ঢাকা ১২:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo চাকুরীচ্যুত প্রকৌশলী নাসির বহাল তবিয়তে পায়রা বন্দরে: গড়েছে অবৈধ সম্পদের পাহাড়!  Logo যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সকল দলকে নিয়ে বিএনপির যৌথসভা Logo ১০ হাজার নেতাকর্মী নিয়ে বরিশাল-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী স্বপনের মনোনয়নপত্র দাখিল Logo রাজপথ বিএনপির দখলে না থাকলেও বিটিভি  বিএনপি জামায়াতের দখলে! Logo দেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় বেস্ট হোল্ডিং Logo অগ্রণী ব্যাংকের ডিজিএম সৈয়দ সালমা উসমানের বেপরোয়া দুর্নীতি! Logo বরিশালের বাকেরগঞ্জে পল্লী চিকিৎসকের ঘরে লুটপাট Logo ফায়ার সার্ভিসের অপারেশন এখন করাপশনের ত্রিমুখী জুটি Logo মনোনয়নপ্রত্যাশী ৩৩৬২ জনের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন শেখ হাসিনা Logo থিয়েটার কুবি’র নেতৃত্বে সুইটি-হান্নান




ফায়ার সার্ভিসের নারীবাজ ডিডিকে বাঁচাতে তৎপর কোন মহল

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:১৭:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৩ ২৩৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: ফায়ার সার্ভিসের দুর্নীতি ও নারি কেলেঙ্কারিতে জড়িত আলোচিত উপ-পরিচালক জসীমউদ্দীনের খুটির জোর কোথায়? সম্প্রতি অসংখ্য পত্রপত্রিকায় তার বিরুদ্ধে পাহাড়সম অভিযোগের বিষয়ে সংবাদ প্রচার হওয়ার পরেও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের নীরব ভূমিকায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ফায়ার সার্ভিসে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অনেকেই। তাদের প্রশ্ন, তবে কি নারী সহকর্মীকে যৌন হয়রানি ও  দুর্নীতিবাজ ব্যক্তিদের আশ্রয় প্রশ্রয়ের নিরাপদ জায়গায় হিসেবে পরিচিত হিসেবে ফায়ার সার্ভিস?

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স উপ-পরিচালক (প্রশাসন অর্থ) জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে একসময়কার তারই অধীনস্থ অফিস সহায়ক শামসুন্নাহার সুইটির সাথে নির্লজ্জ যৌন নির্যাতনের অভিযোগের প্রাথমিক ভাবে সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তর ডিডি জসিমের বিরুদ্ধে উপ-পরিচালক দীনমনি শর্মাকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে নামমাত্র তদন্ত কমিটি গঠন পর্যন্তই যেন সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে গেছে। মূলত জসীমউদ্দীনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে অন্যতম বাধা ডিরেক্টর ওহিদুল ইসলাম। তিনি বিষয়টি গামাচাপা দেওয়ার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

ঘটনার সুত্রপাত: উপ সহকারী পরিচালকের দপ্তর চট্টগ্রাম। ডিডি জসিম চট্টগ্রামে ডিএডি হিসেবে থাকাকালীন সময়ে, অফিস সহায়ক নারী শামসুন্নাহার সুইটি যোগদান করেন। যোগদানের পর পর জসিম সুইটির প্রেমে পড়ে যায়। কিন্তু সুইটি জসিমকে পাত্তা না দিলেও জোর করে ভয়ভীতি দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন।এ ভাবেই চলতে থাকে ডিডি জসিমের অপকর্ম। পরবর্তীতে সুইটি বদলী হলে থেমে যায় ডিডি জসিমের অপকর্ম। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় সুযোগ পেলেই ডিডি জসিম যৌন নির্যাতনের চেস্টা করতেন। কথায় বলে ‘পাপ বাপকেও ছাড়ে না’ অর্থাৎ জসিমউদদীন ডিডি এডমিন হিসেবে যোগদানের পর ক্ষমতা এবং নারী দুটোই পেয়ে যান তিনি। কিন্তু ঐ যে ক্ষমতার বলে একজন চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারীকে রংপুরে বদলি করা হয়। কোন উপায় অন্তত না পেয়ে অফিস সহায়ক নারী শামসুন্নাহার সুইটি আত্মহত্যার জন্য বিষপান করেন। এবং তাকে বিভাগীয় এম্বুলেন্স যোগে মেডিকেলে পাঠানো হয় (টিসিতে প্রমান আছে)। বিষপানের পূর্বে, মহাপরিচালক বরাবর ডিডি জসিমের নামে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন (প্রমাণিত)।

কিন্তু বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হলেও ব্যর্থ হন ডিডি জসিম। বিষয়টি দেশের জাতীয় দৈনিক ও অনলাইন পত্রিকায় সংবাদ প্রচারের পর দুর্নীতিবাজ জসিমের পক্ষে অবস্থান নেন ডিরেক্টর এডমিন ওয়াহিদুল ইসলাম। মোটা অংকের বিনিময় দফারফা করে ডিডি জসিমের পক্ষে অবস্থান নিয়ে ভুক্তভোগী সুইটি এবং তার স্বামীকে ফোন করে নিয়ে আসেন তার অফিস কক্ষে। তাদের ডেকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোর করে ডিডি জসিমের পক্ষে একটা লিখিত মুচলেকা নেন যেটা সম্পূর্ণ বেআইনি।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা বলেন, ডিডি জসিম এবং ডিরেক্টর এডমিন ওয়াহিদুল ইসলামের সম্পর্ক বেশ গভীর। কারন, বর্তমানে ফায়ার সার্ভিসের সকল দুর্নীতি ও অনিয়ম তারা দুজন এককভাবে নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন।

নাম প্রকাশ না করার সঠিক ফায়ার সার্ভিসের একটি সূত্র সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ডিরেক্টর এডমিন ওয়াহিদুল ইসলামের সাথে ডিডি জসিমের মধুর সম্পর্কের কারনে বার বার রক্ষা পেয়ে যাচ্ছেন এই দুর্নীতিবাজ- চরিত্রহীন ডিডি জসিম। ডিডি জসিমের সাথে ডিরেক্টর ওয়াহিদুল ইসলামের মধ্যস্থতায় নানা রকম দুর্নীতি বাণিজ্যের মোটা অংকের টাকা লেনদেন হয়। এই জন্য জসিমের বিরুদ্ধে সীমাহীন দুর্নীতি এবং যৌন নির্যাতনের অভিযোগ আনা সত্ত্বেও তিনি স্বপদে আছেন বহাল তবিয়তে। জসিমকে ধরে রাখতে পরিচালক ওয়াহিদুল ইসলাম একনিষ্ঠ ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

সচিবালয়ের একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, ডিডি জসিম উদ্দিন নিজেকে বাঁচাতে গত দুই সপ্তাহে একাধিকবার সচিবালয় গিয়েছেন। সুরক্ষা বিভাগের একজন দায়িত্বশীল কর্তার সহযোগিতায় এখনো চেয়ারে বহাল রয়েছেন জসীমউদ্দীন। সুরক্ষা বিভাগের ওই দায়িত্বশীল ব্যক্তির বাসায় বাজার পর্যন্ত পৌঁছে দেন জসিম।

এ বিষয়ে জানতে ডিডি জসিম এবং ডিরেক্টর ও ওহিদুল ইসলামের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তারা কেউই ফোন রিসিভ করেননি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ফায়ার সার্ভিসের নারীবাজ ডিডিকে বাঁচাতে তৎপর কোন মহল

আপডেট সময় : ০৭:১৭:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: ফায়ার সার্ভিসের দুর্নীতি ও নারি কেলেঙ্কারিতে জড়িত আলোচিত উপ-পরিচালক জসীমউদ্দীনের খুটির জোর কোথায়? সম্প্রতি অসংখ্য পত্রপত্রিকায় তার বিরুদ্ধে পাহাড়সম অভিযোগের বিষয়ে সংবাদ প্রচার হওয়ার পরেও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের নীরব ভূমিকায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ফায়ার সার্ভিসে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অনেকেই। তাদের প্রশ্ন, তবে কি নারী সহকর্মীকে যৌন হয়রানি ও  দুর্নীতিবাজ ব্যক্তিদের আশ্রয় প্রশ্রয়ের নিরাপদ জায়গায় হিসেবে পরিচিত হিসেবে ফায়ার সার্ভিস?

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স উপ-পরিচালক (প্রশাসন অর্থ) জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে একসময়কার তারই অধীনস্থ অফিস সহায়ক শামসুন্নাহার সুইটির সাথে নির্লজ্জ যৌন নির্যাতনের অভিযোগের প্রাথমিক ভাবে সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তর ডিডি জসিমের বিরুদ্ধে উপ-পরিচালক দীনমনি শর্মাকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে নামমাত্র তদন্ত কমিটি গঠন পর্যন্তই যেন সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে গেছে। মূলত জসীমউদ্দীনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে অন্যতম বাধা ডিরেক্টর ওহিদুল ইসলাম। তিনি বিষয়টি গামাচাপা দেওয়ার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

ঘটনার সুত্রপাত: উপ সহকারী পরিচালকের দপ্তর চট্টগ্রাম। ডিডি জসিম চট্টগ্রামে ডিএডি হিসেবে থাকাকালীন সময়ে, অফিস সহায়ক নারী শামসুন্নাহার সুইটি যোগদান করেন। যোগদানের পর পর জসিম সুইটির প্রেমে পড়ে যায়। কিন্তু সুইটি জসিমকে পাত্তা না দিলেও জোর করে ভয়ভীতি দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন।এ ভাবেই চলতে থাকে ডিডি জসিমের অপকর্ম। পরবর্তীতে সুইটি বদলী হলে থেমে যায় ডিডি জসিমের অপকর্ম। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় সুযোগ পেলেই ডিডি জসিম যৌন নির্যাতনের চেস্টা করতেন। কথায় বলে ‘পাপ বাপকেও ছাড়ে না’ অর্থাৎ জসিমউদদীন ডিডি এডমিন হিসেবে যোগদানের পর ক্ষমতা এবং নারী দুটোই পেয়ে যান তিনি। কিন্তু ঐ যে ক্ষমতার বলে একজন চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারীকে রংপুরে বদলি করা হয়। কোন উপায় অন্তত না পেয়ে অফিস সহায়ক নারী শামসুন্নাহার সুইটি আত্মহত্যার জন্য বিষপান করেন। এবং তাকে বিভাগীয় এম্বুলেন্স যোগে মেডিকেলে পাঠানো হয় (টিসিতে প্রমান আছে)। বিষপানের পূর্বে, মহাপরিচালক বরাবর ডিডি জসিমের নামে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন (প্রমাণিত)।

কিন্তু বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হলেও ব্যর্থ হন ডিডি জসিম। বিষয়টি দেশের জাতীয় দৈনিক ও অনলাইন পত্রিকায় সংবাদ প্রচারের পর দুর্নীতিবাজ জসিমের পক্ষে অবস্থান নেন ডিরেক্টর এডমিন ওয়াহিদুল ইসলাম। মোটা অংকের বিনিময় দফারফা করে ডিডি জসিমের পক্ষে অবস্থান নিয়ে ভুক্তভোগী সুইটি এবং তার স্বামীকে ফোন করে নিয়ে আসেন তার অফিস কক্ষে। তাদের ডেকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোর করে ডিডি জসিমের পক্ষে একটা লিখিত মুচলেকা নেন যেটা সম্পূর্ণ বেআইনি।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা বলেন, ডিডি জসিম এবং ডিরেক্টর এডমিন ওয়াহিদুল ইসলামের সম্পর্ক বেশ গভীর। কারন, বর্তমানে ফায়ার সার্ভিসের সকল দুর্নীতি ও অনিয়ম তারা দুজন এককভাবে নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন।

নাম প্রকাশ না করার সঠিক ফায়ার সার্ভিসের একটি সূত্র সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ডিরেক্টর এডমিন ওয়াহিদুল ইসলামের সাথে ডিডি জসিমের মধুর সম্পর্কের কারনে বার বার রক্ষা পেয়ে যাচ্ছেন এই দুর্নীতিবাজ- চরিত্রহীন ডিডি জসিম। ডিডি জসিমের সাথে ডিরেক্টর ওয়াহিদুল ইসলামের মধ্যস্থতায় নানা রকম দুর্নীতি বাণিজ্যের মোটা অংকের টাকা লেনদেন হয়। এই জন্য জসিমের বিরুদ্ধে সীমাহীন দুর্নীতি এবং যৌন নির্যাতনের অভিযোগ আনা সত্ত্বেও তিনি স্বপদে আছেন বহাল তবিয়তে। জসিমকে ধরে রাখতে পরিচালক ওয়াহিদুল ইসলাম একনিষ্ঠ ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

সচিবালয়ের একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, ডিডি জসিম উদ্দিন নিজেকে বাঁচাতে গত দুই সপ্তাহে একাধিকবার সচিবালয় গিয়েছেন। সুরক্ষা বিভাগের একজন দায়িত্বশীল কর্তার সহযোগিতায় এখনো চেয়ারে বহাল রয়েছেন জসীমউদ্দীন। সুরক্ষা বিভাগের ওই দায়িত্বশীল ব্যক্তির বাসায় বাজার পর্যন্ত পৌঁছে দেন জসিম।

এ বিষয়ে জানতে ডিডি জসিম এবং ডিরেক্টর ও ওহিদুল ইসলামের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তারা কেউই ফোন রিসিভ করেননি।