ঢাকা ০১:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বিজিএমইএ’র আসন্ন নির্বাচনে তৎপর জুলাই অভ্যুত্থানে গণহত্যার মামলার আসামীরা Logo দশমিনায় যুবদল নেতাকে জড়িয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রচার এর প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন Logo কেরানীগঞ্জ মডেল ভূমি অফিস যেন ঘুষের আস্তানা: এসিল্যান্ড থেকে পিয়ন সবাই এক আত্মা!  Logo শেখ সোহেলের সহচর কাউট রাজু গ্রুপের তাণ্ডব: অস্ত্র ঠেকিয়ে প্রাণনাশের হুমকি Logo পদোন্নতি,বদলি. কেনাকাটায় পাহাড়সম দুর্নীতি ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তরে: দুদকের বিশেষ অভিযান Logo সুনামগঞ্জে প্রবাসী সাংবাদিকের বাড়িতে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলা Logo নিজেই মাদকাসক্ত মাদক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা; মাসে মাসোহারা আদায় ৭লাখ! Logo দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রকারী মাস্টারমাইন্ড সেচ্ছাসেবকলীগ নেত্রী ফাতেমা আক্তার শাপলা Logo ‘শেখ হাসিনা ও জিয়াউলের বিরুদ্ধে ২০০ গুমের প্রমাণ মিলেছে’ Logo দুর্নীতির ছায়ায় রাজউক ইমারত পরিদর্শক মনিরুজ্জামান!




মুরগির বাচ্চাকে বাঁচাতে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সেই শিশু পুরস্কৃত

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৫৮:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ এপ্রিল ২০১৯ ১৬৬ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক; ভারতের ৬ বছর বয়সী এক শিশু নিজের সাইকেল দিয়ে মুরগির একটি বাচ্চাকে চাপা দেয়ার পর চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সেই শিশুকে পুরস্কৃত করা হয়েছে।

মানবিকতার এমন দৃষ্টান্ত স্থাপন করায় সেই শিশুকে পুরস্কৃত করেছে তার স্কুল কর্তৃপক্ষ। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার

মুরগির ওই বাচ্চাকে নিয়ে হাসপাতালে ছুটে যাওয়ার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়।

ছবিতে দেখা যায়, ওই শিশুটির এক হাতে মুরগির বাচ্চা আর অন্য হাতে ছিল দশ রুপি।

ঘটনাটি ঘটে ভারতের মিজোরামের সাইরাং এলাকায়। ওই শিশুর নাম ডেরেক সি লালচানহিমা।

হাসপাতালে মুরগির বাচ্চা নিয়ে আসা ওই ছবিটিতে ফেসবুকে অসংখ্য লাইক, মন্তব্য আর শেয়ার হয়েছে।

সাংগা সেইস নামের একটি আইডি থেকে ছবিটি ফেসবুকে শেয়ার করা হয়। তিনি জানান, ডেরেকের বাবা ঘটনাটি তাকে জানানোর পর তার সঙ্গে ছবিটি শেয়ার করেছিলেন।

সাংগা বলেন, ওর বাবার বক্তব্য অনুযায়ী, দুর্ঘটনাক্রমে মেরে ফেলা প্রতিবেশীর একটি মুরগির বাচ্চা নিয়ে শিশুটি বাড়িতে আসে। বাচ্চাটি যে মারা গেছে সেটি সে বুঝতে পারছিল না তাই তার বাবাকে বাচ্চাটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া জন্য বলতে থাকে। বাবা তাকে দশটি রুপি দিয়ে তাকেই হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন।

লালচানহিমা মুরগির বাচ্চা ও দশ রুপি হাতে হাসপাতালে হাজির হয়। সেখানে শিশুটির সরলতা ও মানবিকতা দেখে অভিভূত এক নার্স তার ছবি তোলেন। সেই ছবিটিই অনলাইনে ভাইরাল হয়।

হাসপাতাল থেকে কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে ফিরে মুরগির বাচ্চাটিকে সাহায্য করার চেষ্টায় এরপর আরও ১০০ রুপি নিয়ে ফের হাসপাতালে ছুটে যায় শিশুটি।

সাংগা বলেন, শেষ পর্যন্ত তারা বাবা-মা তাকে বোঝান যে মুরগির বাচ্চাটা মারা গেছে, হাসপাতালের লোকেরা আর কিছু করতে পারবে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




মুরগির বাচ্চাকে বাঁচাতে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সেই শিশু পুরস্কৃত

আপডেট সময় : ০৯:৫৮:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ এপ্রিল ২০১৯

অনলাইন ডেস্ক; ভারতের ৬ বছর বয়সী এক শিশু নিজের সাইকেল দিয়ে মুরগির একটি বাচ্চাকে চাপা দেয়ার পর চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সেই শিশুকে পুরস্কৃত করা হয়েছে।

মানবিকতার এমন দৃষ্টান্ত স্থাপন করায় সেই শিশুকে পুরস্কৃত করেছে তার স্কুল কর্তৃপক্ষ। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার

মুরগির ওই বাচ্চাকে নিয়ে হাসপাতালে ছুটে যাওয়ার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়।

ছবিতে দেখা যায়, ওই শিশুটির এক হাতে মুরগির বাচ্চা আর অন্য হাতে ছিল দশ রুপি।

ঘটনাটি ঘটে ভারতের মিজোরামের সাইরাং এলাকায়। ওই শিশুর নাম ডেরেক সি লালচানহিমা।

হাসপাতালে মুরগির বাচ্চা নিয়ে আসা ওই ছবিটিতে ফেসবুকে অসংখ্য লাইক, মন্তব্য আর শেয়ার হয়েছে।

সাংগা সেইস নামের একটি আইডি থেকে ছবিটি ফেসবুকে শেয়ার করা হয়। তিনি জানান, ডেরেকের বাবা ঘটনাটি তাকে জানানোর পর তার সঙ্গে ছবিটি শেয়ার করেছিলেন।

সাংগা বলেন, ওর বাবার বক্তব্য অনুযায়ী, দুর্ঘটনাক্রমে মেরে ফেলা প্রতিবেশীর একটি মুরগির বাচ্চা নিয়ে শিশুটি বাড়িতে আসে। বাচ্চাটি যে মারা গেছে সেটি সে বুঝতে পারছিল না তাই তার বাবাকে বাচ্চাটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া জন্য বলতে থাকে। বাবা তাকে দশটি রুপি দিয়ে তাকেই হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন।

লালচানহিমা মুরগির বাচ্চা ও দশ রুপি হাতে হাসপাতালে হাজির হয়। সেখানে শিশুটির সরলতা ও মানবিকতা দেখে অভিভূত এক নার্স তার ছবি তোলেন। সেই ছবিটিই অনলাইনে ভাইরাল হয়।

হাসপাতাল থেকে কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে ফিরে মুরগির বাচ্চাটিকে সাহায্য করার চেষ্টায় এরপর আরও ১০০ রুপি নিয়ে ফের হাসপাতালে ছুটে যায় শিশুটি।

সাংগা বলেন, শেষ পর্যন্ত তারা বাবা-মা তাকে বোঝান যে মুরগির বাচ্চাটা মারা গেছে, হাসপাতালের লোকেরা আর কিছু করতে পারবে না।