ঢাকা ০৬:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo গণপূর্তে পীরের কেরামতি: পাহাড়সম দুর্নীতির অভিযোগ থাকলেও প্রধান প্রকৌশলী চেয়ারে বহাল! Logo ডিবির অভিযানে দোহার থানা আওয়ামী লীগের সম্পাদকসহ পাঁচজন গ্রেফতার Logo অবসরে গেলেও ফায়ার সার্ভিসের দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড লেফটেন্যান্ট কর্নেল জুলফিকার – পর্ব ১ Logo ১০০ কেজি গাঁজা ও কাভার্ড পিকআপসহ দুই মাদক কারবারি ডিবির হাতে গ্রেফতার Logo আলোচিত দুর্নীতিবাজ জনস্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী মঈনুল বহাল তবিয়তে!  Logo বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও পরিবারের শেয়ার, ব্যাংক হিসাব বন্ধের নির্দেশ  Logo দশমিনায় যুবদল নেতাকে জড়িয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রচার এর প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন Logo কেরানীগঞ্জ মডেল ভূমি অফিস যেন ঘুষের আস্তানা: এসিল্যান্ড থেকে পিয়ন সবাই এক আত্মা!  Logo শেখ সোহেলের সহচর কাউট রাজু গ্রুপের তাণ্ডব: অস্ত্র ঠেকিয়ে প্রাণনাশের হুমকি Logo পদোন্নতি,বদলি. কেনাকাটায় পাহাড়সম দুর্নীতি ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তরে: দুদকের বিশেষ অভিযান

বঙ্গবন্ধু পরিষদ’ নেতা এলজিইডি’র প্রধান প্রকৌশলী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:০৭:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪ ৩১৮ বার পড়া হয়েছে

সকালের সংবাদ ডেস্ক:

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) বর্তমান প্রধান প্রকৌশলী মো. আলি আখতার হোসেন একজন আওয়ামীপন্থি কর্মকর্তা ও বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদ এলজিইডি শাখার সভাপতি। তার জন্ম তারিখ ১৯৬৫ সালের ২০ অক্টোবর। সেই অনুযায়ী তিনি চলতি মাসের ১৯ অক্টোবর অবসরে যাবেন।

জানা গেছে, মো. আলি আখতার হোসেনের অবসরের পর এলজিইডি’র অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী গোপাল কৃষ্ণ দেবনাথ প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করছেন। কিন্তু গোপাল কৃষ্ণ দেবনাথ একজন কট্টর আওয়ামীপন্থি কর্মকর্তা ও আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠকর্মী হিসেবে পরিচিত। তিনি বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের এলজিইডি শাখার সহসভাপতি। এ ছাড়া তিনি কানে কম শোনেন। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ অভু্যত্থানের পর তিনি বেশ কয়েকদিন ভয়ে অফিসে আসেননি।

হঅভিযোগ আছে, তিনি আওয়ামী শাসনামলে শেখ সেলিম ও শেখ হেলালের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এবং লিটন চৌধুরী ও শাহজাহান খানের ঘনিষ্ঠ সহচর হিসেবে কাজ করেন। আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর তিনি প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর গোপালগঞ্জ জেলার এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুর অঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।

অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, তিনি ক্ষমতাচু্যত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও সরাসরি যোগাযোগ রাখতেন। ৫ আগস্ট গণ অভু্যত্থানের আগ পর্যন্ত তিনি প্রায়ই শেখ সেলিম, শেখ হেলাল, লিটন চৌধুরী ও শাহজাহান খানের বাসায় এলজিইডি’র প্রধান প্রকৌশলী মো. আলি আখতার হোসেনকে নিয়ে মিটিং করেছেন। তিনি ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন এবং আন্দোলনের শহীদদের কখনো স্বীকার করেন না। যার কারণে গণ অভু্যত্থানের পর কোনো প্রোগ্রামে ও মিটিংয়ে বিষয়টি এড্রেস না করে সবসময় কথা বলেন। এ বিষয়টি নিয়ে এলজিইডিতে সবাই বিব্রত।

জানা যায়, তিনি অফিসে আওয়ামীপন্থি অফিসারদের নিয়ে একটি গ্রম্নপ তৈরি করেছেন এবং আওয়ামীপন্থি অফিসারদের নিয়ে প্রায়ই গোপন মিটিং করেন। তিনি স্থানীয় সরকার বিভাগে কর্মরত আওয়ামীপন্থি অফিসারদের সঙ্গে গোপন যোগাযোগ রক্ষা করে চলেন।

এলজিইডি সংশ্লিষ্ট মহল জানান, গোপাল কৃষ্ণ দেবনাথকে এলজিইডি’র প্রধান প্রকৌশলী করা হলে আওয়ামীপন্থি অফিসারগণ আরও সক্রিয় হবেন। এতে এলজিইডির কর্মকান্ডে বাধাগ্রস্ত হবে, এলজিইডি একটি অকার্যকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে এতে এলজিইডি’র কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হবে। সংশ্লিষ্ট মহল বলছেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম গতিশীল রাখার জন্য সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন এবং যাতে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখছেন। তাই এলজিইডি’র কার্যক্রম স্বাভাবিক ও গতিশীল রাখার স্বার্থে আওয়ামী লীগ নেতা ও এলজিইডি’র অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী গোপাল কৃষ্ণ দেবনাথকে এলজিইডি প্রধান প্রকৌশলী পদে পদায়ন করা সমীচীন হবে না বলে তাদের অভিমত।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বঙ্গবন্ধু পরিষদ’ নেতা এলজিইডি’র প্রধান প্রকৌশলী

আপডেট সময় : ০৬:০৭:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪

সকালের সংবাদ ডেস্ক:

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) বর্তমান প্রধান প্রকৌশলী মো. আলি আখতার হোসেন একজন আওয়ামীপন্থি কর্মকর্তা ও বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদ এলজিইডি শাখার সভাপতি। তার জন্ম তারিখ ১৯৬৫ সালের ২০ অক্টোবর। সেই অনুযায়ী তিনি চলতি মাসের ১৯ অক্টোবর অবসরে যাবেন।

জানা গেছে, মো. আলি আখতার হোসেনের অবসরের পর এলজিইডি’র অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী গোপাল কৃষ্ণ দেবনাথ প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করছেন। কিন্তু গোপাল কৃষ্ণ দেবনাথ একজন কট্টর আওয়ামীপন্থি কর্মকর্তা ও আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠকর্মী হিসেবে পরিচিত। তিনি বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের এলজিইডি শাখার সহসভাপতি। এ ছাড়া তিনি কানে কম শোনেন। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ অভু্যত্থানের পর তিনি বেশ কয়েকদিন ভয়ে অফিসে আসেননি।

হঅভিযোগ আছে, তিনি আওয়ামী শাসনামলে শেখ সেলিম ও শেখ হেলালের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এবং লিটন চৌধুরী ও শাহজাহান খানের ঘনিষ্ঠ সহচর হিসেবে কাজ করেন। আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর তিনি প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর গোপালগঞ্জ জেলার এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুর অঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।

অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, তিনি ক্ষমতাচু্যত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও সরাসরি যোগাযোগ রাখতেন। ৫ আগস্ট গণ অভু্যত্থানের আগ পর্যন্ত তিনি প্রায়ই শেখ সেলিম, শেখ হেলাল, লিটন চৌধুরী ও শাহজাহান খানের বাসায় এলজিইডি’র প্রধান প্রকৌশলী মো. আলি আখতার হোসেনকে নিয়ে মিটিং করেছেন। তিনি ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন এবং আন্দোলনের শহীদদের কখনো স্বীকার করেন না। যার কারণে গণ অভু্যত্থানের পর কোনো প্রোগ্রামে ও মিটিংয়ে বিষয়টি এড্রেস না করে সবসময় কথা বলেন। এ বিষয়টি নিয়ে এলজিইডিতে সবাই বিব্রত।

জানা যায়, তিনি অফিসে আওয়ামীপন্থি অফিসারদের নিয়ে একটি গ্রম্নপ তৈরি করেছেন এবং আওয়ামীপন্থি অফিসারদের নিয়ে প্রায়ই গোপন মিটিং করেন। তিনি স্থানীয় সরকার বিভাগে কর্মরত আওয়ামীপন্থি অফিসারদের সঙ্গে গোপন যোগাযোগ রক্ষা করে চলেন।

এলজিইডি সংশ্লিষ্ট মহল জানান, গোপাল কৃষ্ণ দেবনাথকে এলজিইডি’র প্রধান প্রকৌশলী করা হলে আওয়ামীপন্থি অফিসারগণ আরও সক্রিয় হবেন। এতে এলজিইডির কর্মকান্ডে বাধাগ্রস্ত হবে, এলজিইডি একটি অকার্যকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে এতে এলজিইডি’র কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হবে। সংশ্লিষ্ট মহল বলছেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম গতিশীল রাখার জন্য সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন এবং যাতে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখছেন। তাই এলজিইডি’র কার্যক্রম স্বাভাবিক ও গতিশীল রাখার স্বার্থে আওয়ামী লীগ নেতা ও এলজিইডি’র অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী গোপাল কৃষ্ণ দেবনাথকে এলজিইডি প্রধান প্রকৌশলী পদে পদায়ন করা সমীচীন হবে না বলে তাদের অভিমত।