দুই প্রকৌশলীকে বাঁচাতে:
গৃহায়নে সরকারি নথি গায়েব: দুদকের অনুসন্ধান চাপা দিতে কোটি টাকা রফাদফা
- আপডেট সময় : ০৯:৩৯:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩৫ বার পড়া হয়েছে
{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":["local"],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{"square_fit":1,"transform":1},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":true,"containsFTESticker":false}
বিশেষ প্রতিবেদক: জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের দুই প্রকৌশলী বিরুদ্ধে ক্যাসিনো কাণ্ড ও দুর্নীতি অনিয়মের মাধ্যমে পাহাড়সম জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক নোটিশ প্রদান করেন। ওই নোটিশের জবাব দেয়া হয়নি প্রায় চার বছরেও। বরং তাদের বিরুদ্ধে চলমান অভিযোগ এবং অনুসন্ধান থামিয়ে দিয়েছেন প্রায় কোটি টাকার রফা দফায়। অভিযুক্ত দুই প্রকৌশলীরা হচ্ছেন, জাতীয় গৃহায়ণ মিরপুর বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী শেখ সোহেল রানা ও ডিপ্লোমা প্রকৌশলী রাদিউজ্জামান রাজু ওরফে রাতুল।
গত ২১ সালের ২০ সেপ্টেম্বরের টিমের পক্ষে দুদকের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত একটি নোটিশ আসে যার স্মারক নম্বর- ০০০১.০০০০৫.০২.০১.১০১.১৯.২২৯৭৬ উক্ত নোটিশের কার্যক্রম আজ অবধি অমিংমাংসিত থাকলেও টনক নড়েনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
সূত্র জানায়, দীর্ঘ সময় অতিক্রম হলেও কোন তদন্ত হয়নি শেখ সোহেল রানা ও রাদিউজ্জামান রাজুর অভিযোগের বিষয়। এক সময়ের আলোচিত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার চাচা,শেখ কবিরের ডান হাত হিসেবে পরিচিত শেখ সোহেল রানা ও রাদিউজ্জামান সিন্ডিকেট এখন ও বহাল তবিয়তে মিরপুর গৃহায়নে কর্মরত। আজ সরকারি ছুটির দিন থাকায় উনারা দুইজন কতদিন চাকরি করছেন, নির্দিষ্টভাবে জানা না গেলেও, জানা যায় তারা নিয়ম বহির্ভূত ভাবে আট থেকে দশ বছর একই জায়গায় কর্মরত।
অনুসন্ধানকালে শেখ সোহেল রানা ও রাদিউজ্জামান এর বেশ কিছু চমকপ্রদ তথ্য এসেছে প্রতিবেদকের হাতে।
এক সময়ের আলেচিত ক্যাসিনো দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত হলেও রয়েছেন ধরা ছোয়ার বাইরে তারা। তাদের সিন্ডিকেট রাজধানীর মিরপুরে অবৈধভাবে নির্মিত বাড়ি, জমি জায়গা সংক্রান্ত বিষয়গুলো ধামাচাপা দিয়ে অথবা কাগজে সংশোধন করে দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন এই চক্র।
এই চক্রের সদস্যদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক।ঘাটলে দেখা যায় তাদের বিলাস বহুল জীবন যাপনের নমুনা। মিরপুর সহ ঢাকা শহরে রয়েছে নামে ও বেনামে কোটি কোটি টাকার সম্পদ।
একাধিক সূত্র থেকে জানা যায় ৬০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে কর্তৃপক্ষ ফাইলটি ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, বিগত সরকারের আমলে আমার এক আত্মীয়ের প্লটের ত্রুটি দেখিয়ে ২ কোটি টাকা নিয়েছেন তারা। এমন ঘটনা এখানে প্রতিদিনই ঘটে থাকে। আর ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে তারা হাতিয়ে নেয় কোটি কোটি টাকা।
ক্যাসিনো দুর্নীতি সহ জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জনে নোটিশকারী কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশিদ চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রথমে কিছু জানেন না বলে জানান এবং পিকে হালদারের মামলা উনি করেছেন বলে প্রতিবেদকের নিকট দম্ভ দেখান।
পরবর্তীতে তিনি নিজে ফোন করে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং বলেন, বিষয়টি রাজনৈতিক ভাবে চাপা দেওয়া হয়েছে। পরে আবারো ফোন দিয়ে তিনি মূল ঘটনাটি খুলে বলেন। ৬০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ফাইলটি গোপন রাখতে বাধ্য হয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং বলেন, মামলাটির নিষ্পত্তি হলে তারা লিখিত চিঠি পাবেন। দেখেন অভিযুক্তরা চিটি দেখাতে পারেন কিনা।
অভিযুক্ত শেখ সোহেল রানার কাছে ফোনে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি ভিত্তিহীন। টাকা লেনদেন করেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন। নোটিসের পরিবর্তে অফিস থেকে চিঠি পেয়েছেন কিনা জানতে চাইলে বলেন থাকলেও আমি আপনাকে কেন দিব?
অভিযুক্ত রাদিউজ্জামান রাজুর সঙ্গে কথা বললে তিনি বিষয়টা ঐসময় মীমাংসা হয়ে গিয়েছে বলে প্রতিবেদককে জানান। টাকা লেনদেনের বিষয়ে জানতে চাইলে অস্বীকার করেন। চিঠি পেয়েছেন কিনা এমন প্রশ্ন বলেন তিনি চিঠি পাননি।