ভুয়া তথ্য দিয়ে শেয়ারবাজারে এগ্রো অর্গানিকা!
- আপডেট সময় : ০১:০৩:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অগাস্ট ২০২৩ ৫৭৩ বার পড়া হয়েছে
এইচ আর শফিক:
এগ্রো অর্গানিকা (PLC) একটি এগ্রো বেসড কোম্পানি। বিনিয়োগকারীদের আতঙ্ক হিসেবে শেয়ারবাজারে আসছে এগ্রো অর্গানিক। তথ্য জালিয়াতির মাধ্যমে নাম সর্বোচ্চ এই কোম্পানিটি সম্প্রতি পুঁজিবাজার বাজার (এস এম আই) থেকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিও (এলিজেবল ইনভেস্টর) এর মাধ্যমে ৫ কোটি টাকা উত্তোলনের অনুমতি পেয়েছে। কিন্তু নিজেদের আয় ও মিথ্যা সম্পদের তথ্য প্রদান করে আশা এই কোম্পানিটির পণ্য উৎপাদন নেই বললেই চলে। এমন জালিয়াতি তথ্য প্রদানের মাধ্যমে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের অর্থ হুমকির মুখে পড়বে এমনটাই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
উক্ত কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে আন্ডার রাইটিং এর দায়িত্বে আছে শাহজালাল ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড নামক বিতর্কিত পারিবারিক প্রতিষ্ঠান। যারা এসব তথ্য গোপনকারী কোম্পানিগুলোকে আইপিওতে উঠানোর সর্বাত্মক সহযোগী হিসাবে পরিচিত।
পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টদের প্রশ্ন এমন মিথ্যা তথ্য ও নৈরাজ্যের মাধ্যমে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আর কত নিঃস্ব করবে এই পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা?
অভিযোগ উঠেছে শাহজালাল ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড সম্প্রতি একটি কোম্পানি তথ্য গোপন করে পুঁজিবাজারে প্রবেশের পথ সুগম করে দেয়। এতদসত্বেও বাংলাদেশের পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণ সংস্থা( বি এস ই সি) কিভাবে এই প্রতিষ্ঠানের আওতাধীন অন্য আরোও একটি কোম্পানি আইপিও তে অনুমতি দেয়। এই গুরুতর অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও বিএসইসির বর্তমান কমিটি কিভাবে, কাদের স্বার্থচারিতার্থ করতে একের পর এক কোম্পানিকে অনুমতি দেয় যাদের কোনভাবেই প্রকৃত তথ্য দিয়ে পুঁজিবাজারে প্রবেশ করা সম্ভব নয় ভুয়া ব্যাংক স্টেটমেন্ট আর্থিক প্রতিবেদন কোম্পানির প্রকৃত তথ্য গোপন সহ বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম করে শাহজালাল ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড উক্ত কোম্পানিগুলো কে পুঁজিবাজারে উপস্থাপন করে এবং বিএসইসি বার বার কোন এক অজানা কারণে উক্ত কোম্পানিগুলোকে অনুমতি দিয়ে থাকে।
অনুসন্ধানে এগ্রো অর্গানিকা পি এল সি এর একাধিক মিথ্যা তথ্য প্রদানের চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
যেসব ভুয়া তথ্য দিয়েছে এগ্রো অর্গানিকা:
কোম্পানিটি তার ব্যাংক হিসাব বিবরণীতে শেয়ার মানি ডিপোজিট এর তথ্য গোপন করেছেন অনুসন্ধানে দেখা যায় কোম্পানির শেয়ার মানি ডিপোজিট ২০১৭ সালে যা দেখানো হয়েছে এবং যে ব্যাংক হিসাব থেকে ডিপোজিট করা হয়েছে উক্ত ব্যাংক হিসাবটি ২০১৯ সাথে খোলা হয়। অর্থাৎ প্রাপ্ত (SMD) যে বছর দেখানো হয়েছে ওই বছর প্রদেয় হিসাব খোলাই হয় নি।
সংবাদমাধ্যমের অনুসন্ধানে উঠে আসে যে ইস্যুয়ার কোম্পানি তাদের হাজারীবাগের ওয়্যার হাউজটি দেখানো হয়েছে সেটি অনেক আগেই ছেড়ে দিয়েছে তারা। সেই ওয়্যার হাউজের তথ্য প্রদান করেছে।
উক্ত ই্যসুয়ার কোম্পানির বার্ষিক প্রতিবেদনে উল্লেখিত রেভিনিউ প্রকৃতির রেভিনিউ থেকে কয়েকগুণ অতিরিক্ত দেখানো হয়েছে। অথচ ওয়েবসাইট ভিত্তিক অনলাইন এবং অফলাইনে খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে উক্ত কোম্পানিটির ব্যবসায়িক বিক্রি ও কার্যক্রম একেবারেই নিয়মিত নয়। কোম্পানিটির পণ্য উৎপাদন ও আয়ের হিসেবে দেউলিয়া প্রায়। এসব কারণেই পুঁজিবাজারে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা হুমকির মুখে পড়তে পারে এমন আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিগত দিনের মতো পুঁজিবাজার যাতে অস্থিরতা ফিরে না আসে ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদেরকে আত্মহত্যার মতো পথ বেছে নিতে না হয় সেজন্য এসব ভুয়া ও জালিয়াতি তথ্য প্রদানকারী কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরিভাবে মনে করেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল।
এ বিষয়ে জানতে এগ্রো অর্গানিকার কর্তৃপক্ষকে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।