ঢাকা ০৮:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বটিয়াঘাটা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দুর্নীতি ও অনিয়মে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ Logo বামনায় রাতের অন্ধকারে লোহার পুল চুরি! কর্তৃপক্ষের নীরব ভূমিকা Logo কথিত পীরের ধর্ম ব্যবসার পাশাপাশি পোল্ট্রি ফার্ম : ধ্বংসের মুখে পরিবেশ Logo নকল সিগমা লিফটে গ্রাহকরা প্রতারিত, বাড়ছে দুর্ঘটনা! Logo বিএডিসি’র আড়ালে দুর্নীতির কারখানা: গুদামরক্ষকের বিরুদ্ধে কোটি টাকার জালিয়াতির অভিযোগ Logo অবৈধ স্থাপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) উদাসীন Logo রাজধানীতে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ও মার্কেট নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের অবহেলা Logo হানিফ ফ্লাইওভার টোলের ১২০০ কোটি টাকা ওরিয়ন গ্রুপের পেটে! Logo ‘ফুল ভলিয়মে ভাইরাল গানে মগ্ন অন্তর্বর্তী জোট’ Logo স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে স্বৈরাচারের দোসর সৈয়দ হাবিবুরের দুর্নীতির ফিরিস্তি- পর্ব ১

কমলগঞ্জে মেলার নামে জুয়ার আসরের প্রস্তুুতি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:২৫:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০১৯ ১৭১ বার পড়া হয়েছে

শাহাবুদ্দীন আহমেদ; মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের লাউয়াছড়া বন সংলগ্ন দক্ষিণ বালিগাঁও বটতলার হীড বাংলাদেশের খেলার মাঠে আনন্দ মেলার নামে জুয়ার আসর ও অশ্লীল কর্মকান্ডের প্রস্তুতি চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

স্থানীয়দের আপত্তি থাকা সত্ত্বেও প্রভাবশালী একটি মহল সুকৌশলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ব্যবহার করে আনন্দ মেলা করতে ইতিমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। আনন্দ মেলার নামে জুয়া ও অসামাজিক কার্যক্রম বন্ধের বিরুদ্ধে কমলগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোঃ সুরমান মিয়া, এলাকাবাসীসহ ও ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ইতিমধ্যেই প্রশাসনের নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযুদ্ধা অধ্যাপক মোহাম্মদ রফিকুর রহমানের সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন অানন্দ মেলার নামে জুয়া ও অশ্লীল কার্যক্রমের প্রস্তুুতি চলছে তার তীব্র নিন্ধা ও প্রতিবাদ জানাই, সেই সাথে সকলকে ঐক্যবন্ধ হয়ে অসামাজিক কর্মকাণ্ড বন্ধের অাহব্বান জানান।

কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোহাম্মদ আরিফুল রহমান বলেন প্রশাসন কর্তৃক আনন্দমেলার কোন অনুমতি দেওয়া হয়নি।

পাহাড় রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটির চেয়ারম্যান পরিবেশবাদী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন লাউয়াছড়া বনের সংলগ্ন আনন্দমেলার উচ্চ শব্দ, আলোকসজ্জা ও গান বাজনা বন্য প্রাণীর জন্য মারাত্মক হুমকি। আনন্দ মেলা বনের সংলগ্ন বিশেষ করে সংরক্ষিত বনের এলাকাতে করতে দেওয়া মানে জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করা।

স্থানীয়দের সাথে আলাপ করলে জানা যায়, আনন্দ মেলার নামে জুয়া ও অশ্লীল কর্মকাণ্ডের প্রশ্রয় যদি দেওয়া হয় তাহলে স্কুল, কলেজ পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীর পড়ালেখায় ব্যাঘাত, এলাকায় চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, এমনকি ধর্ষণ বেড়ে যাবে। স্থানীয়রা আনন্দ মেলা বন্ধের জন্য জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের প্রতি অাহব্বান জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

কমলগঞ্জে মেলার নামে জুয়ার আসরের প্রস্তুুতি

আপডেট সময় : ১০:২৫:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০১৯

শাহাবুদ্দীন আহমেদ; মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের লাউয়াছড়া বন সংলগ্ন দক্ষিণ বালিগাঁও বটতলার হীড বাংলাদেশের খেলার মাঠে আনন্দ মেলার নামে জুয়ার আসর ও অশ্লীল কর্মকান্ডের প্রস্তুতি চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

স্থানীয়দের আপত্তি থাকা সত্ত্বেও প্রভাবশালী একটি মহল সুকৌশলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ব্যবহার করে আনন্দ মেলা করতে ইতিমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। আনন্দ মেলার নামে জুয়া ও অসামাজিক কার্যক্রম বন্ধের বিরুদ্ধে কমলগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোঃ সুরমান মিয়া, এলাকাবাসীসহ ও ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ইতিমধ্যেই প্রশাসনের নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযুদ্ধা অধ্যাপক মোহাম্মদ রফিকুর রহমানের সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন অানন্দ মেলার নামে জুয়া ও অশ্লীল কার্যক্রমের প্রস্তুুতি চলছে তার তীব্র নিন্ধা ও প্রতিবাদ জানাই, সেই সাথে সকলকে ঐক্যবন্ধ হয়ে অসামাজিক কর্মকাণ্ড বন্ধের অাহব্বান জানান।

কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোহাম্মদ আরিফুল রহমান বলেন প্রশাসন কর্তৃক আনন্দমেলার কোন অনুমতি দেওয়া হয়নি।

পাহাড় রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটির চেয়ারম্যান পরিবেশবাদী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন লাউয়াছড়া বনের সংলগ্ন আনন্দমেলার উচ্চ শব্দ, আলোকসজ্জা ও গান বাজনা বন্য প্রাণীর জন্য মারাত্মক হুমকি। আনন্দ মেলা বনের সংলগ্ন বিশেষ করে সংরক্ষিত বনের এলাকাতে করতে দেওয়া মানে জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করা।

স্থানীয়দের সাথে আলাপ করলে জানা যায়, আনন্দ মেলার নামে জুয়া ও অশ্লীল কর্মকাণ্ডের প্রশ্রয় যদি দেওয়া হয় তাহলে স্কুল, কলেজ পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীর পড়ালেখায় ব্যাঘাত, এলাকায় চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, এমনকি ধর্ষণ বেড়ে যাবে। স্থানীয়রা আনন্দ মেলা বন্ধের জন্য জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের প্রতি অাহব্বান জানান।