স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা হত্যার আসামি আ’লীগ সভাপতি
- আপডেট সময় : ১০:১৪:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ ২০১৯ ১১৫ বার পড়া হয়েছে
মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি; পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় উপজেলার হলতা গুলিসাখালী ইউনিয়নের গুলিসাখালী গ্রামে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা মো. জনি তালুকদার হত্যার ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
নিহত জনির চাচা হলতা গুলিসাখালী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো. স্বপন তালুকদার বাদী হয়ে সোমবার রাতে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র রফিউদ্দিন আহমেদ ফেরদৌস, ইউপি চেয়রম্যন রফিকুল ইসলাম রিপন জমাদ্দার ও নাছির উদ্দিন হাওলাদারসহ ৩৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরও ২০-৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র রফিউদ্দিন আহমেদ ফেরদৌস বলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণায় বাধাগ্রস্থ ও রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করার জন্য আমাকে ও আমাদের নেতাকর্মীদের এ মামলায় আসামি করা হয়েছে।
মঠবাড়িয়া থানার ওসি মো. শওকত আনোয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান এ মামলায় ৩৫ জনের নাম উল্লেখ ও ২০-৩০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় এজাহার নামীয় আসামি জাহাঙ্গীর তালুকদার ও সন্দেহভাজন হানিফ হাওলাদার নামে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রিটানিং অফিসার ও পিরোজপুর জেলা প্রশাসক আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, মঠবাড়িয়ায় আইন শৃখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৫ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
নিহত জনির চাচা স্বপন তালুকদার বলেন, শনিবার রাতে নৌকা মার্কার প্রার্থী হোসাইন মোশারেফ সাকু ও ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজুল আলম ঝনোসহ ২০ নেতা কর্মীকে কুপিয়ে আহত করে। এ ঘটনার থানায় মামলা হলে জনি ওই মামলার এজাহার নামীয় আসামি। এর জের ধরে নৌকা সমর্থকরা সোমবার সকালে স্বতন্ত্র প্রার্থী রিয়াজ উদ্দিনের কর্মী জনিকে কুপিয়ে হত্যা করে।
তিনি জানান, জনি হলতা গুলিসাখালী ইউনিয়ন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ছিলেন। তাকে সোমবার সকালে একটি মাঠের মধ্যে একা পেয়ে একদল দুর্বৃত্ত ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে মাঠের মধ্যে ফেলে রেখে যায়। চিকিৎসার জন্য বরিশাল নেয়ার পথে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
নিহত জনি তালুকদার ওই গ্রামের মৃত হাতেম আলী তালুকদারের ছেলে।
এদিকে মঙ্গলবার বরিশাল শেবাচিম হাসপাতাল স্বাধীনতা দিবসের বন্ধ থাকায় লাশের ময়নাতদন্ত না হওয়ায় নিহত জনির লাশ দাফন সম্ভব হয়নি।