলিশ।

সোমবার বিকালে ডেমরার বাঁশেরপুল ডগাইর এলাকার নূরে আয়েশা সিদ্দিকিয়া মাদ্রাসার নির্মাণাধীন মসজিদ থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়।

মৃত মনিরুল ইসলাম ওই মাদ্রাসার ছাত্র ও ডেমরার ডগাইর নতুনপাড়া এলাকার সামসু মিয়ার বাড়ীর ভাড়াটিয়া মো. সাইদুল হকের ছেলে। তাদের গ্রামের বাড়ি বি-বাড়িয়ার শরাইল থানার বিটগর গ্রামে।

এ ঘটনায় ওই মসজিদের ইমামসহ তার ছেলে ও মসজিদের মুয়াজ্জিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।

মৃতের পরিবার, প্রত্যক্ষদর্শী ও ডেমরা থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রোববার সকাল ৭টায় মনিরুল যথারীতি মাদ্রাসায় যায়। তারপর থেকেই ছেলেটিকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এ ঘটনায় মৃতের পরিবার রোববার রাতে এলাকায় মাইকিং করেন। পরবর্তীতে ওই দিন রাত ৮টার দিকে মৃতের বাবার কাছে অজ্ঞাত মোবাইল নম্বর থেকে ফোন আসে। এ সময় অপরহরণকারী মনিরুলের বাবার কাছে তার মুক্তিপণ হিসাবে ৩ লাখ টাকা দাবি করেন। আর দাবিকৃত টাকা উক্ত মসজিদের খাটিয়ার নিচে রাখতে বলেন।

আরও জানা যায়, রোববার রাত ২টার দিকে বাবা সাইদুল হক তার ভাইসহ নূরে আয়েশা সিদ্দিকিয়া মাদ্রাসার ইমামের কাছে ১ লাখ টাকা রেখে আসেন। এ সময় তারা ইমামের কাছে সব ঘটনা খুলে বলেন যাতে টাকা নেয়ার সময় ইমাম অপহরণকারীকে চিনতে পারেন। তবে ওই রাতে অপহরণকারীরা টাকা নিতে আসেনি।

এ ঘটনায় সোমবার বিকালে কালবৈশাখী ঝড়ের পর অপহরণকারীরা মৃতের বাবার মোবাইলে ফোন করে ছেলের লাশের খবর জানায়। পরে খবর পেয়ে থানা পুলিশ ওই মসজিদের দোতলার সিড়ি থেকে লাশ উদ্ধার করে। এ সময় শিশুটির মুখ দিয়ে রক্ত দেখা গেছে। তার পরনে ছিল সাদা-নীল রঙের ছাপা পাঞ্জাবি ও ফুল প্যান্ট।

এ ঘটনায় ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। সোমবার সন্ধ্যার পরে এলাকার শত শত মানুষ শিশু মনিরুল ইসলাম হত্যায় খুনির ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন।

এ বিষয়ে ডেমরা জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. রবিউল ইসলাম বলেন, মুক্তিপণ না পেয়ে শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

তিনি বলেন, এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নগরীর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। এ বিষয়ে অবশ্যই হত্যা মামলা দায়ের করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




এক লাখ টাকা দিয়েও রেহাই পেল না ডেমরায় অপহৃত শিশুটি

আপডেট সময় : ১১:২৭:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ এপ্রিল ২০১৯

ডেমরা প্রতিনিধি; নগরীর ডেমরায় অপহরণের দুই দিন পরে মো. মনিরুল ইসলাম (৭) নামে এক ছেলে শিশুর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করেছে ডেমরা থানা পুলিশ।

সোমবার বিকালে ডেমরার বাঁশেরপুল ডগাইর এলাকার নূরে আয়েশা সিদ্দিকিয়া মাদ্রাসার নির্মাণাধীন মসজিদ থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়।

মৃত মনিরুল ইসলাম ওই মাদ্রাসার ছাত্র ও ডেমরার ডগাইর নতুনপাড়া এলাকার সামসু মিয়ার বাড়ীর ভাড়াটিয়া মো. সাইদুল হকের ছেলে। তাদের গ্রামের বাড়ি বি-বাড়িয়ার শরাইল থানার বিটগর গ্রামে।

এ ঘটনায় ওই মসজিদের ইমামসহ তার ছেলে ও মসজিদের মুয়াজ্জিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।

মৃতের পরিবার, প্রত্যক্ষদর্শী ও ডেমরা থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রোববার সকাল ৭টায় মনিরুল যথারীতি মাদ্রাসায় যায়। তারপর থেকেই ছেলেটিকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এ ঘটনায় মৃতের পরিবার রোববার রাতে এলাকায় মাইকিং করেন। পরবর্তীতে ওই দিন রাত ৮টার দিকে মৃতের বাবার কাছে অজ্ঞাত মোবাইল নম্বর থেকে ফোন আসে। এ সময় অপরহরণকারী মনিরুলের বাবার কাছে তার মুক্তিপণ হিসাবে ৩ লাখ টাকা দাবি করেন। আর দাবিকৃত টাকা উক্ত মসজিদের খাটিয়ার নিচে রাখতে বলেন।

আরও জানা যায়, রোববার রাত ২টার দিকে বাবা সাইদুল হক তার ভাইসহ নূরে আয়েশা সিদ্দিকিয়া মাদ্রাসার ইমামের কাছে ১ লাখ টাকা রেখে আসেন। এ সময় তারা ইমামের কাছে সব ঘটনা খুলে বলেন যাতে টাকা নেয়ার সময় ইমাম অপহরণকারীকে চিনতে পারেন। তবে ওই রাতে অপহরণকারীরা টাকা নিতে আসেনি।

এ ঘটনায় সোমবার বিকালে কালবৈশাখী ঝড়ের পর অপহরণকারীরা মৃতের বাবার মোবাইলে ফোন করে ছেলের লাশের খবর জানায়। পরে খবর পেয়ে থানা পুলিশ ওই মসজিদের দোতলার সিড়ি থেকে লাশ উদ্ধার করে। এ সময় শিশুটির মুখ দিয়ে রক্ত দেখা গেছে। তার পরনে ছিল সাদা-নীল রঙের ছাপা পাঞ্জাবি ও ফুল প্যান্ট।

এ ঘটনায় ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। সোমবার সন্ধ্যার পরে এলাকার শত শত মানুষ শিশু মনিরুল ইসলাম হত্যায় খুনির ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন।

এ বিষয়ে ডেমরা জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. রবিউল ইসলাম বলেন, মুক্তিপণ না পেয়ে শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

তিনি বলেন, এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নগরীর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। এ বিষয়ে অবশ্যই হত্যা মামলা দায়ের করা হবে।