পানিতে ডুবে মারা যায় শাবিপ্রবি ছাত্র
- আপডেট সময় : ১১:২৬:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ অগাস্ট ২০২৪ ৮৫ বার পড়া হয়েছে
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) ছাত্র রুদ্র সেন নামের এক শিক্ষার্থী পানিতে ডুবে মারা যাবার ঘটনা ঘটে। রুদ্র শাবিপ্রবির কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড পলিমার সায়েন্স বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। দিনাজপুর সদর উপজেলার সুবীর সেন ও শিখা বণিকের ছেলে তিনি। দুই ভাইবোনের মধ্যে রুদ্র ছোট।
১৮ জুলাই সন্ধ্যায় সিলেট নগরীর বাগবাড়ি এলাকায় এক খাল পারি দেয়ার সময় ভেলা উল্টে যাওয়ায় পানিতে ডুবে যায় রুদ্র সেন। সেদিন রাতে সংবাদকর্মীদের সাথে ফোনে আলাপকালে রুদ্রের সঙ্গে থাকা বন্ধু সিয়াম এসব তথ্য জানান।
সিয়াম বলেন, ১৮জুলাই অনেক জায়গায় ঝামেলা হয়। অন্যান্যদের মত বিকেলে আমরা মেসে ফিরে যাই।শুনেছি বিকেলে ছাত্রলীগ মহড়া দেয় এবং সন্ধ্যার আগ থেকে পুলিশের সঙ্গে আবারও সংঘর্ষ হলে আমরা একসঙ্গে অনেকে মেসে থাকা অনিরাপদ মনে করি। তখন আমরা মেসের পেছন দিয়ে বাগবাড়ীর দিকে যাচ্ছিলাম। ওখানে পারাপারের জন্য ভেলা রাখা আছে। এক ব্যক্তি টাকার বিনিময়ে বেলা দিয়ে পার করিয়ে দেন। ভেলায় করে খাল পার হওয়ার সময় খালের মাঝে গেলে ভেলা ভারসাম্য হারালে আমরা পড়ে যাই। সবাই সাঁতরে তীরে উঠলেও সাঁতার না জানায় রুদ্র ডুবে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাকে পাই। পরে হাসপাতালে নিলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।’
রুদ্রের পরিবারের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হয়। সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে তার বোন সুস্মিতা সেন বলেন, ‘অনেক সাংবাদিক এলো; অনেক পত্রিকায় খবর এলো, কিন্তু রুদ্র তো আর আসবে না। ছোট থেকেই খুব শান্ত প্রকৃতির ছিল। কখনও মিছিল-মিটিংয়ে যায়নি। কিন্তু কোটা আন্দোলনে তো সবাই যাচ্ছে। সেও মনে করেছে, তার যাওয়া উচিত। তার পর এই তো রুদ্র গেল…।’
এদিকে রুদ্র সেনের পরিবারকে প্রশাসন থেকে আর্থিক দেওয়ার জন্য বিবৃতি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ’। গত ০৩রা আগস্ট দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. তুলসী কুমার দাস এবং যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মনিম জোয়ারদার ও অধ্যাপক মোহাম্মদ মহিবুল আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।
এছাড়া শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) প্রধান ফটককে ‘শহীদ রুদ্র তোরণ’ নামকরণ করলেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।