বিশেষ প্রতিবেদক: গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতার একের পর এক অনৈতিক এবং স্বৈরাচারী আচরণ করে যাচ্ছেন একক সিদ্ধান্তে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাত্তা নাই তার কাছে। তিনি গণপূর্ত অধিদপ্তর কে খানকায় পরিণত করেছেন, তার চতুর্পাশে নিজস্ব ব্যক্তিদের নিয়ে মানব দেয়াল তৈরি করে রেখেছেন। যার প্রমাণ পাওয়া যায় প্রধান প্রকৌশলীর দপ্তরে প্রয়োজনীয় কাজে গেলে।
প্রধান প্রকৌশলীর কাছে একাধিক কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের অনৈতিক কাজের লিখিত অভিযোগ দিয়েও বিচার পায়নি সাধারণ কর্মচারী কর্মকর্তারা। তথ্যে উঠে আসে, গণপূর্ত অধিদপ্তরের অধীনস্থ ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতি দীর্ঘদিন যাবত বিধিসম্মতভাবে তাদের পদায়ন এবং পদোন্নতি নিয়ে কতৃপক্ষের নিকট জোর দাবী জানিয়ে আসছিলেন। কিন্তু অদ্যবধি তাদের কোনো দাবি কর্তৃপক্ষ পূরণ করেননি।
এ বিষয়ে একাধিকবার প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতার তাদেরকে আশ্বস্ত করলেও মূলত তা হচ্ছে ছলনা এবং প্রতারণা। গত ১৫ মে ২০২৪ ইং তারিখে ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতির সকল নেতৃবৃন্দ ও সদস্যগণ দাবী আদায়ের আন্দোলনের ডাক দেন। সেই দাবিকে ধামাচাপা দিতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার সমিতির আন্দোলনরত সকলের উপর দিয়ে গাড়ি চালাতে বলেন শামীম আখতার। তার নির্দেশ মোতাবেক আন্দোলনরত প্রকৌশলীদের উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে যায় তার ড্রাইভার। এতে গাড়ি চাকায় পৃষ্ট হয় ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আমিনুল ইসলাম।
ভাগ্যক্রমে তিনি বেচে যান, কিন্ত এতে তার পা ভেঙে যায়, পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে তিনি নিজ বাসায় অবস্থান করছেন। ডিপ্লোমা সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক সহকারী প্রকৌশলী মোঃ ইউনুছ বলেন, আমরা একাধিকবার বিভিন্নভাবে প্রধান প্রকৌশলী স্যারকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি, কিন্তু উনি আমাদের কোন কথা রাখেন নি, উল্টো বলেন তোমাদের কথায় প্রশাসন চলবে? আমি যেভাবে চাইবো সেই ভাবেই প্রশাসন চলবে। একথা বলেই আমাদের সকল সদস্য এবং নেতৃবৃন্দের উপর দিয়েই তিনি গাড়ি চালিয়ে অধিদপ্তর থেকে বের হয়ে গেলেন।
প্রধান প্রকৌশলীর গাড়ির চাপায় আহত হন ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম। এদিকে উক্ত বিষয় নিয়ে ডিপ্লোমা সমিতির সকল সদস্যগণ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত গণপূর্ত ভবন ঘেরাও করে আন্দোলন করেন। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তাদের দাবি দাওয়ার কোন সুরাহা হয়নি বলে জানা যায়। তথ্যে আরো উঠে আসে, দীর্ঘদিন যাবৎ দৈনিক ভিত্তিক এবং ওয়াকচার্জ কর্মচারীরা তাদের বিধি সম্মত দাবি উপস্থাপন করে আসছিল প্রধান প্রকৌশলী কাছে।
আজ পর্যন্ত তাদের সেই প্রাণের দাবি আলোর মুখ দেখিনি। সেই দৈনিক ভিত্তিক ও ওয়ার্ক চার্জ কর্মচারীরা দীর্ঘদিন আন্দোলন করেছে, প্রধান প্রকৌশলীর অফিস ঘেরাও করেছে, দাবি আদায় না হওয়ায় আজ তারা মুখ থুবড়ে পড়ে আছে। এসব বিষয় জানার জন্য প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতারকে একাধিকবার ফোন দিয়েও পাওয়া যায়নি।