অনলাইন ডেস্ক: বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের রিপোর্টে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্য সরকার। পাশাপাশি একটি স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টাকে সমর্থন করবে দেশটি। বাংলাদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ ও উন্নয়ন অফিস সংক্রান্ত ইন্দো-প্যাসিফিকের প্রতিমন্ত্রী অ্যান মারি ট্রেভেলিয়ান এমপি দেশটির এই অবস্থানের কথা জানান। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ রাজনীতি, রাষ্ট্র ও জনগণের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট নানা ইস্যুতে প্রায় যুক্তরাজ্য সরকারের কাছে চিঠি লিখেন বৃটেনে বাংলাদেশী কমিউনিটির অন্যতম বিশিষ্টজন নিউ হোপ গ্লোবালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফয়েজউদ্দিন এমবিই। সম্প্রতি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ও মুক্তি এবং বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাককে একটি চিঠি লিখেছিলেন তিনি। গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের পক্ষ থেকে লেখা উত্তরে অ্যান মারি এমপি তাদের সরকারের এই অবস্থানের কথা জানান। চিঠিতে তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে আটকে রাখার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ১১ ই আগস্টের চিঠির জন্য ধন্যবাদ। আমি বাংলাদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী হিসেবে উত্তর দিচ্ছি। অ্যান মারি বলেন, বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের রিপোর্টে যুক্তরাজ্য উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশ সরকারের জন্য একটি মানবাধিকারের অগ্রাধিকারের দেশ হিসেবে রয়েছে। আমরা বাংলাদেশে সরকার কর্তৃক আটক ব্যক্তিদের চিকিৎসাসহ আমাদের মানবাধিকার সংক্রান্ত উদ্বেগ নিয়মিতভাবে উত্থাপন করি। তিনি বলেন, ২৩ জুন আমার পূর্ববর্তী চিঠিতে আমি যা বলেছিলাম- আমরা বাংলাদেশ সরকারকে, সরকারী এবং ব্যক্তিগত উভয় ক্ষেত্রেই মানবাধিকার এবং আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধার গুরুত্বের উপর জোর দিতে থাকব। আমরা আশা করি, খালেদা জিয়াসহ যাদেরকে আটক করা হয়েছে, তাদের সঙ্গে মানবাধিকারের বিষয়ে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার অনুযায়ী আচরণ করা হবে। আটক ব্যক্তিদের চিকিৎসা এবং বিচারিক প্রক্রিয়ার সততা ও স্বাধীনতার বিষয়ে আমরা নিয়মিত বাংলাদেশ সরকারের কথা বলি থাকি। সুতরাং খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে আমরা বাংলাদেশ সরকারের কাছে একই অবস্থান অব্যাহত রাখব। সেই সাথে এসব সমাধানে যুক্তরাজ্য বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সম্পৃক্ততা অব্যাহত রাখব এবং একটি স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের জন্য প্রচেষ্টাকে সমর্থন করব।