বজ্র-ঝড় সহ ৪০ ছাড়াতে পারে তাপমাত্রা!
- আপডেট সময় : ০৪:৫৫:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ এপ্রিল ২০১৯ ১২২ বার পড়া হয়েছে
কয়েকদিন পরেই শুরু হচ্ছে কালবৈশাখী ঝড়ের মাস। তার আগেই প্রকৃতিতে হানা দিয়েছে কালবৈশাখী। যার সমান্য আঘাতেই রাজধানীতে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত চারজন। ভেঙে পড়েছে বৈদ্যুতিক খুঁটি তার ছিড়ে পুরো রাজধানী ছিলো অন্ধকারে।
আবহাওয়া অফিস বলছে, আসছে দিনে এই ঝড়ের তীব্রতা আরো বাড়বে। সঙ্গে থাকবে তীব্র বজ্রপাতও। আর এসব কেটে গেলেই মাঝে মধ্যে তীব্র তাপাদাহ নিয়ে ভয়াবহ মূর্তি ধারণ করবে প্রকৃতি। ছাড়িয়ে যাবে ৪০ ডিগ্রীর উপরে যার জনজীবনে বয়ে আনবে চরম তাপাদাহের তীব্রতা।
মে মাসে দাবদাহ আরও দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে বলেও আশঙ্কা রয়েছে। ঝড়-দাবদাহ-ঝড় এভাবেই এ মৌসুম কাটবে বলে সতর্কতা দিচ্ছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সতর্কসংকেতে বলা হচ্ছে, এপ্রিল মাসেই দেশের উত্তর থেকে মধ্যাঞ্চলে ২ থেকে ৩টি বজ্রসহ মাঝারি অথবা তীব্র কালবৈশাখী অথবা তীব্র বজ্রঝড় ও দেশের অন্যান্য স্থানে ৪ থেকে ৫ দিন হালকা অথবা মাঝারি কালবৈশাখী অথবা মাঝারি বজ্রঝড় হতে পারে।
দাবদাহের ক্ষেত্রে বলা হচ্ছে, দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে একটি তীব্র তাপপ্রবাহ (৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে) এবং অন্যান্য স্থানে ১ থেকে ২টি মৃদু তাপপ্রবাহ (৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) অথবা মাঝারি তাপপ্রবাহ (৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলিসিয়াল) বয়ে যেতে পারে।
এপ্রিলে স্বাভাবিকের চেয়ে বৃষ্টিপাত একটু বেশি হবে। ১ থেকে ২টি নিন্মচাপ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যার একটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।
অন্যদিকে মে মাসের পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদফতর বলেছে-উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে ২ থেকে ৩ দিন মাঝারি অথবা তীব্র বজ্রঝড় ও দেশের অন্যান্য স্থানে ৩ থেকে ৪ দিন হালকা অথবা মাঝারি বজ্রঝড় হতে পারে। মে মাসে দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ১ থেকে ২টি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং অন্যান্য স্থানে ২ থেকে ৩টি মৃদু অথবা মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। অর্থাৎ মে মাসে তাপপ্রবাহ দীর্ঘায়িত হওয়ার সম্ভাবনা দেখছে আবহাওয়া অফিস।
এ মাসে দেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হবে। বঙ্গোপসাগরে মে মাসেও ১ থেকে ২টি নিন্মচাপ সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।
আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক ও বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারম্যান সামছুদ্দিন আহমদ এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন এরইমধ্যে কৃষিমন্ত্রীকে পাঠিয়েছেন। যার অনুলিপি দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্য সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে পাঠানো হয়েছে।
দুই বছর ধরেই বজ্রঝড় ও তাপপ্রবাহ দু’টো বেড়েছে। বিশেষ করে বজ্রঝড়ে নিহত হওয়ার ঘটনা বেড়েই চলেছে। ২০১৭ ও ২০১৮ সালে দুই শতাধিক মানুষ বজ্রপাতে নিহত হয়েছেন।