ঢাকা ০৫:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বিএনপি নেতা মাহিদুর রহমান নেতৃত্বের বিস্ময় Logo স্বৈরাচারের দোসর প্রধান বিচারপতির ধর্ম ছেলে পরিচয়ে মোজাম্মেলের অধর্ম! Logo রাজধানীতে মার্কেট দখল করতে গিয়ে বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আটক Logo স্কুলের ভেতরে নিয়মিত চলে তাশ ও জুয়া! Logo চাঁদা চাওয়ায় দাকোপে ৫ আওয়ামীলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা Logo ভোলা জেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের সভাপতি আল আমিন সম্পাদক শামসউদ্দিন Logo বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির এর উদ্যোগে দুমকিতে ক্যারিয়ার সামিট অনুষ্ঠিত Logo সওজ তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে প্রচারিত প্রকাশিত মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ Logo বিপ্লবী গান, আবৃত্তি এবং কাওয়ালী গানে মেতেছে আশা বিশ্ববিদ্যালয় Logo ছত্রিশ টাকার নকলনবীশ প্রভাবশালী কোটিপতি!




মনোনয়ন না পেয়ে পার্টি অফিসের ৩০০ চেয়ার নিয়ে নিলো নেতা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৪৪:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ মার্চ ২০১৯ ১৯৫ বার পড়া হয়েছে

ভারতে লোকসভা নির্বাচন আসন্ন। নির্বাচনে প্রার্থী হতে মরিয়া রাজনীতিতে সক্রিয় অনেকেই। সেজন্য কংগ্রেস ও বিজেপিতে ধরনা দিচ্ছেন বহু নেতাকর্মী। বিফল হয়ে ভেঙে পড়েছেন কেউ কেউ। ক্ষোভে দল ছাড়ারও ঘোষণা এসেছে কারও পক্ষ থেকে। তবে মনোনয়ন না পেয়ে শুধু দল ছাড়ারই ঘোষণা দেননি একইসঙ্গে পার্টি অফিস থেকে ৩০০ চেয়ারও তুলে নিয়েছেন এক কংগ্রেস নেতা।

মঙ্গলবার মহারাষ্ট্রের অওরঙ্গাবাদ জেলার শাহগঞ্জ এলাকায় কংগ্রেসের পার্টি অফিসে এমন কাণ্ডটি করেন আব্দুল সাত্তার নামের এক কংগ্রেস নেতা।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারে প্রকাশ, মহারাষ্ট্রের আওরঙ্গাবাদ জেলার সিলোদের বিধায়ক আব্দুল সাত্তার।

আওরঙ্গাবাদ থেকে এবারও নির্বাচনে প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তার ওই আসনে রাজ্যের বিধান পরিষদের সদস্য সুভাষ ঝাম্বড়কে মনোনয়ন দেয় কেন্দ্রীয় কংগ্রেস। দলের এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্দ হয়ে দল ছাড়ার ঘোষণা দেন তিনি। তবুও দমেনি তার ক্ষোভ।

মঙ্গলবার নিজের সমর্থকদের নিয়ে হাজির হন শাহগঞ্জ এলাকায় স্থানীয় কংগ্রেস পার্টি অফিসে। সেখান থেকে ৩০০টি চেয়ার তুলে নিয়ে যান।

তিনি কেন এমন করেছেন সে বিষয়ে জানা গেছে, ওই দিনে শাহগঞ্জের ওই পার্টি অফিসে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের শরিক দলগুলো বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। সে বৈঠক বানচাল করতেই এমন কাণ্ড করেন মনোনয়ন না পাওয়া আব্দুল সাত্তার।

এ বিষয়ে সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আব্দুল সাত্তার বলেন, ‘দলীয় বৈঠকের জন্য চেয়ারগুলো কিনেছিলাম আমি। আমার কেনা চেয়ারে অন্যন্যা বৈঠক করবে এটা মেনে নিতে পারিনি। তাই আমার জিনিসগুলো ফিরিয়ে নিয়েছি। ’

এ ঘটনায় কংগ্রেস প্রার্থী সুভাষ ঝাম্বড় কোনো বিরূপ মন্তব্য না করেবলেন, ‘প্রয়োজন ছিল বলেই চেয়ার তুলে নিয়ে গিয়েছেন উনি। আর দল থেকে তার ইস্তফা গৃহীত হয়নি বলেই জানি।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




মনোনয়ন না পেয়ে পার্টি অফিসের ৩০০ চেয়ার নিয়ে নিলো নেতা

আপডেট সময় : ০৪:৪৪:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ মার্চ ২০১৯

ভারতে লোকসভা নির্বাচন আসন্ন। নির্বাচনে প্রার্থী হতে মরিয়া রাজনীতিতে সক্রিয় অনেকেই। সেজন্য কংগ্রেস ও বিজেপিতে ধরনা দিচ্ছেন বহু নেতাকর্মী। বিফল হয়ে ভেঙে পড়েছেন কেউ কেউ। ক্ষোভে দল ছাড়ারও ঘোষণা এসেছে কারও পক্ষ থেকে। তবে মনোনয়ন না পেয়ে শুধু দল ছাড়ারই ঘোষণা দেননি একইসঙ্গে পার্টি অফিস থেকে ৩০০ চেয়ারও তুলে নিয়েছেন এক কংগ্রেস নেতা।

মঙ্গলবার মহারাষ্ট্রের অওরঙ্গাবাদ জেলার শাহগঞ্জ এলাকায় কংগ্রেসের পার্টি অফিসে এমন কাণ্ডটি করেন আব্দুল সাত্তার নামের এক কংগ্রেস নেতা।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারে প্রকাশ, মহারাষ্ট্রের আওরঙ্গাবাদ জেলার সিলোদের বিধায়ক আব্দুল সাত্তার।

আওরঙ্গাবাদ থেকে এবারও নির্বাচনে প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তার ওই আসনে রাজ্যের বিধান পরিষদের সদস্য সুভাষ ঝাম্বড়কে মনোনয়ন দেয় কেন্দ্রীয় কংগ্রেস। দলের এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্দ হয়ে দল ছাড়ার ঘোষণা দেন তিনি। তবুও দমেনি তার ক্ষোভ।

মঙ্গলবার নিজের সমর্থকদের নিয়ে হাজির হন শাহগঞ্জ এলাকায় স্থানীয় কংগ্রেস পার্টি অফিসে। সেখান থেকে ৩০০টি চেয়ার তুলে নিয়ে যান।

তিনি কেন এমন করেছেন সে বিষয়ে জানা গেছে, ওই দিনে শাহগঞ্জের ওই পার্টি অফিসে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের শরিক দলগুলো বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। সে বৈঠক বানচাল করতেই এমন কাণ্ড করেন মনোনয়ন না পাওয়া আব্দুল সাত্তার।

এ বিষয়ে সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আব্দুল সাত্তার বলেন, ‘দলীয় বৈঠকের জন্য চেয়ারগুলো কিনেছিলাম আমি। আমার কেনা চেয়ারে অন্যন্যা বৈঠক করবে এটা মেনে নিতে পারিনি। তাই আমার জিনিসগুলো ফিরিয়ে নিয়েছি। ’

এ ঘটনায় কংগ্রেস প্রার্থী সুভাষ ঝাম্বড় কোনো বিরূপ মন্তব্য না করেবলেন, ‘প্রয়োজন ছিল বলেই চেয়ার তুলে নিয়ে গিয়েছেন উনি। আর দল থেকে তার ইস্তফা গৃহীত হয়নি বলেই জানি।’