কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুবি শাখার সাথে জড়িত ফরহাদ মিয়া কাউসারকে মারার ঘটনা সামনে আসার পর একের পর এক ছাত্রলীগ কর্তৃক আন্দোলনকারীদের মারধরের ঘটনা সামনে আসছে।
বুধবার (১৭ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ১৪ তম ব্যাচের আরাফ ভূঁইয়া ও ১৫ তম ব্যাচের এহসানুল হক তাদের ফেবসুকে স্ট্যাটাস দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছে।
এ বিষয়ে আরাফ ভূঁইয়া তার ফেসবুকে উল্লেখ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, প্রকৌশল অনুষদ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পারভেজ, শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রবিন দাস, ছাত্রলীগ কর্মী রাকিব হোসেন তাকে মারধর করেছে।
এহসানুল হক তার স্ট্যাটাসে বলেন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সাংগঠনিক সম্পাদক বিশ্বজিৎ, ছাত্রলীগ কর্মী রাকিব হোসেন, প্রকৌশল অনুষদ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পারভেজ, শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রবিন দাস তাকে মারধর করেছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী অর্থনীতি বিভাগের ১৬ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী নাজমুস সাকিব বলেন, ‘আমরা তিনজন পাকিস্তানি মসজিদের পাশের দোকানে বসে ছিলাম। বাইকে করে মামুন ও পারভেজ আসলে আরাফ ভাই পারভেজকে ভালোমন্দ জিজ্ঞেস করে। তারপর পারভেজ বলে তোর ক্যাম্পাসে কি এসময়ে। তারপর এক পর্যায়ে রাকিব এসে আরাফ ভাইয়ের কলার ধরে তুলে ফেলে। তারপর তাকে টেনে হিঁচড়ে এটিএমবুথের দিকে তারা মারতে মারতে নিয়ে যায়।’
তিনি আরোও বলেন, ‘আমি তাদের লক্ষ্য করে পেছনে পেছনে ছুটে যাই। তারপর গিয়ে দেখি ওখানে তারা মারতে থাকে। রাকিব লাঠি দিয়ে পেটায় এবং মামুম, পারভেজ ও রবিন কিল-ঘুষি মারতে থাকে। এভাবে কিছুক্ষণ মারার পর মানুষ আসলে তারা তাকে ছেড়ে দেয় এবং আমাদের হুমকি দেয় যেন ক্যাম্পাসে ক্লাসের বাইরে না দেখা যায়।’
মারধরের শিকার হওয়া ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী এহসান বলেন, ‘আমি কোটা বিরোধী আন্দোলনে ছিলাম, কেন এই প্রশ্ন করেই তারা আমাকে মারধর শুরু করেন এবং আমার ফ্যামিলি ডিটেইলস পর্যন্ত নেন। এ বিষয়ে আমি তাদের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করছি।’
এ ব্যাপারে অভিযুক্তদের ফোন দেয়া হলে কেউ ফোন ধরেননি। তবে ফোন ধরেছে ছাত্রলীগ কর্মী রাকিব হোসেন। তিনি বলেন, ' আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিতই ছিলাম না। মারধরের প্রশ্নই আসে না। আমি বাকিটা ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে ক্লিয়ার করবো’