ঈদুল আযহায় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা হলেও আবাসিক হল থেকে বাড়ি ফেরেননি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(শাবিপ্রবি) ৯০ শিক্ষার্থী। ক্যাম্পাস বন্ধ হলেও খোলা রাখা হয়েছে আবাসিক হলগুলো। ঈদের ছুটি কাটাতে ক্যাম্পাস ছেড়েছেন অধিকাংশ শিক্ষার্থী। এরমধ্যে ছাত্রদের তিনটি ও ছাত্রীদের দুইটি আবাসিক হলের মধ্যে ঈদ উদযাপন করেন বিভিন্ন বিভাগের ৯০ শিক্ষার্থী। ঈদ উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আজ দিনব্যাপী শিক্ষার্থী, ক্যাম্পাসের বিভিন্ন দপ্তরের স্টাফ, গার্ড ও ক্লিনার সহ মোট ২০০ জনকে বিনামূল্যে খাবার প্রদান করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আহসান হাবিব ও সৈয়দ মুজতবা আলী হলের ভারপ্রাপ্ত প্রভোস্ট এস এম সাইদুর রহমান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে ঈদ উদযাপন করা এক শিক্ষার্থী বলেন, সামনে সেমিস্টার পরীক্ষা, তাই বাড়ি যাই নি। সিলেট থেকে বাড়ি গেলে আসা-যাওয়ায় তিনদিন চলে যায়। ক্যাম্পাসে ঈদ উদযাপন করে বাড়ির মত আনন্দ পাই নি। পরিবার থেকে যেহেতু কিছুটা দূরে তাই কষ্ট লাগাটা স্বাভাবিক। তবে প্রশাসন খাবার দিয়েছেন। এতে ঈদের আনন্দ কিছুটা এসেছে। হলে সবাই মিলে একটা পরিবারের মতই ঈদ উদযাপন করেছি।
সৈয়দ মুজতবা আলী হলের ভারপ্রাপ্ত প্রভোস্ট এস এম সাইদুর রহমান বলেন, আমাদের হলে সব থেকে বেশি(৩৫জন) ছাত্র অবস্থান করছে। আমরা তাদের খাবারের আয়োজন করেছি।
ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর বলেন, ঈদে আবাসিক হলের যেসকল শিক্ষার্থী তাদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঈদের স্পেশাল খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। এবারের ঈদে সব থেকে বেশি ছাত্র অবস্থান করছে সৈয়দ মুজতবা আলী ছাত্রহলে। সব হল মিলিয়ে ৯০ জন শিক্ষার্থী আবাসিক হলে ঈদ উদযাপন করেছেন।
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রদত্ত খাবারের মধ্যে কালিজিরা চাল ও মুগডাল দিয়ে খিচুরি, ডিম ভুনা, সেমাই, বাশমতি চালের পোলাও, খাশির মাংস, মুরগি দিয়ে মুগডাল, দুধ ওয়ালার দই, দুধ ওয়ালার মিষ্টি, কোক ২৫০ মি.লি., পানি (মাম) ৩৬০ মি.লি. ও আম আম্রপালি ১ পিস করে প্রদান করা হয়।