বাংলাদেশিদের জন্য সম্ভাবনাময় দেশ ওমান। নিরাপত্তা ও উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে ইতোমধ্যেই দেশটি বিশ্বের শান্তিপ্রিয় দেশের তালিকায় দশ নম্বর অবস্থান ধরে রেখেছে। ওমানে এখন প্রবাসী জনসংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশি রয়েছে এক নম্বরে। প্রায় আট লাখের মতো হবে। বাংলাদেশে রেমিটেন্স প্রেরণে ওমান সাত নম্বরে রয়েছে।
ওমানে বসবাসরত ৮ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশিদের সেবা দিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ দূতাবাস ওমান। যদিও ৮ লাখ প্রবাসীর সেবা দিতে যথেষ্ট লোকবল নেই দূতাবাসে, এরপরও তারা সবসময় চেষ্টা করেন যথাযথ সেবা প্রবাসীদের মাঝে পৌঁছে দিতে।
একান্ত আলোচনায় দূতাবাসের হেড অব চেন্সারি আবুল হাসান মৃধা প্রবাসীদের বিভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন ও দূতাবাসের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই ওমান এবং বাংলাদেশের মাঝে ব্যবসায়িক সম্পর্ক তৈরি করতে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ দূতাবাস ওমান।
সম্প্রতি মাস্কাটের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মুহাম্মাদ বরকত আলীর উদ্যোগে আয়োজন করা হয় ডিনারপার্টি ও নৌভ্রমণের। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দূতাবাসের হেড অব চেন্সারি আবুল হাসান মৃধা, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ থেকে আগত বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এমডি সামজিদ মিয়া ও মাস্কাটের বিভিন্ন ব্যবসায়ী।
এ সময় বরকত আলী তার রেস্টুরেন্টের বিখ্যাত ১৪ কালারের জুসসহ অন্যান্য খাবার দিয়ে আপ্যায়ন করান সকল অতিথিদের। অতিথিরা তার ১৪ কালারের স্পেশাল ফ্রেস জুস খেয়ে অনেক প্রশংসা করেন। এরপর মাস্কাটের নিকটতম বিচ কান্তাব মেরিনা বন্দর থেকে ডলফিন দেখার জন্য আরব সাগরের ডলফিন পয়েন্টে যান সবাই। ওমানের এমন প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখে মুগ্ধ বাংলাদেশ বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এমডি সামজিদ মিয়া।
এছাড় দেশে থেকে আসা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এমডি সামজিদ মিয়ার সৌজন্যে ডিনারপার্টি ও নৌভ্রমণের আয়োজন করেছে মাতরার বিখ্যাত ১৪ কালার জুস কোম্পানির মালিক মুহম্মদ বরকত আলী।