ঢাকা ১১:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo শাবিপ্রবির শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য শিক্ষা ও সংস্কৃতি সংঘের সভাপতি রনি, সম্পাদক দীপ্ত   Logo শাবিপ্রবির শাহপরান ও মুজতবা আলী হলে ৬ সহকারী প্রভোস্ট নিয়োগ Logo কুবির শেখ হাসিনা হলের নতুন প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মেহের নিগার Logo শাবিপ্রবিতে সুষ্ঠভাবে গুচ্ছভুক্ত ‘খ’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন Logo গুচ্ছ খ-ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষা উপকরণ ও সুপেয় পানি দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের সহযোগিতা Logo মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি হবে সত্যিকারের গ্রীন ক্যাম্পাসঃ ভিসি মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo প্রতারণাচক্র থেকে সাবধান থাকতে আহবান জানিয়েছেন শাবি উপাচার্য Logo শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্বোধনী কাজে সর্বদা সাপোর্ট থাকবে; শাবি উপাচার্য Logo জবি শিক্ষককে হেনস্থা, গুরু পাপে লঘু দণ্ড Logo কুবিতে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, মারধরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ




নিরাপত্তাহীনতায় কুবি শিক্ষকের থানায় জিডি

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৪:৪২:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ৬৮ বার পড়া হয়েছে

প্রায় সাত ঘন্টা উপাচার্য দপ্তরে অবস্থানের পর নিরাপত্তাহীনতার কথা উল্লেখ করে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সদর দক্ষিণ থানায় সাধারণ ডায়েরিটি করেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের।

শিক্ষক সমিতির জিডিতে বলা হয়েছে, উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার পর ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ জাকির হোসেন ও সাবেক শিক্ষার্থী (ছাত্রলীগ নেতা) ইমরান হোসাইনের নির্দেশে জোর করে উপাচার্যের দপ্তরে প্রবেশ করেন বিবাদীরা। এরপর তাঁরা মারমুখী আচরণ করেন। তখন ডেপুটি রেজিস্ট্রার জাকির হোসেন শিক্ষকের উদ্দেশে বলতে থাকেন, ‘থাপ্পড় দিয়ে দাঁত ফেলে দিব।’ তখন শিক্ষকেরা প্রক্টরিয়াল বডির সাহায্য চান। কিন্তু প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা এ ক্ষেত্রে কোনো ধরনের সহযোগিতা করেননি৷ উল্টো বিবাদীরা সাত-আটবার মারমুখী আচরণ করেন। এতে শিক্ষকেরা নিরাপত্তাহীন অবস্থায় আছেন।

সাধারণ ডায়েরিতে মোট নয় জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরো ২০/৩০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। নাম উল্লেখিত ব্যক্তিরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোঃ জাকির হোসেন, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক মোঃ দেলোয়ার হোসেন, বাংলা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী মোঃ ইমরান হোসাইন, লোকপ্রশাসন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী অনুপম দাস বাধন, মার্কেটিং বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী রকিবুল হাসান রকি, নৃবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী আমিনুর রহমান, ফার্মেসি বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ইমাম হোসাইন মাসুম, বাংলা বিভাগের বর্তমান শিক্ষার্থী রাকিব হোসেন, রসায়ন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম।

এর আগে বিকাল চারটায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে আসে নবনির্বাচিত শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ। সে সময় উপাচার্য দপ্তরে বাকবিতণ্ডার আওয়াজ শুনে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ও কর্মকর্তারা উপাচার্য দপ্তরে জড়ো হয়। তখন শিক্ষকদের সাথে কয়েক দফায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ও কর্মকর্তাদের কয়েক দফায় বাকবিতন্ডা হয়। সার্বিক বিষয়ে উপাচার্য শিক্ষক প্রতিনিধিদের সাথে দুই ঘন্টা আলোচনা শেষে বেরিয়ে যান। তবে শিক্ষকরা রাত ১০ টা পর্যন্ত উপাচার্য দপ্তরে অবস্থান করে সদর দক্ষিণ থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে যান।

এই বিষয়ে অধ্যাপক ড. আবু তাহের বলেন, আজ আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সাথে দেখা করতে গেলে আমাদের উপর কিছু সন্ত্রাসী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা দ্বারা হামলার চেষ্টা করা হয়। আমরা সে সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা চাই এবং তারা সেটা দিতে ব্যর্থ হয়। যার ফলে আমরা প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করি কিন্তু উপাচার্য আমাদের তার দপ্তরে রেখেই বাসভবনে চলে যান। যার ফলে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ভরসা হারিয়ে রাত ১ টায় রাষ্ট্রের প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা নিশ্চিতে সাধারণ ডায়েরি করেছি।

জিডির তথ্য নিশ্চিত করে সদর দক্ষিণ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া বলেন, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




নিরাপত্তাহীনতায় কুবি শিক্ষকের থানায় জিডি

আপডেট সময় : ০৪:৪২:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

প্রায় সাত ঘন্টা উপাচার্য দপ্তরে অবস্থানের পর নিরাপত্তাহীনতার কথা উল্লেখ করে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সদর দক্ষিণ থানায় সাধারণ ডায়েরিটি করেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের।

শিক্ষক সমিতির জিডিতে বলা হয়েছে, উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার পর ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ জাকির হোসেন ও সাবেক শিক্ষার্থী (ছাত্রলীগ নেতা) ইমরান হোসাইনের নির্দেশে জোর করে উপাচার্যের দপ্তরে প্রবেশ করেন বিবাদীরা। এরপর তাঁরা মারমুখী আচরণ করেন। তখন ডেপুটি রেজিস্ট্রার জাকির হোসেন শিক্ষকের উদ্দেশে বলতে থাকেন, ‘থাপ্পড় দিয়ে দাঁত ফেলে দিব।’ তখন শিক্ষকেরা প্রক্টরিয়াল বডির সাহায্য চান। কিন্তু প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা এ ক্ষেত্রে কোনো ধরনের সহযোগিতা করেননি৷ উল্টো বিবাদীরা সাত-আটবার মারমুখী আচরণ করেন। এতে শিক্ষকেরা নিরাপত্তাহীন অবস্থায় আছেন।

সাধারণ ডায়েরিতে মোট নয় জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরো ২০/৩০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। নাম উল্লেখিত ব্যক্তিরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোঃ জাকির হোসেন, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক মোঃ দেলোয়ার হোসেন, বাংলা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী মোঃ ইমরান হোসাইন, লোকপ্রশাসন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী অনুপম দাস বাধন, মার্কেটিং বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী রকিবুল হাসান রকি, নৃবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী আমিনুর রহমান, ফার্মেসি বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ইমাম হোসাইন মাসুম, বাংলা বিভাগের বর্তমান শিক্ষার্থী রাকিব হোসেন, রসায়ন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম।

এর আগে বিকাল চারটায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে আসে নবনির্বাচিত শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ। সে সময় উপাচার্য দপ্তরে বাকবিতণ্ডার আওয়াজ শুনে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ও কর্মকর্তারা উপাচার্য দপ্তরে জড়ো হয়। তখন শিক্ষকদের সাথে কয়েক দফায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ও কর্মকর্তাদের কয়েক দফায় বাকবিতন্ডা হয়। সার্বিক বিষয়ে উপাচার্য শিক্ষক প্রতিনিধিদের সাথে দুই ঘন্টা আলোচনা শেষে বেরিয়ে যান। তবে শিক্ষকরা রাত ১০ টা পর্যন্ত উপাচার্য দপ্তরে অবস্থান করে সদর দক্ষিণ থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে যান।

এই বিষয়ে অধ্যাপক ড. আবু তাহের বলেন, আজ আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সাথে দেখা করতে গেলে আমাদের উপর কিছু সন্ত্রাসী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা দ্বারা হামলার চেষ্টা করা হয়। আমরা সে সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা চাই এবং তারা সেটা দিতে ব্যর্থ হয়। যার ফলে আমরা প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করি কিন্তু উপাচার্য আমাদের তার দপ্তরে রেখেই বাসভবনে চলে যান। যার ফলে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ভরসা হারিয়ে রাত ১ টায় রাষ্ট্রের প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা নিশ্চিতে সাধারণ ডায়েরি করেছি।

জিডির তথ্য নিশ্চিত করে সদর দক্ষিণ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া বলেন, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।