ঢাকা ০৯:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৪ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo গণপূর্তের দুর্নীতির মহারাজ প্রকৌশলী মহিবুল পর্ব- ১ Logo “দেশের সাংবাদিকতার ইতিহাসে আতাউস সামাদ এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত” Logo হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ Logo ‘ভালো থাকিস সবাই’ স্টোরি দেয়ার পর আত্মহত্যা করেন কুবি শিক্ষার্থী Logo শেয়ার মার্কেট ধ্বংসের ডন কাজী সাইফুর: রয়েছে শত কোটি টাকার অবৈধ রিপ্লেসমেন্ট শেয়ার! Logo ইউজিসির গবেষণা প্রকল্প পেলেন কুবির দুই শিক্ষক Logo রাজউকের নথি গায়েবের মূল হোতা নাসির উদ্দীন স্ট্যান্ড রিলিজ Logo বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের রিপোর্টে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্য Logo শাবিপ্রবিতে দায়িত্বপালনকালে প্রক্টরিয়াল বডির দুই সদস্য আহত Logo জিয়া শিশু কিশোর মেলার ঢাকা মহানগর দক্ষিণের কমিটি ঘোষণা




মুরগির বাচ্চাকে বাঁচাতে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সেই শিশু পুরস্কৃত

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৫৮:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ এপ্রিল ২০১৯ ৭৪ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক; ভারতের ৬ বছর বয়সী এক শিশু নিজের সাইকেল দিয়ে মুরগির একটি বাচ্চাকে চাপা দেয়ার পর চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সেই শিশুকে পুরস্কৃত করা হয়েছে।

মানবিকতার এমন দৃষ্টান্ত স্থাপন করায় সেই শিশুকে পুরস্কৃত করেছে তার স্কুল কর্তৃপক্ষ। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার

মুরগির ওই বাচ্চাকে নিয়ে হাসপাতালে ছুটে যাওয়ার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়।

ছবিতে দেখা যায়, ওই শিশুটির এক হাতে মুরগির বাচ্চা আর অন্য হাতে ছিল দশ রুপি।

ঘটনাটি ঘটে ভারতের মিজোরামের সাইরাং এলাকায়। ওই শিশুর নাম ডেরেক সি লালচানহিমা।

হাসপাতালে মুরগির বাচ্চা নিয়ে আসা ওই ছবিটিতে ফেসবুকে অসংখ্য লাইক, মন্তব্য আর শেয়ার হয়েছে।

সাংগা সেইস নামের একটি আইডি থেকে ছবিটি ফেসবুকে শেয়ার করা হয়। তিনি জানান, ডেরেকের বাবা ঘটনাটি তাকে জানানোর পর তার সঙ্গে ছবিটি শেয়ার করেছিলেন।

সাংগা বলেন, ওর বাবার বক্তব্য অনুযায়ী, দুর্ঘটনাক্রমে মেরে ফেলা প্রতিবেশীর একটি মুরগির বাচ্চা নিয়ে শিশুটি বাড়িতে আসে। বাচ্চাটি যে মারা গেছে সেটি সে বুঝতে পারছিল না তাই তার বাবাকে বাচ্চাটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া জন্য বলতে থাকে। বাবা তাকে দশটি রুপি দিয়ে তাকেই হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন।

লালচানহিমা মুরগির বাচ্চা ও দশ রুপি হাতে হাসপাতালে হাজির হয়। সেখানে শিশুটির সরলতা ও মানবিকতা দেখে অভিভূত এক নার্স তার ছবি তোলেন। সেই ছবিটিই অনলাইনে ভাইরাল হয়।

হাসপাতাল থেকে কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে ফিরে মুরগির বাচ্চাটিকে সাহায্য করার চেষ্টায় এরপর আরও ১০০ রুপি নিয়ে ফের হাসপাতালে ছুটে যায় শিশুটি।

সাংগা বলেন, শেষ পর্যন্ত তারা বাবা-মা তাকে বোঝান যে মুরগির বাচ্চাটা মারা গেছে, হাসপাতালের লোকেরা আর কিছু করতে পারবে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




মুরগির বাচ্চাকে বাঁচাতে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সেই শিশু পুরস্কৃত

আপডেট সময় : ০৯:৫৮:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ এপ্রিল ২০১৯

অনলাইন ডেস্ক; ভারতের ৬ বছর বয়সী এক শিশু নিজের সাইকেল দিয়ে মুরগির একটি বাচ্চাকে চাপা দেয়ার পর চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সেই শিশুকে পুরস্কৃত করা হয়েছে।

মানবিকতার এমন দৃষ্টান্ত স্থাপন করায় সেই শিশুকে পুরস্কৃত করেছে তার স্কুল কর্তৃপক্ষ। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার

মুরগির ওই বাচ্চাকে নিয়ে হাসপাতালে ছুটে যাওয়ার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়।

ছবিতে দেখা যায়, ওই শিশুটির এক হাতে মুরগির বাচ্চা আর অন্য হাতে ছিল দশ রুপি।

ঘটনাটি ঘটে ভারতের মিজোরামের সাইরাং এলাকায়। ওই শিশুর নাম ডেরেক সি লালচানহিমা।

হাসপাতালে মুরগির বাচ্চা নিয়ে আসা ওই ছবিটিতে ফেসবুকে অসংখ্য লাইক, মন্তব্য আর শেয়ার হয়েছে।

সাংগা সেইস নামের একটি আইডি থেকে ছবিটি ফেসবুকে শেয়ার করা হয়। তিনি জানান, ডেরেকের বাবা ঘটনাটি তাকে জানানোর পর তার সঙ্গে ছবিটি শেয়ার করেছিলেন।

সাংগা বলেন, ওর বাবার বক্তব্য অনুযায়ী, দুর্ঘটনাক্রমে মেরে ফেলা প্রতিবেশীর একটি মুরগির বাচ্চা নিয়ে শিশুটি বাড়িতে আসে। বাচ্চাটি যে মারা গেছে সেটি সে বুঝতে পারছিল না তাই তার বাবাকে বাচ্চাটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া জন্য বলতে থাকে। বাবা তাকে দশটি রুপি দিয়ে তাকেই হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন।

লালচানহিমা মুরগির বাচ্চা ও দশ রুপি হাতে হাসপাতালে হাজির হয়। সেখানে শিশুটির সরলতা ও মানবিকতা দেখে অভিভূত এক নার্স তার ছবি তোলেন। সেই ছবিটিই অনলাইনে ভাইরাল হয়।

হাসপাতাল থেকে কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে ফিরে মুরগির বাচ্চাটিকে সাহায্য করার চেষ্টায় এরপর আরও ১০০ রুপি নিয়ে ফের হাসপাতালে ছুটে যায় শিশুটি।

সাংগা বলেন, শেষ পর্যন্ত তারা বাবা-মা তাকে বোঝান যে মুরগির বাচ্চাটা মারা গেছে, হাসপাতালের লোকেরা আর কিছু করতে পারবে না।