ঢাকা ১১:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo প্রতিশোধের আগুন পুষে- কবি আকাশমণি Logo প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের বক্তব্য: Logo বিএনপি ছুট আলোচিত নেতা শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার Logo কয়েক লাখ টাকার প্রতারণা করে পলাতক ময়মনসিংহ’ সাইফুল ও আসাদ: থানায় মামলা দায়ের Logo মা-মেয়ের অপরাধের সাম্রাজ্য: বাড্ডা সাঁতারকূল এলাকায় এই বাড়িতেই ছিল আওয়ামী ক্যাডারদের আস্তানা Logo কামাল পলকের মাসিপিসি ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা সালেহ উদ্দিন Logo আনিসুল হক ও জ্যাকবের রিমান্ড মঞ্জুর  Logo ঢাকা ও সিটি কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে সায়েন্সল্যাব রণক্ষেত্র Logo দীর্ঘ ১৫ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া Logo ব্যাগ ভর্তি ঘুষের টাকা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় পৌঁছে দিতেন ফায়ার কর্মকর্তা জসিম  




স্বৈরাচার আওয়ামীলীগের দোসর জেলার মামুনুর: দুর্নীতির মাধ্যমে গড়েছেন সম্পদের পাহাড়

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:৫১:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪ ১০১ বার পড়া হয়েছে

{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":["local"],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{"square_fit":1},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":true,"containsFTESticker":false}

নিজস্ব প্রতিবেদক: মুক্তিযোদ্ধা বাবার পরিচয় নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান মামুনুর রশিদ জেল পুলিশের অফিসার হিসেবে চাকুরী নেন। নিজেকে বড় আওয়ামী লীগের পরিচয় দিয়ে বিগত স্বৈরাচার সরকারের আমলে প্রভাব খাটিয়ে চাকুরীর সুবাদে গড়ে তুলেছেন সম্পদের পাহাড়। এত পরিবারের সম্পদের মালিক তিনি অনায়াসেই তাকে ঝিনাইদহ জেলার জমিদার বলা যেতে পারে।

বিশ্বস্ত একটি সূত্র জানায়, খেটে খাওয়া নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান মামুনুর রশীদের এই চাকুরী পাওয়ার পর থেকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। বর্তমানে তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। চাকুরী পাওয়ার পর থেকে কর্ম ক্ষেত্রে দুর্নীতি ও অপরাধের মাফিয়া হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনি। এপর্যন্ত তিনি যতগুলো কারাগারে দ্বায়িত্ব পালন করেছেন সব জায়গায় তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। বিগত দিনে নিজেকে জড়িয়েছেন অনিয়ম, দুর্নীতি, নিয়োগ বানিজ্য, ঘুষ বানিজ্য সহ মাদক ও সোনা চোরাচালানের সাথে। তিনি আরও বলেন বর্তমান নারায়নগঞ্জের জেলা কারাগারের জেলার হিসেবে থাকা মামুনুর রশীদ মূলত যশোর, কুমিল্লা, ঝিনাইদহে ডেপুটি জেলার পদে থাকাকালীন সময়ে তার মামা বাড়ির এক ঘনিষ্ঠ আত্মীয়র মাধ্যমে জরিয়ে পরেন মাদক ও সোনা চোরাচালানের সাথে, আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান হওয়ার কারণে আওয়ামী লীগের উৎস পদস্থ নেতাদের সাথে ওঠাবসা ছিল তার। আর তাই আওয়ামীলীগের ক্ষমতার দাপটে ঝিনাইদহ জেলা কারাগারের ভেতর সৃষ্টি করে অনিয়ম দুর্নীতি টেন্ডার বানিজ্য সহ মাদকের হাট বাজার।

বিগত সরকারের আমলে তিনি এতটাই প্রভাবশালী ছিলেন যে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও তার ক্ষমতার কাছে বারং বার হাড় মেনেছে। মামুনুর রশীদের বাড়ি ফরিদপুর হবার সুবাদে আওয়ামী লীগের প্রায় ডজন খানেক মন্ত্রী এমপির সাথে ছিলো  দারুন সক্ষতা। এই ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে অবৈধ কর্মকান্ডের মাধ্যমে শত কোটি টাকার সম্পদের মালিক বলে গেছেন তিনি।

এত শত অপরাধ ও দুর্নীতি করেও স্বৈরাচারী সরকারের দোসর  এই জেলার বর্তমানে নারায়নগঞ্জের জেলা কারাগারের জেলার হিসেবে বহাল রয়েছেন।

আওয়ামী লীগের দোসর জেলার মামুনুর রশীদের সম্পদের বিবরণ:

অনিয়ম দুর্নীতি মাদক চোরাচালানের মাধ্যমে অর্জিত অর্থ দিয়ে মামুনুর রশিদ ঝিনাইদহ শহরের বাইপাস ভুটিয়ারগাতি, হাটগোপালপুর, শৈলুপার আবাইপুর ইউনিয়নের কুমিড়াদহ গ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় কিনেছেন প্রায় ৫০ বিঘা জমি। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৫০ কোটি।

সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিসে খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে এসব সম্পদের কিছু নিজের নামে এবং কিছু পরিবারের অন্যান্য সদস্যের নামে রয়েছে।

এছাড়াও ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হাটগোপালপুর বাজারে দোতলা বাড়িসহ প্রায় ৩ কোটি টাকার জমি কিনতে বায়না করেছেন তিনি। শুধু ঝিনাইদহে নয়, যশোরে তার আত্নীয় স্বজন ও স্ত্রীর নামে নোট ও বিভিন্ন স্থাপনা কিনেছেন যার মূল্য প্রায় ৫ কোটি টাকা।

ফরিদপুরে তার নিজ গ্রাম সহ মামুনুর রশীদ ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে-বেনামে কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে। একজন জেলার হয়ে কিভাবে এত সম্পত্তির মালিক হয়েছেন মামুনুর এই প্রশ্নের আশ্চর্য বনে গেছেন তার নিজ গ্রাম সহ তার চাকুরীরত দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীরাও।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মামুনুর রশিদের বাড়ি ফরিদপুর জেলায়। নানাবাড়ি শৈলকূপা উপজেলার ১১নং আবাইপুর ইউনিয়নের কুমিড়াদহ গ্রামে।

সংবাদমাধ্যমের অনুসন্ধানী টিম দুর্নীতিবাজ এই জেলারের বিষয়ে নিজ গ্রামে খোঁজখবর নিতে উপস্থিত হলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তার পারিবারিক এক আত্মীয় জানান, তিনি ২০১২ সালে ঝিনাইদহের ডেপুটি জেলার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ওই সময় সদর উপজেলার বাকড়ি গ্রামে তার বড় মামার শ্বশুরবাড়ির আত্মীয় সম্পর্কে দেলোয়ার হোসেন দুর্লভ নামের এক দালালের সাথে পরিচয় হয় মামুনের। সেই দালাল দুর্লভের মাধ্যমে ঝিনাইদহ শহরের বাইপাস, ভুটিয়ারগাতি, হাটগোপালপুরে কয়েক কোটি টাকার জমি কিনেন। সদর উপজেলার হাটগোপালপুর বাজারের ব্যবসায়ী মোয়াজ্জেম হোসেনের ১২ শতক জমি, মার্কেটসহ দোতলা বাড়ি ক্রয় করার জন্য ইতোমধ্যেই বায়না দিয়েছেন, যার আনুমানিক মূল্য ৩ কোটি টাকা। এছাড়াও যশোর, ফরিদপুর, কুমিল্লায়ও তার নামে-বেনামে একাধিক সম্পত্তি রয়েছে।

এছাড়াও তার নিকটস্থ আরেক আত্মীয়র সূত্রে জানা গেছে, তার ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত ভূমি ও মাদক ব্যবসায়ী দুর্লভ ও তার স্ত্রীর নামেও জেলার মামুনুরের সম্পত্তি রয়েছে বলে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, নারায়নগঞ্জের জেলার মামুনুর রশীদ আরেক দালাল দেলোয়ারের মাধ্যমে ভারত, দুবাই, কানাডা সহ বিভিন্ন দেশে কোটি কোটি টাকা পাচার করেছেন। এসব পাচারকৃত অর্থ দিয়ে তিনি বিদেশে সেকেন্ড হোম গড়ে তুলেছেন এমনটা শোনা গেছে।

মানবাধিকার কর্মী আব্দুর রাজ্জাক রাজ বলেন, তিনি একজন সরকারি কর্মকর্তা হয়ে নিজের বেতন দিয়ে পরিবার পরিজনের ভরণপোষণ শেষে এত সম্পত্তি গড়ে তোলা কখনোই সম্ভব নয়। এসব অভিযোগের অনুসন্ধানের যদি সত্য প্রমাণিত হয় তবে অবশ্যই তিনি দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা। সরকারি চাকরিতে বহাল থাকার নৈতিকতা হারিয়েছেন তিনি।

জেলার মামুনুর রশিদের বিরুদ্ধে অবৈধ অর্জিত সম্পদ ও দুর্নীতি অনিয়মের বিষয়ে জানতে, তার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। মেসেজের মাধ্যমে এসব অভিযোগের মন্তব্য জানতে চাইলে।  তিনি এক ক্ষুদেবার্তায় প্রতিবেদককে জানান, অবান্তর, তথ্য প্রমাণহীন কথাবার্তা যদি আপনার কাছে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ হয় তাহলে আমার আসলে কিছু বলার নেই। আপনার যেখানে ছাপানোর প্রয়োজন আপনি ছাপান। তবে একটা কথা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে, যদি কেউ কোন নির্দোষ মানুষকে ক্ষতি করে আল্লাহ নিশ্চই তাকে ছাড় দিবেন না।

পরবর্তী সময়ে তিনি অন্য সাংবাদিকদের দিয়ে সংবাদ প্রচার বন্ধ করার প্রচেষ্টা চালিয়েছেন।

Loading

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




স্বৈরাচার আওয়ামীলীগের দোসর জেলার মামুনুর: দুর্নীতির মাধ্যমে গড়েছেন সম্পদের পাহাড়

আপডেট সময় : ০৭:৫১:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক: মুক্তিযোদ্ধা বাবার পরিচয় নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান মামুনুর রশিদ জেল পুলিশের অফিসার হিসেবে চাকুরী নেন। নিজেকে বড় আওয়ামী লীগের পরিচয় দিয়ে বিগত স্বৈরাচার সরকারের আমলে প্রভাব খাটিয়ে চাকুরীর সুবাদে গড়ে তুলেছেন সম্পদের পাহাড়। এত পরিবারের সম্পদের মালিক তিনি অনায়াসেই তাকে ঝিনাইদহ জেলার জমিদার বলা যেতে পারে।

বিশ্বস্ত একটি সূত্র জানায়, খেটে খাওয়া নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান মামুনুর রশীদের এই চাকুরী পাওয়ার পর থেকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। বর্তমানে তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। চাকুরী পাওয়ার পর থেকে কর্ম ক্ষেত্রে দুর্নীতি ও অপরাধের মাফিয়া হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনি। এপর্যন্ত তিনি যতগুলো কারাগারে দ্বায়িত্ব পালন করেছেন সব জায়গায় তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। বিগত দিনে নিজেকে জড়িয়েছেন অনিয়ম, দুর্নীতি, নিয়োগ বানিজ্য, ঘুষ বানিজ্য সহ মাদক ও সোনা চোরাচালানের সাথে। তিনি আরও বলেন বর্তমান নারায়নগঞ্জের জেলা কারাগারের জেলার হিসেবে থাকা মামুনুর রশীদ মূলত যশোর, কুমিল্লা, ঝিনাইদহে ডেপুটি জেলার পদে থাকাকালীন সময়ে তার মামা বাড়ির এক ঘনিষ্ঠ আত্মীয়র মাধ্যমে জরিয়ে পরেন মাদক ও সোনা চোরাচালানের সাথে, আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান হওয়ার কারণে আওয়ামী লীগের উৎস পদস্থ নেতাদের সাথে ওঠাবসা ছিল তার। আর তাই আওয়ামীলীগের ক্ষমতার দাপটে ঝিনাইদহ জেলা কারাগারের ভেতর সৃষ্টি করে অনিয়ম দুর্নীতি টেন্ডার বানিজ্য সহ মাদকের হাট বাজার।

বিগত সরকারের আমলে তিনি এতটাই প্রভাবশালী ছিলেন যে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও তার ক্ষমতার কাছে বারং বার হাড় মেনেছে। মামুনুর রশীদের বাড়ি ফরিদপুর হবার সুবাদে আওয়ামী লীগের প্রায় ডজন খানেক মন্ত্রী এমপির সাথে ছিলো  দারুন সক্ষতা। এই ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে অবৈধ কর্মকান্ডের মাধ্যমে শত কোটি টাকার সম্পদের মালিক বলে গেছেন তিনি।

এত শত অপরাধ ও দুর্নীতি করেও স্বৈরাচারী সরকারের দোসর  এই জেলার বর্তমানে নারায়নগঞ্জের জেলা কারাগারের জেলার হিসেবে বহাল রয়েছেন।

আওয়ামী লীগের দোসর জেলার মামুনুর রশীদের সম্পদের বিবরণ:

অনিয়ম দুর্নীতি মাদক চোরাচালানের মাধ্যমে অর্জিত অর্থ দিয়ে মামুনুর রশিদ ঝিনাইদহ শহরের বাইপাস ভুটিয়ারগাতি, হাটগোপালপুর, শৈলুপার আবাইপুর ইউনিয়নের কুমিড়াদহ গ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় কিনেছেন প্রায় ৫০ বিঘা জমি। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৫০ কোটি।

সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিসে খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে এসব সম্পদের কিছু নিজের নামে এবং কিছু পরিবারের অন্যান্য সদস্যের নামে রয়েছে।

এছাড়াও ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হাটগোপালপুর বাজারে দোতলা বাড়িসহ প্রায় ৩ কোটি টাকার জমি কিনতে বায়না করেছেন তিনি। শুধু ঝিনাইদহে নয়, যশোরে তার আত্নীয় স্বজন ও স্ত্রীর নামে নোট ও বিভিন্ন স্থাপনা কিনেছেন যার মূল্য প্রায় ৫ কোটি টাকা।

ফরিদপুরে তার নিজ গ্রাম সহ মামুনুর রশীদ ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে-বেনামে কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে। একজন জেলার হয়ে কিভাবে এত সম্পত্তির মালিক হয়েছেন মামুনুর এই প্রশ্নের আশ্চর্য বনে গেছেন তার নিজ গ্রাম সহ তার চাকুরীরত দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীরাও।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মামুনুর রশিদের বাড়ি ফরিদপুর জেলায়। নানাবাড়ি শৈলকূপা উপজেলার ১১নং আবাইপুর ইউনিয়নের কুমিড়াদহ গ্রামে।

সংবাদমাধ্যমের অনুসন্ধানী টিম দুর্নীতিবাজ এই জেলারের বিষয়ে নিজ গ্রামে খোঁজখবর নিতে উপস্থিত হলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তার পারিবারিক এক আত্মীয় জানান, তিনি ২০১২ সালে ঝিনাইদহের ডেপুটি জেলার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ওই সময় সদর উপজেলার বাকড়ি গ্রামে তার বড় মামার শ্বশুরবাড়ির আত্মীয় সম্পর্কে দেলোয়ার হোসেন দুর্লভ নামের এক দালালের সাথে পরিচয় হয় মামুনের। সেই দালাল দুর্লভের মাধ্যমে ঝিনাইদহ শহরের বাইপাস, ভুটিয়ারগাতি, হাটগোপালপুরে কয়েক কোটি টাকার জমি কিনেন। সদর উপজেলার হাটগোপালপুর বাজারের ব্যবসায়ী মোয়াজ্জেম হোসেনের ১২ শতক জমি, মার্কেটসহ দোতলা বাড়ি ক্রয় করার জন্য ইতোমধ্যেই বায়না দিয়েছেন, যার আনুমানিক মূল্য ৩ কোটি টাকা। এছাড়াও যশোর, ফরিদপুর, কুমিল্লায়ও তার নামে-বেনামে একাধিক সম্পত্তি রয়েছে।

এছাড়াও তার নিকটস্থ আরেক আত্মীয়র সূত্রে জানা গেছে, তার ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত ভূমি ও মাদক ব্যবসায়ী দুর্লভ ও তার স্ত্রীর নামেও জেলার মামুনুরের সম্পত্তি রয়েছে বলে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, নারায়নগঞ্জের জেলার মামুনুর রশীদ আরেক দালাল দেলোয়ারের মাধ্যমে ভারত, দুবাই, কানাডা সহ বিভিন্ন দেশে কোটি কোটি টাকা পাচার করেছেন। এসব পাচারকৃত অর্থ দিয়ে তিনি বিদেশে সেকেন্ড হোম গড়ে তুলেছেন এমনটা শোনা গেছে।

মানবাধিকার কর্মী আব্দুর রাজ্জাক রাজ বলেন, তিনি একজন সরকারি কর্মকর্তা হয়ে নিজের বেতন দিয়ে পরিবার পরিজনের ভরণপোষণ শেষে এত সম্পত্তি গড়ে তোলা কখনোই সম্ভব নয়। এসব অভিযোগের অনুসন্ধানের যদি সত্য প্রমাণিত হয় তবে অবশ্যই তিনি দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা। সরকারি চাকরিতে বহাল থাকার নৈতিকতা হারিয়েছেন তিনি।

জেলার মামুনুর রশিদের বিরুদ্ধে অবৈধ অর্জিত সম্পদ ও দুর্নীতি অনিয়মের বিষয়ে জানতে, তার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। মেসেজের মাধ্যমে এসব অভিযোগের মন্তব্য জানতে চাইলে।  তিনি এক ক্ষুদেবার্তায় প্রতিবেদককে জানান, অবান্তর, তথ্য প্রমাণহীন কথাবার্তা যদি আপনার কাছে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ হয় তাহলে আমার আসলে কিছু বলার নেই। আপনার যেখানে ছাপানোর প্রয়োজন আপনি ছাপান। তবে একটা কথা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে, যদি কেউ কোন নির্দোষ মানুষকে ক্ষতি করে আল্লাহ নিশ্চই তাকে ছাড় দিবেন না।

পরবর্তী সময়ে তিনি অন্য সাংবাদিকদের দিয়ে সংবাদ প্রচার বন্ধ করার প্রচেষ্টা চালিয়েছেন।

Loading