দুর্নীতির দায়ে নাজমুল হুদার দণ্ড , আত্মসমর্পণের নির্দেশ হাইকোর্টের
- আপডেট সময় : ১২:২২:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ নভেম্বর ২০১৮ ২০৩ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক; দুর্নীতির দায়ে সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদাকে বিচারিক আদালতের দেওয়া সাত বছরের কারাদণ্ডের সাজা কমিয়ে চার বছরের কারাদণ্ড দিয়ে রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট।
রোববার (১৮ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে ৬৭ পৃষ্ঠার রায়টি প্রকাশ করা হয়।
রায়ে বলা হয়, দুর্নীতি একটি অভিশাপ। সরকারের উচ্চপর্যায়ে থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুর্নীতি করা হলে তা জাতীয় স্বার্থ, অর্থনীতি ও দেশের ভাবমূর্তির জন্য বড় ধরনের ক্ষতির কারণ হতে পারে।
রায়ে আরও বলা হয়, আপিল খারিজ করা হলো। বাকি সাজা ভোগ করতে বিচারিক আদালতের রায়ের কপি গ্রহণের ৪৫ দিনের মধ্যে আপিলকারী (নাজমুল হুদা) বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করবেন। এতে ব্যর্থ হলে বিচারিক আদালত তার গ্রেপ্তার নিশ্চিত করতে যথাযথ পদক্ষেপ নেবে।
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, রায় প্রকাশিত হয়েছে। আমরা কাল (সোমবার-১৯ নভেম্বর) সত্যায়িত অনুলিপি নেবো। আর দণ্ড সাসপেণ্ড না হলে কিভাবে কিভাবে নির্বাচনে যাবেন।
এর আগে, গত বছরের ৮ নভেম্বর বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ নাজমুদল হুদা দম্পতির আপিল খারিজ করে রায় ঘোষণা করেন।
একইরকম মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত তার স্ত্রী সিগমা হুদার কারাগারে থাকাকালীন সময়কে সাজা হিসেবে গণ্য করেছেন। ২০০৭ সালের ২৭ আগস্ট ঢাকার বিশেষ জজ আদালত মামলাটির রায়ে নাজমুল হুদাকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও আড়াই কোটি টাকা জরিমানা করেন। তার স্ত্রী সিগমা হুদাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছিল, সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘খবরের অন্তরালে’র জন্য মীর জাহের হোসেনের কাছ থেকে ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেন নাজমুল হুদা ও তার স্ত্রী সিগমা হুদা।
এ অভিযোগে ২০০৭ সালের ২১ মার্চ ধানমন্ডি থানায় মামলাটি করে দুদক। এই মামলায় ২০০৭ সালের ২৭ আগস্ট বিচারিক আদালতের রায়ে নাজমুল হুদার সাত বছর কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড এবং তার স্ত্রী সিগমা হুদাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।