ঢাকা ০৩:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo দুদকের মামলার মাথায় নিয়েও বহাল কুমেক হাসপাতালের আবুল Logo সংস্কারের বিপরীতে রহস্যজনক বদলী: এক চিঠিতে ৫২ রদবদল ফায়ার সার্ভিসে! Logo গণপূর্তে ফ্যাসিস্ট সরকারের আস্থাভাজন কর্মকর্তাদের দুর্নীতির সিন্ডিকেট সক্রিয়  Logo বাংলাদেশ সাইন ম্যাটেরিয়ালস এন্ড মেশিনারিজ ইমপোর্টার্স এসোসিয়েশন’ সভাপতি খালেদ সাধারণ সম্পাদক মানিক  Logo চৌদ্দগ্রামে এলজি বন্ধুক ও দেশীয় অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটক: টর্চার সেলের সন্ধান Logo সাফা মাধ্যমিক বিদ্যালয় অ্যাডহক কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হলেন এইচ এম আল-আমিন Logo সওজ ও গণপূর্তের ‘মাফিয়া’ আওয়ামী ঘনিষ্ঠ দোসর মুস্তাফিজ ধরাছোঁয়ার বাইরে Logo ২০০ কোটি টাকা নয়ছয় করেও বহাল জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল কার্যালয় জিম্মি শহিদুল! Logo আওয়ামী লীগের পক্ষে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলায় এনআরবি ব্যাংক’ ২ পরিচালকের অর্থ সহায়তা Logo ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর ফায়ারের উপ-পরিচালক দীনোমনির বিরূদ্ধে দুর্নীতি অভিযোগ




প্রশাসনের অব্যবস্থাপনার কারণে কুবি হল প্রভোস্টের পদত্যাগ

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৭:০২:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ২৬৭ বার পড়া হয়েছে
প্রশাসনের অব্যবস্থাপনার কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তোফায়েল হোসেন মজুমদার।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মো. আমিরুল হক চৌধুরী বরাবর এই পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পদত্যাগ পত্রে তিনি উল্লেখ করেন, ব্যক্তিগত কারণে এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অব্যবস্থাপনার কারণে আমার পক্ষে হল প্রভোস্টের দায়িত্ব পালন করা সম্ভব নয়।
অব্যবস্থাপনার বিষয়টি জানতে চাইলে ড. মোহাম্মদ তোফায়েল হোসেন মজুমদার বলেন, ‘আমাদের অনেক শিক্ষকদেরই প্রমোশন আটকে আছে প্রায় দেড়বছর ধরে। এপ্লিকেশন দেয়ার পরেও উপাচার্য স্যার কোনো নিয়োগ বোর্ড ডাকছেন না। বারবার বলার পরও কোনো কাজ হচ্ছেনা। আবার অনেকের আপগ্রেডেশন রুলের শর্ত পূরণ করার পরেও তাদের প্রমোশন দেয়া হচ্ছে না। দেখা যায় এক বোর্ডে কারো প্রমোশন হচ্ছে আবার কারো হচ্ছে না এতে বিভাগগুলোতে মাঝে মাঝে জুনিয়র শিক্ষকরা পদের দিক থেকে সিনিয়রদের আগে চলে গেছেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘অনেকের প্রমোশনের পরে অযৌক্তিক শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে৷ আমার ক্ষেত্রে হয়ে গেছে এক বছরে তিনটা গবেষণা করতে হবে এর মধ্যে দুইটা গবেষণা কিউ-ওয়ান মানের জার্নালে প্রকাশিত হতে হবে। এক বছরে দুইটা কিউ-ওয়ানে প্রকাশনা আনতে হলেতো আমাকে ক্লাস-পরীক্ষাসহ হলের দায়িত্বও বাদ দিয়ে দিতে হবে।’
এই বিষয়ে কুবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, ‘প্রকাশনার জন্যই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের র‍্যাংকিং বাড়ছে। মানুষ জানতে পারছে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন ভালো মানের গবেষণা হচ্ছে। এখন কয়েকজন এসে বলে এই প্রকাশনাটা তাদের জন্য কষ্টকর। শিক্ষকদের প্রকাশনার দায়িত্ব দেওয়া হয় বোর্ড থেকে৷ সেখানে তো আমার কোনো হাত নেই।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




প্রশাসনের অব্যবস্থাপনার কারণে কুবি হল প্রভোস্টের পদত্যাগ

আপডেট সময় : ০৭:০২:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
প্রশাসনের অব্যবস্থাপনার কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তোফায়েল হোসেন মজুমদার।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মো. আমিরুল হক চৌধুরী বরাবর এই পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পদত্যাগ পত্রে তিনি উল্লেখ করেন, ব্যক্তিগত কারণে এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অব্যবস্থাপনার কারণে আমার পক্ষে হল প্রভোস্টের দায়িত্ব পালন করা সম্ভব নয়।
অব্যবস্থাপনার বিষয়টি জানতে চাইলে ড. মোহাম্মদ তোফায়েল হোসেন মজুমদার বলেন, ‘আমাদের অনেক শিক্ষকদেরই প্রমোশন আটকে আছে প্রায় দেড়বছর ধরে। এপ্লিকেশন দেয়ার পরেও উপাচার্য স্যার কোনো নিয়োগ বোর্ড ডাকছেন না। বারবার বলার পরও কোনো কাজ হচ্ছেনা। আবার অনেকের আপগ্রেডেশন রুলের শর্ত পূরণ করার পরেও তাদের প্রমোশন দেয়া হচ্ছে না। দেখা যায় এক বোর্ডে কারো প্রমোশন হচ্ছে আবার কারো হচ্ছে না এতে বিভাগগুলোতে মাঝে মাঝে জুনিয়র শিক্ষকরা পদের দিক থেকে সিনিয়রদের আগে চলে গেছেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘অনেকের প্রমোশনের পরে অযৌক্তিক শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে৷ আমার ক্ষেত্রে হয়ে গেছে এক বছরে তিনটা গবেষণা করতে হবে এর মধ্যে দুইটা গবেষণা কিউ-ওয়ান মানের জার্নালে প্রকাশিত হতে হবে। এক বছরে দুইটা কিউ-ওয়ানে প্রকাশনা আনতে হলেতো আমাকে ক্লাস-পরীক্ষাসহ হলের দায়িত্বও বাদ দিয়ে দিতে হবে।’
এই বিষয়ে কুবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, ‘প্রকাশনার জন্যই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের র‍্যাংকিং বাড়ছে। মানুষ জানতে পারছে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন ভালো মানের গবেষণা হচ্ছে। এখন কয়েকজন এসে বলে এই প্রকাশনাটা তাদের জন্য কষ্টকর। শিক্ষকদের প্রকাশনার দায়িত্ব দেওয়া হয় বোর্ড থেকে৷ সেখানে তো আমার কোনো হাত নেই।’