ছোট ভাইয়ের প্রেমের বিরোধ মেটাতে গিয়ে যুবক খুন
- আপডেট সময় : ১০:৪৫:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ এপ্রিল ২০১৯ ১০৫ বার পড়া হয়েছে
চট্টগ্রাম ব্যুরো; চট্টগ্রামে ছোট ভাইয়ের প্রেমের বিরোধ মেটাতে গিয়ে খুন হলেন লোকমান হোসেন (৩৫) নামে এক যুবক, শনিবার গভীররাতে বাকলিয়া থানার চকবাজার ধুনিরপুল খালপাড় এলাকায় লোকমানকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
নিহত লোকমান হোসেন তার পিতার নাম সামশুল হক। তার গ্রামের বাড়ি সিলেটের শ্রীমঙ্গল এলাকায় হলেও থাকতেন নগরীর নগরীর গোলপাহাড় সংলগ্ন বাদশা মিয়া রোডের পশুশালা এলাকায়। সেখানে একটি কুলিং কর্নার রয়েছে তার।
এ ঘটনায় নিহত লোকমানের মা রোকেয়া বেগম বাদী হয় আটজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
রোববার সকালে কৃষ্ণ (২৫) নামে মামলার এজাহারভূক্ত এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ জানায়, নগরীর খালপাড় এলাকার বাসিন্দা অনীক নামের এক কিশোরের সঙ্গে স্থানীয় একটি মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। অনিক এইচএসসি প্রথম বর্ষে পড়ে। মেয়েটি নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সম্প্রতি মেয়েটির সঙ্গে গোলপাহাড় এলাকার শ্রাবণ নামের আরেক কিশোরের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
এ কারণে মেয়েটি অনিককে এড়িয়ে চলতে শুরু করে। শ্রাবণের বন্ধু ও গোলপাহাড় এলাকার বাসিন্দা জয় শনিবার রাতে খালপাড় এলাকায় যায়। সেখানে তাকে আটকে রাখে অনিক ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা।
বিষয়টি শ্রাবণ-জয়দের কথিত ‘বড়ভাই’ লোকমানকে জানানো হয়। পরে লোকমানসহ ছয়জন তিনটি মোটরমাইকেলে করে খালপাড় এলাকায় যায়। সেখানে অনিকদের সঙ্গে ঝগড়ার একপর্যায়ে মারামারির উপক্রম হয়। তখন একটি বাসার দোতলা থেকে অনিকদের কথিত ‘বড়ভাই’সাইফুল সরাসরি লোকমানের মাথা লক্ষ্য করে গুলি করে। আহত অবস্থায় আশপাশের লোকজন লোকমানকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
নিহত লোকমান হোসেনের বন্ধু নাঈম উদ্দিন বলেন, ছোট ভাইয়ের প্রেমের বিরোধ মেটাতে লোকমানসহ কয়েকজন খালপাড় এলাকায় যাওয়ার পর তাদের সঙ্গে তর্কাতর্কি হয়। এসময় আমাদের সামনে পাশের ভবনের দোতলা থেকে ‘ডাকাত সাইফুল’ লোকমানকে গুলি করলে সে সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। সাইফুল স্থানীয় এক যুবলীগ নেতার অনুসারী ক্যাডার হিসেবে পরিচিত।
চমেক পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই শীলব্রত বড়ুয়া জানান, শনিবার গভীররাতে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় লোকমানকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এ সময় চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। রোববার দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে আত্মীয়-স্বজন লাশ গ্রামের বাড়ি সিলেটে নিয়ে গেছেন।
বাকলিয়া থানার ওসি প্রণব চৌধুরী জানান, খুনের ঘটনায় আটজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। কৃষ্ণ নামে এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।